DoinikAstha Epaper Version
ঢাকারবিবার ১৩ই জুলাই ২০২৫
ঢাকারবিবার ১৩ই জুলাই ২০২৫

আজকের সর্বশেষ সবখবর

হোসেনপুরে সরকারি বরাদ্দের বিনা মূল্যের সার ও বীজ থেকে বঞ্চিত কৃষক

রায়হান জামান,স্টাফ রিপোর্টার
জুলাই ৩১, ২০২৪ ১১:২৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে সরকারি বরাদ্দের বিনা মূল্যের সার ও বীজ প্রকৃত কৃষকরা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে।

সাম্প্রতিক কৃষি প্রণোদনা কার্যক্রম শুরু হলে উপজেলার সুবিধাবঞ্চিত কৃষকরা এ অভিযোগ করেছে।তাদের অভিযোগ, উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের বেশির ভাগ প্রকৃত ও দরিদ্র কৃষকই প্রণোদনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে জানা যায়, জমি নেই এমন চাষিরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তাদের নাম তালিকাভুক্ত করে নেয়। এরপর বিনা মূল্যে সার-বীজ উত্তোলন করে কম টাকায় ডিলারদের কাছে বিক্রি করে। পরে ডিলারদের কাছ থেকে কৃষকরা চড়া দামে সেগুলো কিনতে হচ্ছে।

এদিকে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় আমন মৌসুমে সরকারি বরাদ্দকৃত প্রণোদনা দিতে ৪৭ হাজার ৭শ জন সুবিধাভোগী কৃষকের তালিকা তৈরি করেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা।কৃষকরা প্রতি বিঘা ধান চাষের জন্য ৫ কেজি উপশী বীজ, দেড় কেজি হাইব্রিড বীজ, ২০ কেজি ডিএপি সার ও ১০ কেজি এমওপি সার তালিকাভুক্ত কৃষকদের মধ্যে ধাপে ধাপে এগুলো বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।সরেজমিনে কৃষকদের সঙ্গে কথা বললে কৃষকরা জানান উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে না গিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ওপর নির্ভর করে নামের তালিকা তৈরি করে। এতে যাচাই-বাছাই ছাড়াই জমিহীন এমনকি কোনো দিন কৃষিকাজ করেননি এমন কৃষকের নামও তালিকায় স্থান পায়।

পুমদী ইউনিয়নের কৃষক সুরুজ মিয়া বলেন,  ‘দুইশ শতক জমিতে আমন আবাদ করেছি। কিন্তু আমাকে কৃষিকার্ড দেয়া হয়নি। বিনা মূল্যে পাওয়া তো দূরের কথা, ডিলারদের কাছ থেকে চড়া মূল্যে সার ও বীজ কিনে কাজ করি। কোনোদিন সরকারের প্রণোদনা পাইনি। শুনেছি কৃষি অফিস নাকি পুমদী ইউনিয়নে মাসের ২য় সপ্তাহে ১১০ জনকে ৫ কেজি উপশী জাতের বীজ, ১০ কেজি এমওপি সার, ১০ কেজি ডিএপি সার দিয়েছে কিন্তু এসব কারা পেলো আমরা জানতে চাই?’

আরো পড়ুন :  পানছড়িতে স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত

এ বিষয়ে হোসেনপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এ.কে.এম শাহজাহান কবির বলেন, নিয়ম অনুযায়ী উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সরেজমিনে প্রকৃত কৃষকের তালিকা প্রস্তুত করে তালিকা অনুযায়ী কার্ডের মাধ্যমে সার-বীজ বিতরণ করা হচ্ছে। প্রকৃত কৃষকরা পাচ্ছেনা এমন কোনো লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ আমার কাছে করেনি। খোঁজখবর নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
[prayer_time]