ঢাকা ০৭:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo একটি স্নাইপার বুলেটই যথেষ্ট: বাঙালি নেতাকে কেএনএফ-এর হুমকি! Logo খাগড়াছড়িতে নাশকতার পরিকল্পনা করছে ইউপিডিএফ Logo সামনে ঘোর অন্ধকার-আমরা ঘুমাচ্ছি Logo খাগড়াছড়িতে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে যুবদলের প্রতিষ্ঠা বাষিকী পালিত Logo কিশোরগঞ্জে ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল Logo হোসেনপুরে পুলিশের হাত থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিল বিএনপি নেতারা Logo কিশোরগঞ্জ শহরে অটোরিকশার যানজট ও ফুটপাত দখল ভাঙতে মাঠে নামলেন ডিসি ফৌজিয়া খান Logo রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের মৃত্যুতে মহাসচিব মির্জা ফখরুলের শোক Logo রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের মৃত্যুতে প্রবাস থেকে শোক প্রকাশ করলেন সেলিম রেজা Logo নলছিটিতে বিএনপির পক্ষে জনসংযোগ ও পথসভা করলেন এ্যাড. শাহাদাৎ হোসেন

কেপি শর্মা ওলির পতনের পেছনে সাবেক রাজা জ্ঞানেন্দ্র হাত!

Astha DESK
  • আপডেট সময় : ০৩:১৮:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১৩০১ বার পড়া হয়েছে

PM in a bilateral meeting with the Prime Minister of Nepal, Shri KP Sharma Oli at Bangkok, in Thailand on April 04, 2025.

কেপি শর্মা ওলির পতনের পেছনে সাবেক রাজা জ্ঞানেন্দ্র হাত!

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

নেপালের সাবেক রাজা জ্ঞানেন্দ্র ষড়যন্ত্রে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির পতন হয়েছে। নেপালের সাবেক রাজা জ্ঞানেন্দ্র শাহ সংসদের ভোটে ২০০৮ সালে নেপালের সিংহাসন ত্যাগ করেন। এর ফলে নেপালের ২৪০ বছরের পুরোনো হিন্দু রাজতন্ত্র বিলুপ্ত হয়ে দেশটি ধর্মনিরপেক্ষ প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়।

সাবেক রাজা জ্ঞানেন্দ্রকে চলিত বছরের ৯ মার্চ
রোববার কাঠমান্ডুতে বড় ধরনের জনসমাবেশের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয়। সে সময়নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে সাবেক রাজা জ্ঞানেন্দ্র শাহকে স্বাগত জানিয়ে দেশটির বাতিল হওয়া রাজতন্ত্র পুনরায় চালু করার দাবি জানানো হয়েছে। ধারণা করা হয়, রাজা জ্ঞানেন্দ্র শাহকে স্বাগত জানাতে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় ১০ হাজার মানুষের জমায়েত হয়। সাবেক এই রাজা দেশটির পশ্চিমাঞ্চল সফর শেষে রাজধানীতে ফেরেন। সূত্র-রয়টার্স।

এ সময় উপস্থিত জনতা ‘রাজার জন্য রাজপ্রাসাদ খালি করুন। রাজা ফিরে আসুন, দেশকে বাঁচান। আমাদের প্রিয় রাজা দীর্ঘজীবী হোক। আমরা রাজতন্ত্র চাই’-সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। বিমানবন্দরের প্রবেশপথে জ্ঞানেন্দ্রর সমর্থকরা জমায়েত করায় যাত্রীরা পায়ে হেঁটে বিমানবন্দরে প্রবেশ এবং ত্যাগ করেন। এসময় বিক্ষোভকারীদের বিমানবন্দরে প্রবেশে বাধা দেয় কয়েকশ দাঙ্গা পুলিশ।

৭৭ বছর বয়সী জ্ঞানেন্দ্র ২০০১ সালে বড় ভাই বীরেন্দ্র বীর বিক্রম শাহ ও তার পরিবারের সদস্যরা গণহত্যায় নিহত হওয়ার পর সিংহাসনে বসেন। তিনি ২০০৫ সাল পর্যন্ত সাংবিধানিক রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে শাসন করে বলেন, রাজতন্ত্র বিরোধী মাওবাদী বিদ্রোহীদের পরাজিত করার জন্য তিনি এটি করছেন। রাজা সরকার ও সংসদ ভেঙে দেন, রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিকদের কারাবন্দি করেন, যোগাযোগ বন্ধ করে দেন এবং জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে সেনাবাহিনী দিয়ে দেশ শাসন শুরু করেন।

এই পদক্ষেপগুলো থেকে নেপালে বিশাল বিক্ষোভের সূচনা হয়। ২০০৬ সালে দেশজুড়ে তুমুল প্রতিবাদ-বিক্ষোভের মুখে রাজা জ্ঞানেন্দ্র শাহ ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন। সরকার মাওবাদীদের সাথে একটি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করে, যা দশকের দীর্ঘ গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটায় এবং হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি রোধ করে। ২০০৮ সালে জ্ঞানেন্দ্র সংসদের ভোটে সিংহাসনও ত্যাগ করেন। এর ফলে নেপালের ২৪০ বছরের পুরোনো হিন্দু রাজতন্ত্র বিলুপ্ত হয়ে দেশটি ধর্মনিরপেক্ষ প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়।

তবে এরপর থেকে নেপালে ১৩টি সরকার গঠিত হয়েছে এবং অনেকেই প্রজাতন্ত্র নিয়ে হতাশ। তারা মনে করেন, প্রজাতন্ত্র রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে ব্যর্থ হয়েছে এবং এটি অর্থনৈতিক সংকট ও ব্যাপক দুর্নীতির জন্য দায়ী। সূত্র-আল জাজিরা।

ট্যাগস :

কেপি শর্মা ওলির পতনের পেছনে সাবেক রাজা জ্ঞানেন্দ্র হাত!

আপডেট সময় : ০৩:১৮:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কেপি শর্মা ওলির পতনের পেছনে সাবেক রাজা জ্ঞানেন্দ্র হাত!

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

নেপালের সাবেক রাজা জ্ঞানেন্দ্র ষড়যন্ত্রে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির পতন হয়েছে। নেপালের সাবেক রাজা জ্ঞানেন্দ্র শাহ সংসদের ভোটে ২০০৮ সালে নেপালের সিংহাসন ত্যাগ করেন। এর ফলে নেপালের ২৪০ বছরের পুরোনো হিন্দু রাজতন্ত্র বিলুপ্ত হয়ে দেশটি ধর্মনিরপেক্ষ প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়।

সাবেক রাজা জ্ঞানেন্দ্রকে চলিত বছরের ৯ মার্চ
রোববার কাঠমান্ডুতে বড় ধরনের জনসমাবেশের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয়। সে সময়নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে সাবেক রাজা জ্ঞানেন্দ্র শাহকে স্বাগত জানিয়ে দেশটির বাতিল হওয়া রাজতন্ত্র পুনরায় চালু করার দাবি জানানো হয়েছে। ধারণা করা হয়, রাজা জ্ঞানেন্দ্র শাহকে স্বাগত জানাতে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় ১০ হাজার মানুষের জমায়েত হয়। সাবেক এই রাজা দেশটির পশ্চিমাঞ্চল সফর শেষে রাজধানীতে ফেরেন। সূত্র-রয়টার্স।

এ সময় উপস্থিত জনতা ‘রাজার জন্য রাজপ্রাসাদ খালি করুন। রাজা ফিরে আসুন, দেশকে বাঁচান। আমাদের প্রিয় রাজা দীর্ঘজীবী হোক। আমরা রাজতন্ত্র চাই’-সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। বিমানবন্দরের প্রবেশপথে জ্ঞানেন্দ্রর সমর্থকরা জমায়েত করায় যাত্রীরা পায়ে হেঁটে বিমানবন্দরে প্রবেশ এবং ত্যাগ করেন। এসময় বিক্ষোভকারীদের বিমানবন্দরে প্রবেশে বাধা দেয় কয়েকশ দাঙ্গা পুলিশ।

৭৭ বছর বয়সী জ্ঞানেন্দ্র ২০০১ সালে বড় ভাই বীরেন্দ্র বীর বিক্রম শাহ ও তার পরিবারের সদস্যরা গণহত্যায় নিহত হওয়ার পর সিংহাসনে বসেন। তিনি ২০০৫ সাল পর্যন্ত সাংবিধানিক রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে শাসন করে বলেন, রাজতন্ত্র বিরোধী মাওবাদী বিদ্রোহীদের পরাজিত করার জন্য তিনি এটি করছেন। রাজা সরকার ও সংসদ ভেঙে দেন, রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিকদের কারাবন্দি করেন, যোগাযোগ বন্ধ করে দেন এবং জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে সেনাবাহিনী দিয়ে দেশ শাসন শুরু করেন।

এই পদক্ষেপগুলো থেকে নেপালে বিশাল বিক্ষোভের সূচনা হয়। ২০০৬ সালে দেশজুড়ে তুমুল প্রতিবাদ-বিক্ষোভের মুখে রাজা জ্ঞানেন্দ্র শাহ ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন। সরকার মাওবাদীদের সাথে একটি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করে, যা দশকের দীর্ঘ গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটায় এবং হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি রোধ করে। ২০০৮ সালে জ্ঞানেন্দ্র সংসদের ভোটে সিংহাসনও ত্যাগ করেন। এর ফলে নেপালের ২৪০ বছরের পুরোনো হিন্দু রাজতন্ত্র বিলুপ্ত হয়ে দেশটি ধর্মনিরপেক্ষ প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়।

তবে এরপর থেকে নেপালে ১৩টি সরকার গঠিত হয়েছে এবং অনেকেই প্রজাতন্ত্র নিয়ে হতাশ। তারা মনে করেন, প্রজাতন্ত্র রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে ব্যর্থ হয়েছে এবং এটি অর্থনৈতিক সংকট ও ব্যাপক দুর্নীতির জন্য দায়ী। সূত্র-আল জাজিরা।