ঢাকা ০৭:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo পানছড়ির জিয়ানগরে ভোট ফর ওয়াদুদ ভূইয়া-ভোট ফর ধানের শীষ ক্যাম্পেইন অনুষ্টিত Logo সব সরকারি কলেজে শিক্ষকদের ক্লাস বর্জন, পরীক্ষাও স্থগিত Logo ১৬ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে প্রথম সুষ্ঠু নির্বাচন হবে: প্রধান উপদেষ্টা Logo জয়ের সুযোগ হাতছাড়া করল বাংলাদেশ Logo শান্তি সম্মেলনে গাজা পুনর্গঠন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত Logo আমেরিকান দূতাবাসের সামনে হঠাৎ নিরাপত্তা জোরদার Logo বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ আজিজ মিয়ার শেষ বিদায়ে হাজার মানুষের ঢল Logo ঝালকাঠিতে এ্যাড. শাহাদাৎ হোসেনের গণসংযোগ Logo ঈশ্বরগঞ্জে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে সচেতনতামূলক মহড়া Logo রাজাপুরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালন র‌্যালি, আলোচনা সভা ও মহড়া অনুষ্ঠিত

১৫ বছর পর বিয়ে বাড়িতে মাকে খুঁজে পেলেন ছেলে

News Editor
  • আপডেট সময় : ১২:৪৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ১০৬১ বার পড়া হয়েছে

১৫ বছর বয়সে মাকে হারিয়ে ফেলেন আলামিন। এরপর বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেও মায়ের কোনো সন্ধান পাননি। তবু হাল ছাড়েননি। যেখানেই যেতেন মাকে খুঁজে বেড়াতেন। বিশ্বাস ছিল মাকে একদিন না একদিন পাবেন। অবশেষে এক বিয়ে বাড়িতে এসে মাকে খুঁজে পেয়েছেন তিনি।

শুক্রবার সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউপির চাঁদনিমুখা বাজারে স্থানীয়দের মাধ্যমে মা আবেদা বেগমকে খুঁজে পান আলামিন। দীর্ঘদিন পর মাকে কাছে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন ছেলে। এ সময় মায়ের দুই চোখ বেয়ে পানি পড়তে থাকে।

বীরাঙ্গনা হিসেবে গেজেট-ভুক্তের আবেদনকারী সেই আ.লীগ নেত্রী বহিষ্কার

আলামিনের বাড়ি বাগেরহাটের মোংলা থানার জিরোধারাবাজি এলাকার ঘরখোল গ্রামে। তারা চার ভাই ও দুই বোন।

আলামিন জানান, তাদের মা ১৫ বছর আগে ব্রেনের সমস্যা নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সব কিছু মনে রাখতে পারেন না। ঝড়-বৃষ্টির এক রাতে তাদের মা আবেদা বেগম বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। এলাকায় মাইকিং, থানায় জিডি, বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ দিয়েও মায়ের কোনো খোঁজ পাননি। তবে বিশ্বাস ছিল মা মরেনি। তিনি বেঁচে আছেন। তাই কোথাও গেলে সব কাজের ফাঁকে মাকে একটু খুঁজে দেখতেন। যা অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল।

তিনি বলেন, শুক্রবার দুপুরে প্রতিবেশীর এক আত্মীয়ের বিয়েতে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউপির চাঁদনিমুখা বাজারে আসি। এ সময় মায়ের কথা মনে পড়ে। তখন আশপাশে মাকে খুঁজতে থাকি। বাজারের লোকজন এক নামাজি পাগলির সন্ধান দিলেন। যিনি দুই বছর ধরে এ এলাকায় থাকছেন। বিষয়টি শুনেই বিয়ের বাড়ির কোলাহল ছেড়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকি। একপর্যায়ে গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের পাশের একটি দোকানের নিচে বসা ওই নামাজি পাগলিকে দেখি। আর তিনিই হলেন আমার মা।

গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম জানান, হারিয়ে যাওয়া মাকে খুঁজে পেয়েছেন সন্তানরা। ১৫ বছর পর সন্তানদের কাছে পেয়ে ওই নারী অনেক খুশি হয়েছেন।

ট্যাগস :

১৫ বছর পর বিয়ে বাড়িতে মাকে খুঁজে পেলেন ছেলে

আপডেট সময় : ১২:৪৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

১৫ বছর বয়সে মাকে হারিয়ে ফেলেন আলামিন। এরপর বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেও মায়ের কোনো সন্ধান পাননি। তবু হাল ছাড়েননি। যেখানেই যেতেন মাকে খুঁজে বেড়াতেন। বিশ্বাস ছিল মাকে একদিন না একদিন পাবেন। অবশেষে এক বিয়ে বাড়িতে এসে মাকে খুঁজে পেয়েছেন তিনি।

শুক্রবার সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউপির চাঁদনিমুখা বাজারে স্থানীয়দের মাধ্যমে মা আবেদা বেগমকে খুঁজে পান আলামিন। দীর্ঘদিন পর মাকে কাছে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন ছেলে। এ সময় মায়ের দুই চোখ বেয়ে পানি পড়তে থাকে।

বীরাঙ্গনা হিসেবে গেজেট-ভুক্তের আবেদনকারী সেই আ.লীগ নেত্রী বহিষ্কার

আলামিনের বাড়ি বাগেরহাটের মোংলা থানার জিরোধারাবাজি এলাকার ঘরখোল গ্রামে। তারা চার ভাই ও দুই বোন।

আলামিন জানান, তাদের মা ১৫ বছর আগে ব্রেনের সমস্যা নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সব কিছু মনে রাখতে পারেন না। ঝড়-বৃষ্টির এক রাতে তাদের মা আবেদা বেগম বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। এলাকায় মাইকিং, থানায় জিডি, বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ দিয়েও মায়ের কোনো খোঁজ পাননি। তবে বিশ্বাস ছিল মা মরেনি। তিনি বেঁচে আছেন। তাই কোথাও গেলে সব কাজের ফাঁকে মাকে একটু খুঁজে দেখতেন। যা অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল।

তিনি বলেন, শুক্রবার দুপুরে প্রতিবেশীর এক আত্মীয়ের বিয়েতে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউপির চাঁদনিমুখা বাজারে আসি। এ সময় মায়ের কথা মনে পড়ে। তখন আশপাশে মাকে খুঁজতে থাকি। বাজারের লোকজন এক নামাজি পাগলির সন্ধান দিলেন। যিনি দুই বছর ধরে এ এলাকায় থাকছেন। বিষয়টি শুনেই বিয়ের বাড়ির কোলাহল ছেড়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকি। একপর্যায়ে গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের পাশের একটি দোকানের নিচে বসা ওই নামাজি পাগলিকে দেখি। আর তিনিই হলেন আমার মা।

গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম জানান, হারিয়ে যাওয়া মাকে খুঁজে পেয়েছেন সন্তানরা। ১৫ বছর পর সন্তানদের কাছে পেয়ে ওই নারী অনেক খুশি হয়েছেন।