DoinikAstha Epaper Version
ঢাকাশুক্রবার ১১ই জুলাই ২০২৫
ঢাকাশুক্রবার ১১ই জুলাই ২০২৫

আজকের সর্বশেষ সবখবর

স্থলবাণিজ্য নিষেধাজ্ঞায় ভারতেকে বাংলাদেশের চিঠি

Astha Desk
মে ২১, ২০২৫ ১:২৩ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

স্থলবাণিজ্য নিষেধাজ্ঞায় ভারতেকে বাংলাদেশের চিঠি

অর্থনৈতিক প্রতিবেদকঃ

স্থলবন্দর দিয়ে তৈরি পোশাকসহ কয়েকটি পণ্য ভারতের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি দুুই দেশের বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের বৈঠকে সমাধান চায় বাংলাদেশ।

অংশীজন সঙ্গে বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ব্যাপারে ভারত সরকারের কাছে একটি চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।

স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পণ্য প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে করণীয় ঠিক করতে মঙ্গলবার সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘ভারতের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে পালটা কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে না। আমরা ভারতকে বলব, আপনারাও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, আসুন সুরাহার পথ বের করি।

আজ আমরা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অংশীজন সঙ্গে বসেছি, বৈঠকে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসাবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্য সচিব আরও বলেন, বৈঠকে তাদের মতামত নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতির আর যাতে অবনতি না হয়, সেজন্য প্রচেষ্টা থাকবে। ব্যবসায়ীরা তাদের মত দিয়েছেন। সেটি আমাদের নীতিনির্ধারক ও সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টাদের সঙ্গে আলোচনা করব। আমরা কোনো ধরনের রিটেলিয়েট কর্মসূচি নেব না, তারা এটা করেছে। আমরা তাদের সঙ্গে এনগেইজ হব।

এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা দুদেশের ব্যবসায়ীদের জন্য ক্ষতি হিসাবে উল্লে­খ করেন বাণিজ্য সচিব। সমস্যার সমাধানে দুদেশের মধ্যে সচিব পর্যায়ে একটি বৈঠক আয়োজনের চিন্তার কথাও জানান তিনি।

ভারতের এ পদক্ষেপে বেশি ক্ষতি কারা হচ্ছে- জানতে চাইলে সচিব বলেন, শুধু বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হননি, ভারতের ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। কাজেই আসুন আমরা বসি, একটা সুরাহার পথ বের করি। ভারতের সঙ্গে আমাদের সচিব পর্যায়ে ফোরাম আছে। বৈঠকের জন্য গত সপ্তাহে আমরা একটা চিঠি পাঠিয়েছি। সেই চিঠির উত্তর এলে আমরা বুঝতে পারব যে কবে বসা যায়।

আরো পড়ুন :  পানছড়িতে লোগাং স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত

বাণিজ্যসংশ্লিষ্টরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় ৮০ শতাংশ বাণিজ্য হয় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে।

বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ২৫০-৩০০ ট্রাক বিভিন্ন পণ্য ভারতে রপ্তানি হয়। যার মধ্যে শতাধিক ট্রাকে থাকে তৈরি পোশাক। তবে শনিবার (১৭ মে) একটি প্রজ্ঞাপনে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে গার্মেন্টস শিল্পের তৈরি পোশাক, সুতা, প্লাস্টিক, কাঠের তৈরি আসবাবপত্র এবং ফল ও ফলজাতীয় পণ্য আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত সরকার।

এতে বেনাপোল বন্দরে আটকা পড়েছে এসব পণ্য। ভারতের নবসেবা ও কলকাতা বন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানির সুযোগ রাখলেও ওইসব বন্দরের সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থা কঠিন ও ব্যয়বহুল হওয়ায় ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যে আগ্রহ কমেছে।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
[prayer_time]