কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে উঠানে হাঁস ঢুকাকে কেন্দ্র করে মাজেদা বেগম (৫০) নামে এক নারীকে ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প দিয়ে মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে তার আপন ভাতিজা মো. হাবিবের বিরুদ্ধে।
৩০ মার্চ সকালে তাড়াইল উপজেলার তালজাঙ্গা ইউনিয়েনের লাখপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় মাজেদার এক মেয়েও আহত হয়েছে। আহতরা বর্তমানে তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মাজেদার মাথায় সাতটি সেলাই করা হয়েছে এবং অবস্থা গুরুত্বর বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগির ছেলে মো. আ. মজিদ ৩ জনের বিরুদ্ধে তাড়াইল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন- লাখপুর গ্রামের মো. মজলু মিয়ার ছেলে হাবিব মিয়া, মজলু মিয়ার স্ত্রী পারভীন আক্তার ও মাজেদা বেগমের সহোদর ভাই মজলু মিয়া।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিবাদীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবৎ জমিজমা ও পারিবারিক বিরোধ চলছিল। সেই বিরোধের জেরে ঘটনার দিন সকালে বিবাদীর উঠানে হাঁস ঢুকে পড়া নিয়ে বাদী-বিবাদীদের মধ্যে কথাকাটা হয়। কথাকাটাকাটির এক পর্যয়ে বিবাদী পারভীন আক্তার মাজেদা বেগমের চুলের মুঠি ধরে ফেলে দিলে ভাতিজা হাবিব মিয়া ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প দিয়ে ফুফুর মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত ও শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করে এতে মারাত্মক জখম হোন। তখন তার ডাক চিৎকারে মাজেদার মেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে তাকেও মারধর করে মারাত্মক আহত করে।
এ বিষয়ে তাড়াইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বির রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত চলছে। অভিযোগটি আমলে নিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। দ্রুতই সেখান থেকে অনুমোদন আসলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।