কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে ১১বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা ঘটনার ১৫দিন পেরোলেও আসামি গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা
২১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে উপজেলার রাউতি ইউনিয়নের মেছগাঁও, মুড়াকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মামলার বিবরণী হতে জানা যায়, ঘটনার দিন ভুক্তভোগির বাবা চরমোনাই বাৎসরিক মাহফিলে থাকাকালীন গরুর ঘাস কাটার জন্য বাড়ির পাশের একটি খোলা মাঠে নিয়ে যায় প্রতিবেশী ও দূর সম্পর্কের আত্মীয় সুরুজ মিয়া (৫০)। সেখানে মেয়েটিকে ধর্ষণ চেষ্টা চালায় এবং ঘটনা গোপন রাখতে ১৫০ টাকার অফারও করে সুরুজ মিয়া। ঘটনা জানাজানির পর থেকে পলাতক ছিলেন সুরুজ মিয়াসহ তার পরিবারের লোকজন। তবে এখন প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করছেন সুরুজ মিয়া এবং ভুক্তভোগী পরিবারকে দিচ্ছেন হুমকি।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগির বাবা বাদি হয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয়রা বলছেন, ঘটনার পর মেয়ের বাবা চরমোনাই মাহফিল থেকে আসার পর উপজেলার রাউতি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যের বাড়িতে সালিশের কথা থাকলেও কোনো প্রকার সালিশ হয়নি। আসামি সেখানকার স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের অর্থের বিনিময়ে আপসের চাপ দেয় ভুক্তভোগীর স্বজনকে। যদিও শিশুটির পরিবার তা মানতে রাজি হয়নি। তারা আইনের দ্বারস্থ হয়েছে। কিন্তু ১৫দিনেও আসামি গ্রেফতার হয়নি। প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করছে এবং ভুক্তভোগির পরিবারকে নিয়মিত হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে।
ইউপি সদস্যের ভাষ্য, ‘ গঠনার পরদিন সকালে সুরুজ মিয়ার বিষয়টি আমাকে জানানো হয়৷ শোনার পরপরই আমি মেয়ের বাড়িতে যাই পরিবারের সাথে কথা বলি এবং সামাজিক ভাবে এটা মিমাংসা করার চেষ্টা করি এবং আমার বাড়িতে সালিশের জন্য স্থান নির্ধারণ করি। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী পরিবার তা মানতে রাজি হয়নি পরে তারা আইনের আশ্রয় নেন।
তাড়াইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বির রহমান বলেন, এ বিষয়ে যদি কেউ আপস করতে চাই তাহলে তারাও বিপদে পড়বে। শিশু ধর্ষণচেষ্টার মামলায় একমাত্র আসামি সুরুজ মিয়াকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।