ভূমিকম্পে নিহত বাবা-ছেলের দাফন সম্পন্ন; এলাকায় শোকের ছায়া
- আপডেট সময় : ১১:১১:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫
- / ১০০৩ বার পড়া হয়েছে
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার উত্তরপাড়া গ্রামে সকালটা ছিল ভিন্নরকম; অন্য দিনের মতো নয়। সকাল সাড়ে ১০টায় স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে একসঙ্গে দুটি জানাজায় অংশ নিতে ভিড় করেন শত শত মানুষ। নিহত দেলোয়ার হোসেন উজ্জ্বল (৩৮) ও তার ১২ বছরের ছেলে ওমর ফারুকের নামাজের জানাযার পর দাফন সম্পন্ন হওয়ায় গ্রামজুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া।
দেলোয়ার হোসেন চাকরিজনিত কারণে নরসিংদী শহরের গাবতলী এলাকায় পরিবারের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন। গতকাল ( ২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৮ থেকে ১০টা ৩৯ মিনিটে নরসিংদীর মাধবদীতে ৫ দশমিক ৭ স্কেলের ভয়াবহ ভূমিকম্পে পাশের নির্মাণাধীন ভবনের একটি দেয়াল ধসে তাদের ওপর পড়ে। স্থানীয়রা গুরুতর আহত বাবা-ছেলেকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেন। সেখান থেকে দ্রুত পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেলে। সেখানে চিকিৎসক ওমরকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে সন্ধ্যার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দেলোয়ার।
নিহত দেলোয়ার বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশনে উচ্চমান সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আর তার ছেলে ওমর স্থানীয় একটি মাদরাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র ছিলেন। পরিবারটি ছিল পড়াশোনা ও ধর্মীয় শিক্ষার প্রতি নিবেদিত। এক মাত্র ছেলেকে হারানোর খবরে মাদরাসা ও আশপাশের এলাকায়ও শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
দুর্ঘটনার সময় দেলোয়ারের দুই মেয়ে একই দেয়ালের চাপায় আহত হন। তারা বর্তমানে নরসিংদীতে চিকিৎসাধীন। পরিবারের সদস্যরা জানান, এক মুহূর্তের মধ্যে ভেঙে গেছে তাদের স্বপ্ন, বদলে গেছে জীবন।
উত্তরপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, দেলোয়ার শান্ত স্বভাবের মানুষ ছিলেন। এলাকার সবার সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক ছিল ছেলে ওমর ছিল পরিবারের গর্ব। আচার-আচরণে ছিল ভদ্র ও ধর্মপ্রিয়।
আজ দুপুরে নামাজের জানাযা শেসে কবরস্থানে পাশাপাশি শায়িত বাবা-ছেলে। বাবা- ছেলের বিদায়ে পুরো এলাকায় নেমে এসেছে গভীর শোক। শোকসন্তপ্ত পরিবার এখন অপেক্ষা করছে আহত দুই মেয়ের সুস্থতার জন্য।



















