ঢাকা ০৭:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo দশমিনায় পুকুরে পরে শিশু নিহত Logo এনআইডি কার্ড ছাড়া ট্রেন ভ্রমণ বন্ধ : ডিসি সারোয়ার Logo আমরা যত দ্রুত পারি বিমানবন্দর চালু করব : বিমান উপদেষ্টা Logo কিশোরগঞ্জে জাতীয়তাবাদী চিকিৎসকদের মিলনমেলা; ঐক্য ও সৌহার্দ্যের নতুন বন্ধন Logo রংপুরে শাশুড়িকে ধর্ষণের অভিযোগ জামাইয়ের বিরুদ্ধে Logo দেশে মাদ্রাসা বোর্ড পাশে এগিয়ে যদিও বৈরাটি সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার সকল শিক্ষার্থীই ফেল Logo রাজাপুর-কাঁঠালিয়া উন্নয়ন ফোরামের কমিটি গঠন সভাপতি আবু ইউসুফ সেক্রেটারি জসীম উদ্দীন Logo পানছড়ির উল্টাছড়িতে ভোট ফর ওয়াদুদ ভূইয়া-ভোট ফর ধানের শীষ ক্যাম্পেইন Logo শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যোগ্যতা যাচাইয়ের আহ্বান উপ-প্রেস সচিবের Logo চট্টগ্রামের কারখানার ভয়াবহ আগুন ১৭ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে!

বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন চায় ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

Doinik Astha
Doinik Astha
  • আপডেট সময় : ০৩:০৭:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ১১১৪ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশে দ্রুত গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক নির্বাচন দেখার প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন ভারতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি। তিনি বলেন, আমরা উভয়ই (ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র) যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশে গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক নির্বাচন দেখতে চাই। আর এটি বাংলাদেশে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে সহায়তা করবে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ডব্লিউওআইএনকে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এরিক গারসেটি একথা বলেন।

সাক্ষাৎকারে ডব্লিউআইওএনের ‘ভিডিও জার্নালিস্ট’ ধিরাজ প্যাটেল বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতন ভারত সরকারের জন্য বড় আঘাত হিসেবে দেখা হচ্ছে। সেখানে বর্তমানে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের উত্থান ঘটছে। সেই সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়ছে চীনের। এসব বিষয়ে আপনার মূল্যায়ন কী? জবাবে এরিক গারসেটি বলেন, ‘আমরা উভয়েই (ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র) মৌলিক বিষয়গুলোর কথা বলছি। আমরা শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশের কথাও বলেছি।

তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র একক নীতিতে বিশ্বাস করে। সেটি হলো উভয় দেশই শান্তিপূর্ণ দক্ষিণ এশিয়া দেখতে চায়। এই মুহূর্তে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ হয়ে কাজ করছে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র।

ডব্লিউওআইএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, হোক সেটি বাংলাদেশ বা পৃথিবীর অন্য যে কোনও দেশ—ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা যেন কখনই নির্যাতনের শিকার না হন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেয় ড. ইউনূসের নেতৃত্বধীন অন্তর্বর্তী সরকার। বিভিন্ন খাতে সংস্কারের পাশাপাশি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা এই সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। গত বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে এসে আগামী নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি নিয়ে একটি ধারণা দেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি জানান, ২০২৫ সালের শেষ থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে হতে পারে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন।

তবে তার ঘোষিত সময় নিয়ে দেশের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি বিএনপিতে অসন্তোষ রয়েছে। দলটির নেতারা আগামী জুন থেকে আগস্টের মধ্যে নির্বাচনে দাবি জানিয়েছেন।

ট্যাগস :

বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন চায় ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট সময় : ০৩:০৭:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশে দ্রুত গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক নির্বাচন দেখার প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন ভারতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি। তিনি বলেন, আমরা উভয়ই (ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র) যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশে গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক নির্বাচন দেখতে চাই। আর এটি বাংলাদেশে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে সহায়তা করবে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ডব্লিউওআইএনকে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এরিক গারসেটি একথা বলেন।

সাক্ষাৎকারে ডব্লিউআইওএনের ‘ভিডিও জার্নালিস্ট’ ধিরাজ প্যাটেল বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতন ভারত সরকারের জন্য বড় আঘাত হিসেবে দেখা হচ্ছে। সেখানে বর্তমানে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের উত্থান ঘটছে। সেই সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়ছে চীনের। এসব বিষয়ে আপনার মূল্যায়ন কী? জবাবে এরিক গারসেটি বলেন, ‘আমরা উভয়েই (ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র) মৌলিক বিষয়গুলোর কথা বলছি। আমরা শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশের কথাও বলেছি।

তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র একক নীতিতে বিশ্বাস করে। সেটি হলো উভয় দেশই শান্তিপূর্ণ দক্ষিণ এশিয়া দেখতে চায়। এই মুহূর্তে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ হয়ে কাজ করছে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র।

ডব্লিউওআইএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, হোক সেটি বাংলাদেশ বা পৃথিবীর অন্য যে কোনও দেশ—ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা যেন কখনই নির্যাতনের শিকার না হন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেয় ড. ইউনূসের নেতৃত্বধীন অন্তর্বর্তী সরকার। বিভিন্ন খাতে সংস্কারের পাশাপাশি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা এই সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। গত বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে এসে আগামী নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি নিয়ে একটি ধারণা দেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি জানান, ২০২৫ সালের শেষ থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে হতে পারে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন।

তবে তার ঘোষিত সময় নিয়ে দেশের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি বিএনপিতে অসন্তোষ রয়েছে। দলটির নেতারা আগামী জুন থেকে আগস্টের মধ্যে নির্বাচনে দাবি জানিয়েছেন।