বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের প্রভাব ও সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর কারণে রাজধানীতে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। আজও এই বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক গণমাধ্যমকে দেওয়া এক আভাসে জানান, গতকালের মতো আজও বৃষ্টি হতে পারে। হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টি হবে। মাঝে মাঝে বৃষ্টি বন্ধ হবে, মেঘ জমা হয়ে আকাশ থমকে থাকবে। আজ সন্ধ্যার পর বৃষ্টি থেমে যেতে পারে।
তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে ৪৪ মিলিমিটার।
সকাল থেকে টানা বৃষ্টিতে অফিসগামীদের ভোগান্তি বেড়েছে। এছাড়াও দুর্ভোগের শিকার খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। রাস্তায় মানুষ ও গণপরিবহনে উপস্থিতি কম দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর আজিমপুর, ধানমন্ডি, কলাবাগামী আসাদগেট শ্যামলি সহ বিভিন্ন স্থানে অফিসগামী মানুষদের ভোগান্তি স্বীকার হতে দেখা গেছে। অনেকে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও গণপরিবহন সংকটে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে রওনা দিতে দেখা গেছে। মেট্রোরেল চালু থাকলেও অনেকে মেট্রো স্টেশশন পর্যন্তত যেতে হিমসিম খাচ্ছে।
নিয়মিত মেট্রোরেলের যাত্রী তাহমিনা বৃষ্টি জানান, তার বাসা পান্থপথে, প্রতিদিনের মতো তিনি ফার্মগেট মেট্রোষ্টেশনে এসে মেট্রোরেলে করে মিতিঝিল অফিসে যান। কিন্তু বৃষ্টিতে ষ্টেশন পর্যন্ত আসতেই তিনি পুরো ভিজে গেছেন। হঠাত বৃষ্টি আসে আবার হঠাত নেই। এএমন পরিস্থিতিতে ভিজে ভিজেই অফফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি।
এদিকে গণপরিবহনে নিয়মিত যাত্রী সোনিয়া আক্তার জানান, রামপুরা থেকে বনানীতে অফিসে যেতে বাসে করে যাতায়াত করেন তিনি। কিন্তু বৃষ্টিতে গণপরিবহন কম থাকায় দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও বাস পাননি। ফলে বিকল্প পদ্ধতিতে তিনি অফিসের উদ্যেশ্যে রওনা হয়েছেন।
অন্যদিকে, রাজধানীর উত্তরা, বনানী, মহাখালী, মিরপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় গণপরিহন কম দেখা গেছে। পরিবহণ কম থাকলেও ব্যক্তিগত গাড়ির কারণে প্রচণ্ড জেম লেগে থাকে। ফলে অফিস সময় পার হয়ে গেলেও জেমে বসে থাকতে হয় বলেও জানান সোনিয়া আক্তার।
তবে, আগামীকাল শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) থেকে সারাদেশে বৃষ্টি কিছুটা কমে যেতে পারে এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।