দুই ওপেনার পৃথ্বি শ ও শিখর ধাওয়ানের এনে দেয়া দুর্দান্ত শুরুর পূর্ণ ফায়দা নিতে পারল না দিল্লি ক্যাপিট্যালস। একসময় মনে হচ্ছিল খুব সহজেই ২০০ রান করে ফেলবে দিল্লি। কিন্তু মাত্র ৩ উইকেট হারালেও ১৭৫ রানের বেশি করতে পারল না তারা। জয়ে ফিরতে চেন্নাই সুপার কিংসকে করতে হবে ১৭৬ রান।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসকে হারিয়েছিল চেন্নাই। তবে তারা হেরে গেছে রাজস্থানের বিপক্ষে পরের ম্যাচেই। তৃতীয় ম্যাচে খেলতে নেমে টস জিতলেও, সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগে বোলিং করা। সেই মোতাবেক শুরুটা খুব একটা ভালো না হলেও, শেষের অংশে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে চেন্নাইয়ের বোলাররা।
পরাজয়ের পাশাপাশি বড় অংকের জরিমানা গুণেছেন কোহলি
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নিজেদের ইনিংসের শুরুটা খুব একটা ঝড়ো গতিতে করতে পারেননি দিল্লির দুই ওপেনার পৃথ্বি ও ধাওয়ান। প্রথম পাওয়ার প্লে’র ছয় ওভারে আসে মাত্র ৩৬ রান। তবে কোনো উইকেট হারায়নি দিল্লি। পৃথ্বি ও ধাওয়ান এ সুবিধাটাই কাজে লাগান ইনিংসের পরের ৪ ওভার।
পাওয়ার প্লে’তে আক্রমণাত্মক খেলতে না পারলেও, সপ্তম থেকে দশম ওভার পর্যন্ত মাত্র ২৪ বলেই ৫২ রান করে ফেলেন দিল্লির দুই ওপেনার। রয়েসয়ে শুরু করা পৃথ্বি ৩৫ বলে তুলে নেন ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি। সে পথেই এগুচ্ছিলেন ধাওয়ান। তবে ইনিংসের ১১তম ওভারে তাকে ব্যক্তিগত ৩৫ রানের মাথায় আউট করে দেন লেগস্পিনার পিয়ুশ চাওলা।
সাজঘরে ফেরার আগে ৩ চার ও ১ ছয়ের মারে ২৭ বলে ৩৫ রান করেন ধাওয়ান। নিজের পরের ওভারে দিল্লি শিবিরে ফের আঘাত হানেন চাওলা। এবার তিনি তুলে নেন পৃথ্বি শ’র উইকেট। বড় কিছুর সম্ভাবনা জাগানো পৃথ্বি আউট হন ৪৩ বলে ৬৪ রান করে। নিজের ইনিংসটি সাজান ৯ চার ও ১ ছয়ের মারে।
দুই ওপেনার সাজঘরে ফিরে যাওয়ার সময় দিল্লির সংগ্রহ ১২.২ ওভারে ২ উইকেটে ১০৩ রান। সেখান থেকে শেষের ৪৬ বলে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দেয়ার দায়িত্ব বর্তায় অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার ও মারকুটে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান রিশাভ পান্তের কাঁধে। কিন্তু হতাশ করেন দুজনেই। ব্যাটিং করতে থাকেন ওয়ানডে স্টাইলে।
যে কারণে শেষের ৪৬ বলে ১ উইকেট হারালেও, দলীয় সংগ্রহে যোগ হয়েছে মাত্র ৭২ রান। ইনিংসের ১৯তম ওভারের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে অধিনায়ক আইয়ার করেন ২২ বলে ২৬ রান। শেষপর্যন্ত অপরাজিত থাকা পান্তের ব্যাট থেকে আসে ২৫ বলে ৩৭ রান।