আইপিএলের ১৩তম আসরের ষষ্ঠ ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোরকে করুণভাবে হারিয়ে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিয়েছে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। পাঞ্জাবের করা ২০৬ রানের জবাবে বেঙ্গালোর ১০৯ রানে গুটিয়ে গেলে লোকেশ রাহুলের দল পায় ৯৭ রানের বিশাল জয়।
পাঞ্জাবের দেয়া ২০৭ রানের পাহাড়সম লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং ধ্বসে পড়ে কোহলি এং কোং। কটরেল, সামির বোলিং তোপে দলীয় ৪ রানেই সাজঘরে ফিরে যান দেবদূত, জশ ফিলিপ এবং বিরাট কোহলি।
ভেঙ্গে পরা ব্যাটিং লাইনআপ মেরামতের দায়িত্ব কাধে তুলে নেন ফিঞ্চ এবং ডি ভিলিয়ার্স। দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে পরিস্থিতি কিছুতা সামাল দেন এই দুই তারকা। কিন্তু বেশিক্ষণ লড়াই চালিয়ে যেতে পারেননি তারা।
দলীয় ৫৩ রানে ফিঞ্চের বিদায়ের পরই আরসিবি শিবিরে শুরু হয় আসা যাওয়ার মিছিল। ওয়াশিংটন সুন্দর এবং শিভাম দুবে ছাড়া দুই অংকের রান ছুঁতে পারেননি আর কেউই।
শর্ত না মানলে সিরিজ নয়: শ্রীলঙ্কার
নিয়মিত আসা যাওয়ার মধ্য ব্যাঙ্গালোরের ইনিংসের চাকা থামে ১০৯ রানে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন সুন্দর। আর পাঞ্জাবের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন আশ্বিন এবং রবি বিষ্ণই।
এর আগে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবকে ব্যাট করতে পাঠান ব্যাঙ্গালোর দলপতি বিরাট কোহলি। ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত সূচনা করেন পাঞ্জাবের দুই ওপেনার; লোকেশ রাহুল এবং মায়াঙ্ক আগারওয়াল।
উদ্বোধনী জুটিতেই দলকে এনে দেন শক্ত ভীত। দলীয় ৫৭ রানে মায়াঙ্কের বিদায়ে ভাঙ্গে সেই জুটি। চাহালের গুগলিতে পরাস্থ হয়ে ২০ বলে ২৬ করে মাঠ ছাড়েন তিনি। এরপর পুরানকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন রাহুল। তুলে দেন চলতি আসরের নিজের প্রথম অঅর্ধশতক। এই দুই জনের ব্যাটে বড় সংগ্রহ দেখছিল পাঞ্জাব।
দলীয় ১১৪ এবং ব্যক্তিগত ১৭ রান করে দুবের শিকার বনে ভিলিয়ার্সের তালুবন্দি হয়ে সাজঘরে ফিরেন পুরান। ব্যর্থ হন ম্যাক্সওয়েলও। ৫ রানে সাজঘরে ফিরেন দুবের দ্বিতীয় শিকার হয়ে।
কিন্তু উইকেট আকরে ধরে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন রাহুল। রানের তুবড়ি ছোটান শতকের দিকে। সেই সঙ্গে চলতি আসরের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে তুলে নেন শতক। ৬২ বল খেলে ১২ চার এবং ৩ ছয়ের মারে শতক হাকান লোকেশ রাহুল।
শতক হাকিয়ে আরও যেন বেপোরোয়া হয়ে উঠেন পাঞ্জাব অধিনায়ক। একের পর এক বাউন্ডারি মারতে থাকেন। সঙ্গে নেন ক্যুরান নাইরকে। এই দুইজনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটের খরচায় ২০৬ রান তোলে পাঞ্জাব।
শেষ পর্যন্ত রাহুল অপরাজিত থাকেন ৬৯ বলে ১৩২ করে এবং ক্যুরান খেলেন ৮ বলে ১৫ রানের ইনিংস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব- ২০৬/৩
(লোকেশ রাহুল ১৩২*, মায়াঙ্ক ২৬; দুবে ২/৩৩, চাহাল ১/২৫)
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর- ১০৯/১০
(ওয়াশিংটন ৩০, ভিলিয়ার্স ২৮; আশ্বিন ৩/২১, বিষ্ণই ৩/৩২)