সহিংসতায় ৩ জনের মৃত্যু-খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা জারি
আস্থা ডেস্কঃ
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পাহড়ি-বাঙালি সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগের জেরে রাতভর জেলা সদরে সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩ জন মারা গেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন, যা দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
আজ শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিষয়টি পত্র মারফত নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সহিদুজ্জামান।
তিনি জানান, খাগড়াছড়ি সদর ও পৌরসভা এলাকায় শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এ আদেশ জারি থাকবে। এছাড়া, সব পক্ষকে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থানের অনুরোধ জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দীঘিনালা উপজেলায় গত বুধবার নিহত মামুনের হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ চলাকালে সংঘর্ষ বাধে। এতে ব্যাপক অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও হতাহত হয়। এর জেরে রাতে জেলা সদরেও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় ৩ জন নিহত ও ১২ জনের মতো আহত হয়েছে।
এদিকে, খাগড়াছড়ি ও দীঘিনালায় পাহাড়ি-বাঙালি সংর্ঘষ ও আগুনের ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার সকালে রাঙ্গামাটিতে বিক্ষোভ করেছে পাহাড়ি ছাত্র-জনতা। এতে পাহাড়ি-বাঙালি সংর্ঘষ রুপ নেয়। এ সময় দোকান, মসজিদ ও গাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠে।
অপর দিকে জেলার পানছড়িতে ফায়ার সার্ভিসের কার্যলয় ভাংচুর করা হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও গাড়ি পানছড়ি সাব জোনের তত্ববধানে রয়েছে বলে জানিয়েছে পানছড়ি ব্যাটালিয়ন ৩ বিজিবি লোগাং জোন কমান্ডার লেঃ কর্নেল মো.মফিজুর রহমান ভূ্ঁইয়া, পিএসসি, এএসসি।
পরে কনরুপা এলাকার ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া দেয়। এতে সংর্ঘষ বাধে। এ সময় শহরের বিভিন্নস্থানে দুই পক্ষের পাহাড়ি-বাঙালিদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাঙ্গামাটি পৌর এলাকাতেও ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।