বাজিতপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে জেলা প্রশাসকের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও রহস্যজনক কারনে দিঘীরপাড় ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শেখ আলমগীর মিয়া ও সচিব বিপ্লব ঘোষ অবৈধ স্থাপনা সড়াতে গড়িমসি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের দাবি তাদেরকে ম্যানেজ করেই অবৈধ স্থাপনা সড়ানো হচ্ছে না।
জানা যায়, গত মাসের ২ তারিখ জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান উপজেলার দিঘীরপাড় ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শণ করেন। এসময় পরিষদের সামনে সরকারি জায়গায় তিনটি অবৈধ দোকানসহ অন্যান্য স্থাপনা সড়াতে কর্মকর্তাদের মৌখিক নির্দেশ প্রদান করেন। দৃষ্টিনন্দন পরিষদ ভবনটির সামনেই আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দোকানপাট ও অন্যান্য স্থাপনার জন্য দৃষ্টিকটু হওয়ায় জেলা প্রশাসক স্থাপনাগুলো সড়াতে নির্দেশ দেন।
স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী কয়েকজন নেতা পাঁচ থেকে ছয় বছর আগে পরিষদের জায়গায় তিনটি দোকানসহ অন্যান্য স্থাপনা তৈরি করে মাসিক দুই থেকে আড়াই হাজার টাকায় ভাড়া দেন।
জেলা প্রশাসকের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কেনো এখনো স্থাপনাগুলো সড়ানো হচ্ছে না এমন প্রশ্নের জবাবে পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শেখ আলমগীর মিয়া বলেন, দোকানদেরকে বলা হয়েছে শীঘ্রই সড়ানো হবে।
জেলা প্রশাসকের নির্দেশ দেওয়ার মাস খানেকের বেশি সময় হয়ে গেলেও কেনো তার আদেশ পালন করছেন না এমন প্রশ্নের জবাবটি কৌশলে এড়িয়ে যান। জানা যায়, আওয়ামী সমর্থক ক্ষমতাচ্যুত সাবেক চেয়ারম্যান আঃ কাইয়ুমের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় বর্তমান প্যানেল চেয়ারম্যান শেখ আলমগীর। এই জন্যই ক্ষমতাচ্যুৎ চেয়ারম্যানের মতোই সরকারি জায়গায় অবৈধ স্থাপনা সড়াতে তিনি কালক্ষেপন করছেন। অবৈধ দখলকারিদের সাথে তার সখ্যতা আছে এমনটাও শুনা যাচ্ছে।
তবে ইউপি সচিব বিপ্লব ঘোষ দায় চাপানোর চেষ্টা করেন ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েবের উপর।
অভিযোগ রয়েছে ইউপি সচিব বিপ্লব ঘোষ অবৈধ স্থাপনার মালিকদের সাথে অদৃশ্য সমঝোতার মাধ্যমে স্থাপনা ভাঙার সময়ক্ষেপণ করছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পরিষদের সরকারি জায়গায় বছরের পর বছর একটি শ্রেণি অবৈধ দোকানপাট তৈরি করে ভাড়া দেওয়ার বাণিজ্য করে আসছেন। বিষয়টি সচিব, চেয়ারম্যান ও অন্যান্য দায়িত্বশীলদের চোখের সামনেই। রহস্যজনক কারনে এতোদিন সরকারি ভূমি উদ্ধারে ব্যবস্থা নেননি তারা।
গত মাসে জেলা প্রশাসক নির্দেশ দেওয়ার পরেও দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়ায় জেলা প্রশাসকের নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখানো হচ্ছে বলেই মনে হচ্ছে এমন দাবি সচেতনমহলের।
এমকে/আস্থা