ঢাকা ০২:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo মানবতার ডাক’-এর মহতী উদ্যোগ: মরণ ফাঁদ রাস্তায় ফেরালো জীবনের চলাচল Logo গাজায় মানবিক সহায়তা বাড়াতে ইসরাইলকে নির্দেশ জাতিসংঘ আদালতের Logo মাটিরাঙ্গায় গনধর্ষণের শিকার কিশোরী: আটক-২ Logo শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় পাহাড়ে কাজ করছে বিজিবি Logo ন্যায্য দাবি আদায়ে দীঘিনালায় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি Logo শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা হবে মোট ১৫ শতাংশ, দুই ধাপে দেওয়া হবে Logo দশমিনায় জেলেদের জিম্মি করে ছাত্রদল নেতার চাঁদাবাজি Logo বেনাপোলে কোটি টাকার বকেয়া আদায়ের দাবিতে আমদানিকারকের সংবাদ সম্মেলন Logo মানবতার আলোর পথে: লালন দর্শনের নতুন পাঠ Logo পরিমাপের ক্ষেত্রে মানসম্মত পরিসংখ্যানের গুরুত্ব অপরিসীম : ড. ইউনূস

উচ্চ বালিকার প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

Doinik Astha
Doinik Astha
  • আপডেট সময় : ১১:২৫:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১০৬৯ বার পড়া হয়েছে

শিক্ষকের নাম বিপদ ভঞ্জন বণিক। নামের মতোই বিপর্যয়ে ফেলেছে তাঁর প্রতিষ্ঠানকে। বলছি কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের স্বনামধন্য মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিশোরগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের কথা।

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক বিপদ ভঞ্জন বণিকের বিরুদ্ধে অনেক আগে থেকেই দুর্নীতি ও নানা অনিয়মের অভিযোগ করে আসছিলেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। কিন্তু নানাভাবে প্রভাব খাটিয়ে এতদিন বহাল তবিয়তে ছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শিক্ষার্থীরা তার অপসারণ দাবিতে আন্দোলনে নামেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৮ আগস্ট সাময়িক বরখাস্ত করা হয় তাকে। এর আগে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উল্লেখ করে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়।

অভিযোগ থেকে জানা গেছে, শুধুমাত্র চলতি শিক্ষাবর্ষেই শিক্ষার্থীদের ভর্তি ফরম বাবদ প্রায় সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা এবং একই সময়ে বিধি বহির্ভুতভাবে ষষ্ঠ শ্রেণিতে নরসুন্দা নামে নতুন শাখা খুলে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা আত্মসাত করেন। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে শ্রেণিশিক্ষকদের কাছ মাধ্যমে সেন্ট্রাল রশিদের মাধ্যমে আদায় করা প্রায় ১২ লক্ষ টাকা ব্যাংকে জমা দেননি তিনি।

বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতিজনিত জরিমানার টাকা প্রধান শিক্ষক নিজেই নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের। বিদ্যালয়ের জায়গায় দোকানপাট নির্মাণ করে অতিরিক্ত ব্যয় দেখিয়েও টাকা আত্মসাত করেছেন। এছাড়া একটি প্রতিষ্ঠানের দেওয়া ৫০ লক্ষ টাকার ২০১৬ সন থেকে ব্যাংকের স্থায়ী আমানতের লভ্যাংশ গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ থাকলেও এখন পর্যন্ত কেউ এর সুফল পায়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।

বিদ্যালয়ের একটি সূত্র ব্যাংকের স্টেটমেন্ট অনুযায়ী জানায়, গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক ব্যাংক থেকে তুলেছেন ৩ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা। এরমধ্যে শিক্ষকদের বেতন ভাতা বাবদ প্রায় দেড় কোটি টাকা ছাড়া বাকি টাকা তিনি কী করেছেন সে বিষয়ে শিক্ষকদের কেউ কিছু জানেননা। বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করেন, প্রায় সকল খাত থেকেই প্রধান শিক্ষক অর্থ আত্মসাত করেছেন। শুধু তাই নয়, ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমেও অনেক টাকা তিনি পকেটস্থ করেছেন। তারা বলেন, প্রধান শিক্ষক শুধু দুর্নীতিই করেননি, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসদাচরণও করেন। এ অবস্থায় তাকে আর কেউ চায়না।

প্রধান শিক্ষক বিপদ ভঞ্জন বণিক তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।

উচ্চ বালিকার প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

আপডেট সময় : ১১:২৫:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিক্ষকের নাম বিপদ ভঞ্জন বণিক। নামের মতোই বিপর্যয়ে ফেলেছে তাঁর প্রতিষ্ঠানকে। বলছি কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের স্বনামধন্য মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিশোরগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের কথা।

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক বিপদ ভঞ্জন বণিকের বিরুদ্ধে অনেক আগে থেকেই দুর্নীতি ও নানা অনিয়মের অভিযোগ করে আসছিলেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। কিন্তু নানাভাবে প্রভাব খাটিয়ে এতদিন বহাল তবিয়তে ছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শিক্ষার্থীরা তার অপসারণ দাবিতে আন্দোলনে নামেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৮ আগস্ট সাময়িক বরখাস্ত করা হয় তাকে। এর আগে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উল্লেখ করে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়।

অভিযোগ থেকে জানা গেছে, শুধুমাত্র চলতি শিক্ষাবর্ষেই শিক্ষার্থীদের ভর্তি ফরম বাবদ প্রায় সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা এবং একই সময়ে বিধি বহির্ভুতভাবে ষষ্ঠ শ্রেণিতে নরসুন্দা নামে নতুন শাখা খুলে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা আত্মসাত করেন। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে শ্রেণিশিক্ষকদের কাছ মাধ্যমে সেন্ট্রাল রশিদের মাধ্যমে আদায় করা প্রায় ১২ লক্ষ টাকা ব্যাংকে জমা দেননি তিনি।

বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতিজনিত জরিমানার টাকা প্রধান শিক্ষক নিজেই নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের। বিদ্যালয়ের জায়গায় দোকানপাট নির্মাণ করে অতিরিক্ত ব্যয় দেখিয়েও টাকা আত্মসাত করেছেন। এছাড়া একটি প্রতিষ্ঠানের দেওয়া ৫০ লক্ষ টাকার ২০১৬ সন থেকে ব্যাংকের স্থায়ী আমানতের লভ্যাংশ গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ থাকলেও এখন পর্যন্ত কেউ এর সুফল পায়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।

বিদ্যালয়ের একটি সূত্র ব্যাংকের স্টেটমেন্ট অনুযায়ী জানায়, গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক ব্যাংক থেকে তুলেছেন ৩ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা। এরমধ্যে শিক্ষকদের বেতন ভাতা বাবদ প্রায় দেড় কোটি টাকা ছাড়া বাকি টাকা তিনি কী করেছেন সে বিষয়ে শিক্ষকদের কেউ কিছু জানেননা। বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করেন, প্রায় সকল খাত থেকেই প্রধান শিক্ষক অর্থ আত্মসাত করেছেন। শুধু তাই নয়, ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমেও অনেক টাকা তিনি পকেটস্থ করেছেন। তারা বলেন, প্রধান শিক্ষক শুধু দুর্নীতিই করেননি, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসদাচরণও করেন। এ অবস্থায় তাকে আর কেউ চায়না।

প্রধান শিক্ষক বিপদ ভঞ্জন বণিক তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।