গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে ৮৬ হাজার ৯৬১ জন নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। করোনাসে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ১৩০ জনের। এ নিয়ে দেশে মোট ৮৭ হাজার ৮৮২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন বলে জানা গেছে ।
নিয়মিত যে সংখ্যক মানুষের পরীক্ষা হচ্ছে তার মধ্যে ভারতে সংক্রমণের হার বেড়ে হয়েছে ১১.৮৯ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে পরীক্ষা হয়েছে ৭ লক্ষ ৩১ হাজার ৫৩৪ জনের। যা গত গত ১০ দিনের তুলনায় অনেকটা কম।
আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যার মধ্যেই আশার আলো কোভিড রোগীদের সুস্থ হয়ে ওঠা। এখনও পর্যন্ত ভারতে মোট ৪৩ লক্ষ ৯৬ হাজার ৩৯৯ জন করোনার মুক্ত হয়েছেন। এ হিসেব অনুযায়ী, মোট আক্রান্তের ৮০ শতাংশই সুস্থ হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়েছেন ৯৩ হাজার ৩৫৬ জন। এই মুহূর্তে দেশে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ১০ লক্ষ ৩ হাজার ২৯৯ জন।
পাঁচ দিন পর ফের ৯০ হাজারের নীচে নামল ভারতের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। কিন্তু গত এক দিনে দেশে করোনা পরীক্ষা হল অনেক কম। যার জেরে সংক্রমণের হার পৌঁছেছে সাড়ে ১১ শতাংশের উপরে।
এখন পর্যন্ত ভারতের মহারাষ্ট্রেই মারা গিয়েছেন ৩২ হাজার ৬৭১ জন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা তামিলনাড়ুতে মোট মৃত্যু হয়েছে সাড়ে আট হাজার ৮১১ জনের। তৃতীয় স্থানে থাকা কর্নাটকে মৃতের সংখ্যা আট হাজার ছাড়িয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশেও মোট মৃত পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে। উত্তরপ্রদেশও আজ পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে মোট মৃতের সংখ্যা। দিল্লিতে মৃতের সংখ্যা পাঁচ হাজার ছুঁইছুঁই। পশ্চিমবঙ্গ (৪,৩৫৯), গুজরাত (৩,৩১৯) ও পঞ্জাব (২,৮১৩) মৃত্যু তালিকায় উপরের দিকে রয়েছে। মধ্যপ্রদেশ (১,৯৭০), রাজস্থান (১,৩৩৬), হরিয়ানা (১,১৪৯), তেলঙ্গানা (১,০৪২) ও জম্মু ও কাশ্মীরে (১,০০১) মোট মৃত্যু বেড়ে চলেছে। এর পর তালিকায় রয়েছে বিহার, ওড়িশা, ছত্তীসগঢ়, ঝাড়খণ্ড, অসম, কেরল, উত্তরাখণ্ড, পুদুচেরী, গোয়া, ত্রিপুরার মতো রাজ্যগুলি।
কোভিডে আক্রান্ত ও মৃত্যু দু’টি তালিকাতেই শুরু থেকে শীর্ষে মহারাষ্ট্র। সেখানে মোট আক্রান্ত ১২ লক্ষ পেরিয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা অন্ধ্রপ্রদেশে মোট আক্রান্ত ছ’লক্ষ ২৫ হাজার। তামিলনাড়ুতে মোট পাঁচ লক্ষ ৪১ হাজার ও চতুর্থ স্থানে থাকা কর্নাটকে পাঁচ লক্ষ ১৯ হাজার আক্রান্ত হয়েছেন। উত্তরপ্রদেশেও সংখ্যাটা তিন লক্ষ ৫৪ হাজারে পৌঁছেছে। দিল্লিতে দু’লক্ষ ৪৬ হাজার। পশ্চিমবঙ্গে তা দু’লক্ষ ২৫ হাজার। ওড়িশাতে মোট আক্রান্ত এক লক্ষ ৭৯ হাজার, তেলঙ্গানাতে ১ লক্ষ ৭২ হাজার ও বিহারে এক লক্ষ ৬৯ হাজার পার করেছে। অসমে সংক্রমিতের সংখ্যা দেড় লক্ষ ছাড়িয়েছে। গুজরাত, কেরল, রাজস্থান, হরিয়ানা ও গুজরাতে এক লক্ষ ছাড়িয়েছে মোট আক্রান্তের সংখ্যা। পঞ্জাব (৯৭ হাজার), ছত্তীসগঢ় (৮৬ হাজার), ঝাড়খণ্ড (৭১ হাজার), জম্মু ও কাশ্মীরে (৬৩ হাজার) মোট আক্রান্ত উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে।
আরও পড়ুনঃদীর্ঘদিন খুলে দেওয়া হল তাজমহলের প্রবেশ দ্বার