বাজিতপুর : মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রে প্রবর্তক, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী দর্শনের প্রবক্তা ক্ষণজন্মা রাষ্ট্রনায়ক শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাজিতপুর উপজেলা শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের আয়োজনে বাজিতপুর আদালত প্রাঙ্গণের বটতলা মাঠে বিকাল তিন ঘটিকায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাজিতপুর উপজেলা শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের সভাপতি মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে ও কাউসার হোসেন এর সঞ্চালনায় উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক এডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন বাংলাদেশের দুটি ক্রান্তিলগ্নে শহীদ জিয়া ধুমকেতুর মতো আবির্ভূত হয়েছিলেন। ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ পাক হানাদার বাহিনীর আক্রমণের পর শহীদ জিয়া ই প্রথম বিদ্রোহ ঘোষণা করে ২৬ মার্চ চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেন। শহীদ জিয়া ছিলেন স্বাধীন বাংলার আলোর দিশারী। ঠিক তেমনি মুক্তিযুদ্ধের সকল চেতনাকে যখন হত্যা করে বাংলাদেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা হয় তখন সিপাহী জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আবারো ক্ষমতা চুত্য বাংলাদেশকে কক্ষপথে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।
ধর্ম-বর্ণ জাতি নির্বিশেষে সকল নাগরিককে এক ছাতার নিচে আনার কালজয়ী দর্শন বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের ঐক্য, সংহতি কে সুসংহত করেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়া রহমান। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব অখন্ডতা প্রশ্নে আপোষহীন শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। দেশবিরোধী যন্ত্র কারীরা তাদের নীল নকশা বাস্তবায়নের কাটা ভেবে জিয়াকে নির্মমভাবে হত্যা করে কিন্তু তার এই আত্মত্যাগে জনগণের মধ্যে গড়ে উঠে দেশবিরোধী চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে এক ইস্পাত কঠিন গণঐক্য।
তিনি আরো বলেন আজ দেশ আবারও গভীর সংকটের মুখোমুখি দেশের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্রকে উপেক্ষা করে সকল জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধে আদর্শ শক্তিকে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
৫ আগস্ট দেশের জনগণ যেভাবে দৃঢ় চিত্তে স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারকে উৎখাত করেছিল সেই ঐক্য ধরে রেখেই আমাদের নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলকে কার্যকর রাখার উদাত্ত আহ্বান জানান।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলা শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের সভাপতি জীবন চন্দ্র দাস বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলা যুবদলের অন্যতম সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহ আলম,খাইরুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক কিশোরগঞ্জ জেলা শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদ। বক্তব্য রাখেন কিশোরগঞ্জ ও বাজিতপুর উপজেলা বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট শাহ আলম বলেন শহীদ জিয়ার যোগ্য উত্তরসূরী তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি ও নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই। নায়ক জনাব তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ৩১ দফার মূল চেতনা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাজিতপুর উপজেলার সাবেক ছাত্রদল সভাপতি এডভোকেট কাজী মঞ্জুরুল হক রোকন,দিঘীরপাড় ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম কাজল,বাজিতপুর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আনিসুর রহমান খোকন,যুগ্ম আহ্বায়ক ফ্রীডম সোহেল, সেচ্ছাসেবকদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রনি ভুইয়া,পৌর যুবদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক তানভীরুল হক খান সোহেল,দিঘীরপাড় ইউনিয়ন বিএনপির সহ সভাপতি সোহরাব হোসেন,পৌর যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মবিন খান,পৌর সেচ্ছাসেবকদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান,পৌর কৃষক দলের সভাপতি সোহেল,শামিম,বাছির,রমজান,হেলাল মিয়া সহ বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এমকে/আস্থা