ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে ৩০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের করতে চায় ট্রাম্প
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে কাছে থেকে নজরে রাখতে তেহরানকে এই বেসামরিক পরমাণু কর্মসূচিতে ৩০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগ দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। আলোচনার অংশ হিসেবে ইরানের ওপর আরোপিত কিছু নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা এবং বিদেশি ব্যাংকে আটকে থাকা ইরানের অর্থ ছাড়ের বিষয়টিও রয়েছে। সূত্র-সিএনএন।
সিএনএনের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে, মার্কিন প্রস্তাবের গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হলো, ইরানকে অবশ্যই সমস্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। যদিও ইরান বরাবরই বলে আসছে, তাদের শান্তিপূর্ণ জ্বালানি উৎপাদনের জন্য ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্রয়োজন, তবে যুক্তরাষ্ট্র চাইছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো মডেল অনুসরণ করে ইরান যেন বাইরে থেকে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম আমদানি করে।
সিএনএনের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, শুক্রবার হোয়াইট হাউসে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে এসব যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের মধ্যে খসড়া প্রস্তাবে ৩০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগের বিষয়টি রয়েছে। ওই অর্থ দিয়ে ইরানে নতুন একটি বেসামরিক, তবে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ সক্ষমতা ছাড়া পরমাণু কর্মসূচি চালু করা হবে। এই অর্থ সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র দেবে না, বরং ট্রাম্প প্রশাসন আরব উপসাগরীয় দেশগুলোকে এ বিনিয়োগের খরচ বহনের জন্য চাপ দিচ্ছে।
বিশেষ দূত উইটকফ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে ‘একটি পূর্ণাঙ্গ শান্তি চুক্তি’ করতে চায়। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, সব প্রস্তাবই ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখার লক্ষ্যেই দেওয়া হচ্ছে। তবে এই প্রস্তাবগুলো এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, সাম্প্রতিক সংঘাত শুরুর আগেই যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে পাঁচ দফা পরোক্ষ আলোচনা হয়েছে। ওমানে ষষ্ঠ দফার আলোচনা হওয়ার কথা ছিল, তবে ইসরায়েলের ইরানি স্থাপনায় হামলার কারণে সেটি ভেস্তে যায়।
নতুন করে আলোচনা শুরুর সম্ভাবনা থাকলেও ইরান কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ সপ্তাহে ইরানের পার্লামেন্ট জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা বন্ধের পক্ষে আইন পাস করেছে। পর্যবেক্ষকদের মতে, এর মাধ্যমে ইরান তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি আরও গোপন রাখতে চায়।