DoinikAstha Epaper Version
ঢাকারবিবার ১৩ই এপ্রিল ২০২৫
ঢাকারবিবার ১৩ই এপ্রিল ২০২৫

আজকের সর্বশেষ সবখবর

সড়ক দুর্ঘটনাকে হামলা দেখিয়ে আপন চাচাকে মামলা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা!

রায়হান জামান, স্টাফ রিপোর্টার
এপ্রিল ১২, ২০২৫ ৪:২৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কিশোরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়াকে হামলার শিকার দেখিয়ে আপন দুই চাচা ও চাচাতো ভাইদের আসামি করে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে মো. কালু মিয়ার বিরুদ্ধে।

মো. কালু মিয়া কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার যশোদল মুসলিমপাড়ার গ্রামের মৃত ছমির উদ্দিনের ছেলে।

অপর দিকে যাদের মামলার আসামি করা হয়েছে তারা একই এলাকার তার আপন চাচা মো. আফির উদ্দিন, মো. সাফির উদ্দিন  ও  চাচাতো দুই ভাই মো. আশরাফুল ইসলাম ইমরান ও মো. মামুন মিয়া।

গত ১৯ অক্টোবর ২০২৩ ইং সালে কিশোরগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে কালু মিয়া বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে একটি মোকাদ্দমা দায়ের করেন।

সেই মামলার এজহারে কালু মিয়া আসামিদের সঙ্গে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধে আফির উদ্দিনের হুকুমের তার ছেলে ইমরান কালু মিয়াকে শাবল দিয়ে খুন করতে চাইলে কালু মিয়া ইমরানের শাবলের আঘাত ফিরাতে গিয়ে তার হাত ভেঙে যায়। এছাড়া অন্যান্য আসামিরা তাকে ও তার স্ত্রীকে এলোপাথাড়ি ভাবে আঘাত করে। অথচ সেদিন ঘটনাস্থালে উপস্থিত লোকজন বলছেন ভিন্ন কথা।

সেদিনকার দুর্ঘটনা সম্পর্কে অটোরিকশা চালক সোহেল মিয়া জানান ‘আমি একরামপুর থেকে যশোদল যাওয়ার পথে সৈয়দ নজরুল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে মুসলিমপাড়া থেকে হাসপাতালে আসা সড়কের মোড়ে কালু মিয়া নামে ওই লোক আমার অটোতে লেগে তার ডান হাতে আঘাত পায়। পরে সেখানকার স্থানীয়রা আমাকে মারধর করে তার হাতে ব্যান্ডেজের জন্য আমার সাথে থাকা দুই-তিনশ টাকা নিয়ে যায়।’

প্রত্যক্ষদর্শী মো. শামীম মিয়া জানান, ‘ওইদিন মেডিকেলে সামনে কালু মিয়াকে একটি অটোরিকশা ধাক্কা দিলে তার ডান হাতে ব্যাথা পায়। পরে স্থানীয় কয়েকজন তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়।’

ডিউটিরত কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার এ.এসআই রফিকুল ইসলাম জানান, ‘আফির উদ্দিন  ও তার ভাতিজা কালু মিয়ার মধ্যে বাড়ি সীমানা নিয়ে বিরোধ ছিল। আফির উদ্দিন থানায় একটি অভিযোগ করলে আমি সেদিন সেখানে ছিলাম এবং তার হাতে ব্যান্ডেজ দেখেছি’।

আরো পড়ুন :  ফুলবাড়িয়ায় সালিশে না আসায় পিতা-পূত্রকে কুপিয়ে হত্যা

যশোদল ৭নং ওয়ার্ড গ্রাম পুলিশ মো. দ্বীন ইসলাম বলেন, ‘সেদিন আফির উদ্দিন ও কালু মিয়ার বাড়ির সীমানা নির্ধারনের একটি দরবারে আমরা উপস্থিত ছিলাম । দরবার সমাধানের এক পর্যায়ে কালু মিয়া হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানা এ.এস আই রফিকুল ইসলামকে ধাক্কা দেয়। সেদিন চিল্লাচিল্লি হয়েছে কিন্তু কোনো মারামারি হয়নি। কালু মিয়ার হাতে ব্যান্ডেস করা ছিল।

ভুক্তভোগি স্বাস্থ্য সহকারী মো. আফির উদ্দিন জানান, কালু মিয়ার দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মুরাদ মিয়া, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য হোসনা আক্তারসহ এলাকার বেশির ভাগ মানুষই জানেন।

এরপরও বিষয়টিকে হামলায় মারপিটে আহত দেখিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনদের ফাঁসাতে মামলা করেছে কালু মিয়া। মামলার কারণে তিনিসহ তার স্বজনেরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তাই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন স্বাস্থ্য সহকারী আফির উদ্দিন।

এ বিষয়ে যশোদল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মুরাদ মিয়া বলেন, ‘কালু মিয়ার বোনের সাথে আফির উদ্দিনের বাড়ির সীমানা নির্ধারণ নিয়ে একটি ছোট দরবার ছিল। সেদিন আফির উদ্দিন সাহেবে অনুপস্থিতিতে উনার স্ত্রী ও বড় ছেলে ইমরান উপস্থিত ছিল। দরবারের দিন কোনো মারামারি হয়নি। আমরা সেদিন কালু মিয়ার ডান হাতে একটি ব্যান্ডেজ দেখতে পাই। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলে অটো রিকশা লাগিয়ে দিয়ে বলে।’

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, পুলিশের তদন্তের রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে সিআইডিতে তদন্তধীন আছে।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৪:২৩
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৬:২২
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:২৮
  • ১২:০৩
  • ৪:৩০
  • ৬:২২
  • ৭:৩৭
  • ৫:৪১