নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের লক্ষীকুল গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে সৌদিআরব প্রবাসী আব্দুর রশিদের স্ত্রী জেমি আক্তারের বিরুদ্ধে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আব্দুর রশিদের সাথে পাশ্ববর্তী আক্কেলপুর উপজেলার সোনামুখী গ্রামের জিল্লুর মেয়ে জেমি আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের চার বছরের একটি সন্তান রয়েছে। আব্দুর রশিদ এক বছর আগে সৌদিআরবে যান। কয়েক মাস আগে টিকটকে বগুড়ার এক যুবকের সাথে পরিচয় হওয়ার পর ফেসবুকে আলাপচারিতায় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকালে বাড়ির কাউকে কিছু না জানিয়ে জেমি নগদ ৩০ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। গৃহবধূর শ্বশুর শাশুড়ির দাবি, জেমি পরকীয়া প্রেমিকের সাথে পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় প্রবাসী আব্দুর রশিদের মা তাহেরা বিবি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এর কিছুদিন পর মেয়ের মহরানার টাকার দাবিতে পলাতক গৃহবধূর পরিবারের লোকজন আব্দুর রশিদের বাবার বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ছেলের দেনমহরের টাকার জন্য বাবার নামে অভিযোগ দেওয়ায় এলাকায় নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে। মহরানার টাকা আদায়ে প্রবাসীর পরিবারের লোকজনকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, চার বছরের সন্তান রেখে পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে প্রবাসী স্বামীর ঘর ছেড়ে এক যুবকের সাথে পালিয়ে গিয়ে নতুন সংসার শুরু করেছেন জেমি।
অন্যদিকে, জেমির মা তার মেয়ের মহরানার টাকাসহ যাবতীয় জিনিসপত্রের দাবিতে সাবেক জামাইয়ের বিরুদ্ধে নয় বরং বেয়াইয়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে প্রবাসীর মা তাহেরা বেগম বলেন, “আমার ছেলের বউ সোনাদানা, টাকা-পয়সা নিয়ে অন্যর সাথে ভাগিয়ে গেছে। শুনেছি, সেই যুবকের সাথে বিয়ে করে নতুন সংসার করছে। ছেলের শ্বাশুড়ি আমার স্বামীর নামে অভিযোগ করেছেন। যেখানে তাদের মেয়ে আমার ছেলের সংসার ভেঙ্গে অন্য জনের ঘর করছে আর তারা মেয়ের মহরানার টাকা-আসবাবপত্র নেওয়ার জন্য বেয়াই-বেইয়ানের নামে অভিযোগ করেছে।” এ বিষয়ে গৃহবধূর মায়ের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, উভয় পক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।