প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নথি জালিয়াতির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত বদলে দেওয়ার অভিযোগে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি (বহিস্কৃত) তরিকুল ইসলাম মমিনসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছেন পুলিশ।
চার্জশিটভুক্ত অন্যান্য আসামিরা হলেন— প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মচারী ফাতেমা খাতুন, নাজিম উদ্দীন, রুবেল, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফরহাদ হোসেন ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালের সাবেক কোষাধ্যক্ষ অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর এম আব্দুস সালাম আজাদ।
তেজগাঁও থানা পুলিশের পরিদর্শক ( নিরস্ত্র) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন সম্প্রতি ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৬ জনের বিরুদ্ধে এ চার্জশিট দাখিল করেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট জিআরও এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
চার্জশিটে বলা হয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোষাধ্যক্ষ পদে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম এনামুল হক, বুয়েটের প্রকৌশলী বিভাগের অধ্যাপক মো. আব্দুর রউফ এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালের সাবেক কোষাধ্যক্ষ অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর এম আবদুস সালাম আজাদের নাম প্রস্তাব করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করার পর তিনি অধ্যাপক ড. এম এনামুল হকের নামের পাশে টিক চিহ্ন করে দেন। এরপরে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য নথিটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর প্রস্তুতি পর্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অফিস সহকারী ফাতেমার কাছে এলে তিনি এম আবদুস সালাম আজাদ অনুমোদন পাননি বলে ছাত্রলীগের নেতা তরিকুলকে জানান।
লোহাগাড়ায় তিন ইউপি নির্বাচন, নৌকা পেলেন যারা
চার্জশিটে বলা হয়, নথিটিতে আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে ড. এম এনামুল হকের নামের পাশে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া টিক চিহ্নটি ‘টেম্পারিং’ করে সেখানে ক্রস চিহ্ন দেন। আসামিরা গত ৩ মার্চ নথিটি রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে চুড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠায়।
এই ঘটনায় গত ৫ মে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক-৭ মোহাম্মদ রফিকুল আলম জাতিয়ালির বিষয়টি নজরে আসলে তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় পরবর্তীতে ছাত্রলীগ নেতা তরিকুলকে ভোলা এবং আসামি ফরহাদে, ফাতেমা, রুবেল ও নাজিমকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তবে অপর একজন পলাতক রয়েছে।