সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের অব্যাহতি পাওয়া আহ্বায়ক হাসান আল মামুন এবং যুগ্ম আহ্বায়ক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরুল হক নূরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্রী ১০টি বক্তব্য নিয়ে প্রকাশ্যে এসেছেন। শুক্রবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দুই পৃষ্ঠার ছাপার হরফে লেখা বক্তব্য নিয়ে বোরখা ও নেকাব পরে উপস্থিত হন তিনি। উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে ১৫-২০ মিনিট পরেই প্রেস ক্লাব ত্যাগ করেন।
‘আমার কিছু কথা’ শিরোনামে দেয়া বক্তব্যে ওই ছাত্রী বলেন, আমি কোনো ব্যক্তি, সংগঠন বা রাজনৈতিক দল কর্তৃক প্রভাবিত নই। এ বিষয়ে কেউ কুৎসা রটালে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব। দ্বিতীয় বক্তব্যে তিনি বলেন, জনপ্রিয়রা কি অন্যায় করে না? জনপ্রিয় দেখে কি সত্যটা মিথ্যা হয়ে যাবে? আর দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে পড়া একটি মেয়ে কি তার সর্বস্ব বিসর্জন দিয়ে মিথ্যা মামলা সাজাবে।
এমসি কলেজে গণধর্ষণ: অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মীদের ধরতে অভিযান
তিনি লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, এই সমস্যাটি সমাধানে যে চ্যাটগ্রুপ খোলা হয় তারা যদি সত্য প্রকাশ না করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব। এ সময় তিনি চ্যাটগ্রুপের কয়েকজনের নাম প্রকাশ করেন। তারা হলেন- শাকিল উজ্জামান, মঞ্জুর মোর্শেদ মামুন, আরিফ হোসেন, এপিএম সুহেল, জসিম উদ্দিন, লুৎফুন্নাহার লুমা, মোহাম্মদ উল্লাহ মধু, মাসুদ মোন্নাফ, আবু বক্কর খান, মো. আমিনুর রহমান, নিশাদ সুলতানা শাকী, তারেক রহমান এবং শামীম আহমেদ।
ভিপি নূরের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে লোকের কাছে অনেক আগেই বিচার দিলাম, সেই এখন এটাকে সরকারের প্রতিহিংসার মামলা বলে আন্দোলন করছে। আমার লজ্জা হচ্ছে যে এরকম একজন মানুষকে আমি ভিপি পদে ভোট দিয়েছিলাম। তিনি আরও বলেন, আমি সব হারিয়েছি, সব হারিয়েও আমি আন্দোলন করছি। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করছি। অন্ধভাবে নয়, সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এ ঘটনাটি বিচার করুন- দেশের জনগণের প্রতি এ আহ্বান তার।