DoinikAstha Epaper Version
ঢাকামঙ্গলবার ২৬শে নভেম্বর ২০২৪
ঢাকামঙ্গলবার ২৬শে নভেম্বর ২০২৪

আজকের সর্বশেষ সবখবর

চীনে ৩ শতাধিক আটককেন্দ্রের সন্ধান

News Editor
সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২০ ১১:০১ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউট (এএসপিআই) এক প্রতিবেদনে জানায়, তারা চীনে ৩৮০টি’র বেশি সন্দেহজনক আটককেন্দ্র চিহ্নিত করেছে।

আটক কেন্দ্রের সংখ্যা আগের হিসেবের চেয়ে ৪০ শতাংশ বেশি বলে অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, সেগুলোতে ১০ লাখের বেশি মানুষকে আটকে রাখা হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাদের আটক করা হয়। যাদের অধিকাংশ মুসলিম উইঘুর এবং তুর্কিভাষী বাসিন্দা।

চীনা কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অংশ গ্রহণকারীরা ২০১৯ সালের শেষের দিকে পেশাগত দক্ষতা অর্জন শেষে স্নাতক ডিগ্রি পেয়েছে। শিবিরগুলো পেশাগত দক্ষতা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং উগ্রবাদের হুমকির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয় অংশ বলে চীন আরও জানায়। 

বেলারুশে আবারো বিক্ষোভ

প্রধান গবেষক নাথান রুশার বলেন, গবেষণায় পাওয়া তথ্য প্রমাণের সঙ্গে বেইজিংয়ের দাবি সাংঘর্ষিক। গবেষণা বলছে, বিচারবহির্ভুতভাবে আটক অনেক বন্দিকে এখন চীনা সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে বন্দি করেছে। তাদেরকে আরো কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টিত আটক কেন্দ্রে স্থানান্তর করেছে।

গবেষকরা, স্যাটেলাইটে পাওয়া ছবি, ভুক্তভোগীদের সাক্ষাতকার, গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন এবং আটক কেন্দ্র নির্মাণে দাফতরিক টেন্ডারের নথিপত্র বিশ্লেষণ করে আটক কেন্দ্রের সংখ্যা নির্ধারণ করেছে। আটককেন্দ্রগুলোতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা যেমন- সুউচ্চ দেয়াল, পর্যবেক্ষণ টাওয়ার এবং ভেতরে কাঁটাতারের দেয়া ছিল।

৬১টি আটক কেন্দ্রে নতুন নির্মাণ এবং সম্প্রসারণ করা হয়েছে। ২০২০ সালের জুলাইয়ে মধ্যে এ কাজ সম্পন্ন করা হয়। ১৪টির বেশি আটক কেন্দ্র এখনো নির্মাণাধীন।

৭০টি আটক কেন্দ্রের মূল কাঁটা তারের বেড়া বা দেয়াল সরিয়ে ফেলা হয়েছে। সেগুলো অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে বা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এএসপিআই জানায়, ৯০ শতাংশ আটক কেন্দ্রের সুরক্ষা অত্যন্ত নিম্নমানের।

জিনজিয়ান ডাটা প্রজেক্টের তথ্যে, আটক কেন্দ্রের বিস্তারিত ছাড়াও ওই অঞ্চলের মসজিদসহ সাংস্কৃতিক স্থাপনার বিস্তারিত তথ্য ছিল। 

রুশার বলেন, অনেক আটক কেন্দ্রে সম্প্রসারিত করা হয়েছে। সেগুলো শিল্প এলাকার পাশে স্থাপিত। আটক যাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হয়েছে তাদের অত্যাধিক নিরাপত্তা বেষ্টিত শিল্প কারখানাগুলোতে জোরপূর্বক শ্রমে বাধ্য করা হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পদ্ধতিগতভাবে জোরপূর্ব শ্রমে বাধ্য করার অভিযোগে জিনজিয়ান থেকে সম্প্রতি পণ্য আমদানি বন্ধের পক্ষে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মার্কিন রাজনৈতিকরা।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৫:০০
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৫:১৪
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:০৫
  • ১১:৪৯
  • ৩:৩৫
  • ৫:১৪
  • ৬:৩১
  • ৬:২০