কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় শিশুসহ চারজন গুরুতর আহত হয়েছে। গত রবিবার (৮ ডিসেম্বর) উপজেলার শিমুয়া নেহারদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, নেহারদিয়া গ্রামের মৃত খুর্শিদ মিয়ার ছেলে মো. রফিকুল (৩৫), মো. রফিকুলের স্ত্রী খায়রুন্নেছা (৩০), মৃত রতন মিয়ার স্ত্রী স্বর্ণা বেগম (২৫) ও শিশু আয়েন (১৫ মাস)। আহতরা শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ ঘটনায় রফিকুলের শশুর মো. শাহাব উদ্দিন কটিয়াদী থানায় বাদী হয়ে মো. মানিক মিয়া (৪০) ও মুন্না (২০)কে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নেহারদিয়া গ্রামের মো. রফিকুল ইসলাম ও একই গ্রামের মানিক মিয়ার সাথে টয়লেটের পানি নিষ্কাশনকে কেন্দ্র করে কথার কাটাকাটি হয়। পরে রফিকুল ইসলাম তার ফার্ণিচার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে অভিযুক্ত মো. মানিক মিয়া ও তার ছেলে মুন্না রামদা দিয়ে মো. রফিকুলকে এলোপাতাড়ি কুপাতে থাকলে তার স্ত্রী খায়রুন্নেছা স্বামীকে বাঁচাতে তাকেও কুপিয়ে জখম করে। এ সময় রফিকুলের ১৫ মাসের শিশু আয়েনসহ স্বর্ণা বেগম গুরুত্ব আহত হয়।
স্থানীয়রা জানান, মো. রফিকুল ইসলাম তার বাড়ির টয়লেটের পানি নিস্কাশনের জন্য প্রতিপক্ষ মানিক মিয়ার বাড়ির উপর থেকে পাইপের মাধ্যমে আহত রফিকুল ইসলামের পাশের একটি খালে টয়লেটের পানি ফেলে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। পরবর্তীতে রফিকুল ইসলাম শিমুহা বাজার থেকে আসার পথে মো. মানিক মিয়া ও তার ছেলে মুন্না তাদের উপর রামদা দিয়ে কোপ মারে। এতে ঘটনাস্থলে তিনজন গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজে ভর্তি করে। এ বিষয় কটিয়াদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি হামলার ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে আমি একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’