জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান বলেছেন, আমরা এই পর্যায়ে(বয়স্ক) যারা অনেক কিছু দাবি করি। আমাদের দাবিতে উইথড্রো করতে হবে। ১৬ বছর বয়সে আমরা কিছু করতে পারি নাই। সামনেও সুযোগ নাই। যারা করেছে তাদেরকে করার সুযোগ করে দিতে হবে। অনেক দেশের প্রধানমন্ত্রী, প্রেসিডেন্ট তরুণ যুবক বয়সের। আমাদের আশ্চর্য হওয়ার কিছু নাই। ইয়ুথ তারাই অনেক কিছু করেছে। অনেক কিছু করবে। আমাদের শিল্প সাহিত্য পড়াশুনা নজরুল রবীন্দ্র নাথ তারা ইয়ুথদেরকে অনেক কিছু বলেছে। এটাই সত্য। এখন বয়স্কদের ছাড় দিতে হবে, ইয়ুথদের নেতৃত্বই মানতে হবে।
শুক্রবার ৭ ফেব্রুয়ারী) বেলা ১১ টায় বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের উদ্যোগে বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মোঃ শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক একেএম আব্দুল্লাহ খান, রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আমিনুল ইসলাম, মহানগর পুলিশ কমিশনার মোঃ মজিদ আলী প্রমুখ।
এসময় আটজেলার ডিসি, ইউএনওরা উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনি বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। মোখলেস উর রহমান বলেন, ব্রিটিশ আমলে সিভিল সার্ভিসের যখন জন্ম হয় তখনি ঢোকার বয়স ছিল ১৯। আজকে যারা ম্যাজিষ্ট্রেট দেখেন তাদের বয়স ছিল ১০। আর আমরা নানান আন্দোলন করে ৩২ এ নিয়ে গেছি। এখনও বলা হয় ৩৫ করা হোক। ১৯ বয়সে যদি কেউ ব্যারিষ্টার হতে পারে। তাহলে আমরা কেন এই বয়সে আড্ডা মারবো। পুলিশকে ট্রমাটাইজেশন থেকে তুলি আনতে হবে। পুলিশকে মরালি আপ করতে হবে। পুলিশকে সাহস দেয়ার জন্য আর্মি আনা হয়েছে। আর্মিকে সাহস দেয়ার জেন্য ম্যাজিষ্ট্রেসি পাওয়ার দেয়া হয়েছে। এভাবে আর কতদিন। মানুষকে স্বাভাবিক করতে হবে। এখন মানুষ স্বাভাবিকও হয়েছে। সমস্যা ছিল আছে থাকবে। এটাকে মিনিমাইজ করতে হবে। সমস্যা সমাধান করতে হবে। সমাধানের একমাত্র প্রতিষ্ঠান হলো ডিস্ট্রিক্ট এডমিনেস্ট্রেশন। তিনি বলেন, পীরগঞ্জে শুকনো জায়গায় মেরিন একাডেমি করা হয়েছে। এটা যদি ভালোভাবে না চলে তাহলে অন্য কিছু করতে হবে। পীরগঞ্জে আমরা ভোকেশনাল ইন্সটিটিউট করার পরিকল্পনা করেছি , মোখলেস বলেন, রংপুর শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা পৃথিবী এখন একনামে চিনে রংপুরকে। সেখানে শুয়ে আছেন জুলাই বিপ্লবের মহানায়ক শহীদ আবু সাঈদ। জুলাই বিপ্লবের পর তিন চারদিন সরকার ছিল না। কোন বাহিনী ছিল না। তখন স্টুডেন্টরা চালিয়েছিল। আপনারা চালিয়েছিলেন। কিন্ত তখন সেই লেবেলের কোন অপরাধ হয় নি। রাস্তায় ট্রাফিক ছিল না। কাজেই এগুলোকে মুল্যয়ন করতে হবে। এগুলোকে স্টাকচারাল মর্যাদায় দিতে হবে। ভবিষ্যতে যুবকরা নেতৃত্বে আসতেছে।
এমকে/আস্থা