দুই কিলোমিটার গুরুত্বপূর্ণ সড়কে খানাখন্দ
জমি ও বাজেট সংকটে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে চলছে সড়ক মেরামত
- আপডেট সময় : ১০:২৬:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫
- / ১৩০৪ বার পড়া হয়েছে
কিশোরগঞ্জ শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক রেলওয়ে স্টেশন থেকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পর্যন্ত সড়কের প্রস্থ মাত্র ১০ ফুটের কম। এই সড়কটি প্রতিদিন হাজারো মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা। কিন্তু টানা বর্ষণে খানাখন্দে ভরে গিয়ে সড়কটি পরিণত হয়েছে মৃত্যুফাঁদে। রোগী, শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সবাই পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সরু এই সড়ক দিয়েই জেলার হোসেনপুর, তাড়াইল, করিমগঞ্জ, ইটনা, মিঠামইন ছাড়াও ময়মনসিংহের নান্দাইল ও নেত্রকোণার কেন্দুয়ার মানুষ চিকিৎসার জন্য শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন। অন্যদিকে হাওরাঞ্চল থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাক, ঢাকাগামী বাস ও অন্যান্য ভারী যানবাহনও একই সড়ক ব্যবহার করছে। কারণ, শহরের পূর্বপাশে চলমান বাইপাস সড়কের কাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। ফলে যানজট, ধুলোবালি, কাদা ও পানি জমে পথচারীদের জন্য এই সড়ক চলাচলে হয়ে উঠছে অনুপযোগী।

স্থানীয় বাসিন্দা মৌলানা শাহীন আলম বলেন, ‘এটি জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। প্রতিদিন হাজারো মানুষ মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে আসেন। কিন্তু বাইপাসের কাজ অসম্পূর্ণ থাকায় যানজট আরও বেড়েছে, রাস্তার খানাখন্দে মানুষের দুর্ভোগ সীমাহীন।’
একই কথা জানালেন এম্বুলেন্স চালক মো. সোহানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের গাফিলতি বড় সমস্যা নয়, মূল সংকট হচ্ছে সড়কের দু’পাশে সরকারি জমি না থাকায় স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না। এজন্য ভ্রাম্যমাণ ট্রাক প্রতিদিন রাতে খানাখন্দ ভরাট করছে। তবে বাইপাস পুরোপুরি শেষ না করে এই সড়কে বড় ধরনের কাজ করলে রোগী ও সাধারণ মানুষ আরও বিপাকে পড়বে।’
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিল মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, সড়কের দু’পাশে সরকারি জমি না থাকায় প্রশস্তকরণ আপাতত সম্ভব নয়। তবে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে খানাখন্দ সংস্কার চলছে এবং প্রাপ্ত বাজেটের মধ্যে স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। আশাবাদী দ্রুত কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।
তিনি আরও জানান, শহরের যানজট নিরসনে ছয় বছর আগে ৭৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮ কিলোমিটার বাইপাস সড়ক নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় কাজ বিলম্বিত হয়।বর্তমানে কাজ চলমান রয়েছে। আশা করছি আগামী জুনের মধ্যেই বাইপাসের মূল অংশ সম্পন্ন হবে। তখন পুরোপুরি না হলেও অধিকাংশ যানবাহন বাইপাসে চলাচল করতে পারবে।’
সড়কটির গুরুত্ব শুধু স্থানীয় নয়, এটি আঞ্চলিক যোগাযোগেরও অন্যতম প্রধান ধমনী। এ কারণে দ্রুত বাইপাস সড়ক চালু হওয়া এবং স্থায়ী সংস্কারকাজ শুরু করার মধ্যেই রয়েছে মানুষের মুক্তির পথ।















