সাভারের আলোচিত স্কুলছাত্রী নীলা রায় (১৪) হত্যাকাণ্ডের মামলায় প্রধান আসামি বখাটে মিজানুর রহমান (২০) ও তার দুই সহযোগী সাকিব (২১) ও জয়ের (২০) সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে রিমান্ড আবেদন করে আসামিদের ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সিনিয়ার জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট রাজীব হাসানের আদালতে আজ ওই তিন আসামির রিমান্ড শুনানি হবে।
প্রধান আসামি মিজানকে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাভারের রাজফুলবাড়িয়া এলাকার কর্নেল ব্রিক ফিল্ডের পাশে জনৈক পারভেজের টিনসেড বাড়ির একটি কক্ষ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে নীলা রায় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করা হয়।
এদিকে মিজানুরের বাবা আবদুর রহমান চৌধুরী (৬০) ও মা নাজমুন্নাহার সিদ্দিকা (৫০) ২ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। শুক্রবার ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাইরুজ তাসনীম ওই আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সাভার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, মিজানুরের বাবা-মাকে জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে।
নীলা হত্যা মামলার প্রধান আসামি মিজান গ্রেফতার
এর আগে গেল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মানিকগঞ্জ জেলার চারিগ্রাম এলাকা থেকে আবদুর রহমান চৌধুরী (৬০) ও মা নাজমুন্নাহার সিদ্দিকাকে (৫০) গ্রেফতার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)।
গ্রেফতার আবদুর রহমান নীলা রায় হত্যা মামলার ২ নম্বর ও তার স্ত্রী নাজমুন্নাহার সিদ্দিকা ৩ নম্বর আসামি। তারা সাভার পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের এ-৭৪/২ ব্যাংক কলোনির একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন।
নীলা রায় হত্যাকাণ্ডে ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতে মানিগঞ্জের আরিচাঘাট থেকে সেলিম পালোয়ান নামে সন্দেহভাজন এক যুবককেও গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি মিজানুরের প্রতিবেশী ও হত্যার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।
গত ২০ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে ভাইয়ের সঙ্গে রিকশায় করে হাসপাতালে যাওয়ার পথে নীলা রায়কে ছিনিয়ে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন মিজানুর। নীলার পরিবারের দাবি, প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তাকে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনার পরদিন সোমবার রাতে নিহতের বাবা নারায়ণ রায় সাভার থানায় মিজানুর, তার বাবা আবদুর রহমান চৌধুরী, মা নাজমুন্নাহার সিদ্দিকাসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।