ঢাকা ০১:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo ২১ নভেম্বর ঢাকা সেনানিবাসে সীমিত থাকবে যান চলাচল: আইএসপিআর Logo শাহজালালে পুশকার্টের ধাক্কায় ‘ভেঙে গেছে’ এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের চাকা Logo কারওয়ান বাজারে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ, সীমানা নিয়ে দুই থানার ‘ঠেলাঠেলি’ Logo আ.লীগের লকডাউনেও গণপরিবহন চলবে: শ্রমিক ফেডারেশন Logo কিশোরগঞ্জ-১ আসনের তরুণ ও প্রবীণ ভোটারদের আস্থার প্রতীক ভিপি ওয়ালী উল্লাহ রাব্বানী Logo পানছড়িতে পিসিসিপি’র ৫ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত Logo আইনজীবী ও বিএনপি নেতার নাম জড়িয়ে সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয়দের ক্ষোভ Logo ইরানকে সহায়তা করায় ভারতীয়সহ ৩২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা Logo খাগড়াছড়িতে ১৮ বছর পর ধানের শীষের পথ সভায় ওয়াদুদ ভূইয়া Logo নতুন করে পদায়ন করা হলো আরও ৯ ডিসি

নেটওয়ার্ক নেই, গাছে উঠেই করছে অনলাইন ক্লাস

News Editor
  • আপডেট সময় : ০২:১৬:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ১০৮২ বার পড়া হয়েছে

মহামারি করোনার কারণে অনলাইনেই ক্লাস চলছে অনেক দেশে। তবে সবার সামর্থ্য নেই অনলাইনে ক্লাস করার। কিছু অঞ্চল রয়েছে যেসব স্থান ফোনের সিগন্যাল ও ইন্টারনেট কানেকশন পাওয়াটাও বেশ দুরহের বিষয়।

তেমনই এক সমস্যায় পড়েছেন ব্রাজিলের সালভাদরের দুই বোন। পাহাড়ি অঞ্চলে তাদের বসবাস। ঘরে পাওয়া যায় না ফোনের সিগন্যাল। এ কারণে দূরের এক বিশাল গাছে চড়ে অনলাইনে ক্লাস করছেন তারা।

করোনা থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় সম্মিলিত লড়াই: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

জানা গেছে, প্রতিদিন একটি পাহাড়ের চূড়ায় ওঠেন তারা দু বোন। তারপর সেখানে থাকা এক জলপাই গাছে চড়ে বসেন মোবাইলের সিগন্যাল পাওয়ার জন্য। এভাবেই অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ নিতে হচ্ছে তাদের।

এল সালভাদরের গুয়াতেমালা সীমান্তবর্তী এল তাইগ্রে অঞ্চলে মোবাইল ফোনের সিগন্যাল পাওয়া খুব দুরূহ। তাই মোবাইলের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে অনলাইনে ক্লাস করতে বেশ ভুগছেন ওই তল্লাটের অন্য শিক্ষার্থীরাও।

দুই বোনের একজন ২২ বছর বয়সী গণিতের ছাত্রী মাতিলদে। তিনি বলেন, আমরা যারা প্রান্তিক অঞ্চলে থাকি, আমাদের জন্য পড়াশোনা করা সবচেয়ে কষ্টের কাজ। এখানে কোনো ইন্টারনেট সংযোগ নেই।

এল তাইগ্রে পাহাড়ে টহলের সময় দুই বোনকে এভাবে ক্লাস করতে দেখেন স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা কাস্ত্রো রুইজ। তারপরই এই দুই বোনের এমন মর্মস্পর্শী গল্প সবার সামনে আসে।

এ প্রসঙ্গে রুইজ বলেন, একদিন চলতি পথে পাহাড় চূড়ার জলপাই গাছে বসা এক তরুণীকে দেখে প্রথমেই ভাবনা এলো, নিশ্চয়ই ওর কিছু একটা হয়েছে। কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করতেই যা জবাব পেলেন, আমি শুধু পড়ালেখাটা চালিয়ে যেতে চাই। বিস্ময় ও বিমুগ্ধ ওই পুলিশ কর্মকর্তা একটি ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেন। সেই পোস্ট ভাইরাল হয়ে যায়।

পাহাড়ের চূড়ায় ওঠার জন্য এই বর্ষা মৌসুমে ওই দুই বোনকে সাপের ছোবল এড়িয়ে, প্রায় এক কিলোমিটার পিচ্ছিল পথ হেঁটে আসতে হয়। তারা সঙ্গে একটি ফোল্ডেবল টেবিল ও চেয়ার নিয়ে আসেন। আর বৃষ্টির সময় মাথায় ধরে রাখেন ছাতা। সেইসঙ্গে গাছের ফাঁকে লুকিয়ে থাকা বিষাক্ত পোকামকড় তো রয়েছেই। সব কিছু উপেক্ষা করেই এই দুই বোন লেখাপড়ার জন্য এমন ঝুঁকিও মেনে নিয়েছেন।

ইন্টারনেট ওয়ার্ল্ড স্ট্যাটাসের তথ্যমতে, দেশটির ৬৬ লাখ অধিবাসীর মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী প্রায় ৬০ শতাংশ। এদিকে ইউনিসেফ প্রকাশিত এক তথ্যসূত্রে জানা যায়, করোনা ভাইরাস বৈশ্বিক মহামারিতে সারা পৃথিবীতে ৪৬ কোটি ৩০ লাখ শিশু অনলাইন ক্লাসে অংশ নিতে অক্ষম।

সূত্র: এএফপি

নেটওয়ার্ক নেই, গাছে উঠেই করছে অনলাইন ক্লাস

আপডেট সময় : ০২:১৬:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

মহামারি করোনার কারণে অনলাইনেই ক্লাস চলছে অনেক দেশে। তবে সবার সামর্থ্য নেই অনলাইনে ক্লাস করার। কিছু অঞ্চল রয়েছে যেসব স্থান ফোনের সিগন্যাল ও ইন্টারনেট কানেকশন পাওয়াটাও বেশ দুরহের বিষয়।

তেমনই এক সমস্যায় পড়েছেন ব্রাজিলের সালভাদরের দুই বোন। পাহাড়ি অঞ্চলে তাদের বসবাস। ঘরে পাওয়া যায় না ফোনের সিগন্যাল। এ কারণে দূরের এক বিশাল গাছে চড়ে অনলাইনে ক্লাস করছেন তারা।

করোনা থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় সম্মিলিত লড়াই: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

জানা গেছে, প্রতিদিন একটি পাহাড়ের চূড়ায় ওঠেন তারা দু বোন। তারপর সেখানে থাকা এক জলপাই গাছে চড়ে বসেন মোবাইলের সিগন্যাল পাওয়ার জন্য। এভাবেই অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ নিতে হচ্ছে তাদের।

এল সালভাদরের গুয়াতেমালা সীমান্তবর্তী এল তাইগ্রে অঞ্চলে মোবাইল ফোনের সিগন্যাল পাওয়া খুব দুরূহ। তাই মোবাইলের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে অনলাইনে ক্লাস করতে বেশ ভুগছেন ওই তল্লাটের অন্য শিক্ষার্থীরাও।

দুই বোনের একজন ২২ বছর বয়সী গণিতের ছাত্রী মাতিলদে। তিনি বলেন, আমরা যারা প্রান্তিক অঞ্চলে থাকি, আমাদের জন্য পড়াশোনা করা সবচেয়ে কষ্টের কাজ। এখানে কোনো ইন্টারনেট সংযোগ নেই।

এল তাইগ্রে পাহাড়ে টহলের সময় দুই বোনকে এভাবে ক্লাস করতে দেখেন স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা কাস্ত্রো রুইজ। তারপরই এই দুই বোনের এমন মর্মস্পর্শী গল্প সবার সামনে আসে।

এ প্রসঙ্গে রুইজ বলেন, একদিন চলতি পথে পাহাড় চূড়ার জলপাই গাছে বসা এক তরুণীকে দেখে প্রথমেই ভাবনা এলো, নিশ্চয়ই ওর কিছু একটা হয়েছে। কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করতেই যা জবাব পেলেন, আমি শুধু পড়ালেখাটা চালিয়ে যেতে চাই। বিস্ময় ও বিমুগ্ধ ওই পুলিশ কর্মকর্তা একটি ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেন। সেই পোস্ট ভাইরাল হয়ে যায়।

পাহাড়ের চূড়ায় ওঠার জন্য এই বর্ষা মৌসুমে ওই দুই বোনকে সাপের ছোবল এড়িয়ে, প্রায় এক কিলোমিটার পিচ্ছিল পথ হেঁটে আসতে হয়। তারা সঙ্গে একটি ফোল্ডেবল টেবিল ও চেয়ার নিয়ে আসেন। আর বৃষ্টির সময় মাথায় ধরে রাখেন ছাতা। সেইসঙ্গে গাছের ফাঁকে লুকিয়ে থাকা বিষাক্ত পোকামকড় তো রয়েছেই। সব কিছু উপেক্ষা করেই এই দুই বোন লেখাপড়ার জন্য এমন ঝুঁকিও মেনে নিয়েছেন।

ইন্টারনেট ওয়ার্ল্ড স্ট্যাটাসের তথ্যমতে, দেশটির ৬৬ লাখ অধিবাসীর মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী প্রায় ৬০ শতাংশ। এদিকে ইউনিসেফ প্রকাশিত এক তথ্যসূত্রে জানা যায়, করোনা ভাইরাস বৈশ্বিক মহামারিতে সারা পৃথিবীতে ৪৬ কোটি ৩০ লাখ শিশু অনলাইন ক্লাসে অংশ নিতে অক্ষম।

সূত্র: এএফপি