সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ‘ছাত্রলীগের দখলে থাকা’ কক্ষ থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা হয়েছে। পুলিশ বাদী হয়ে শনিবার বেলা ১১টার দিকে সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরান থানায় এই মামলা করে। মামলার একমাত্র আসামি করা হয়েছে ছাত্রলীগ কর্মী এম সাইফুর রহমানকে। ছাত্রাবাসে তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় তাঁর স্বামীর করা মামলার প্রধান আসামিও এই সাইফুর।
অস্ত্র আইনে মামলা দায়েরের খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ূম চৌধুরী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এই মামলায় সাইফুর নামের একজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। যে কক্ষ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে, ওই কক্ষে সাইফুর থাকতেন।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনা ছাত্রাবাসের যে কক্ষটির সামনে ঘটেছিল, সেটি ‘ছাত্রলীগের দখল করা কক্ষ’ হিসেবে পরিচিত। ২০১২ সালে ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগ-ছাত্রশিবিরের সংঘর্ষের পর ছাত্রাবাসের ওই কক্ষটি ছাত্রলীগের দখলে ছিল। ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে শুক্রবার রাত তিনটার দিকে শাহপরান থানার একদল পুলিশ ছাত্রাবাসে অবস্থান নেয়।
ভোর সাড়ে চারটার দিকে তত্ত্বাবধায়কের বাংলোর পাশের কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে একটি পাইপগান, চারটি রামদা ও দুটি লোহার পাইপ উদ্ধার করা হয়। ধর্ষণ মামলার এজাহারে সাইফুর রহমানের বাড়ি উল্লেখ করা হয়েছে সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার চান্দাইপাড়া গ্রামের কথা। বর্তমান ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়কের বাংলো।
স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া এক তরুণীকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাতে সিলেট নগরীর টিলাগড় এলাকায় এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের ৭ নম্বর ব্লকের একটি কক্ষের সামনে এ ঘটনা ঘটে। করোনা পরিস্থিতিতে ছাত্রাবাস বন্ধ ছিল। তবে ছাত্রাবাসের ওই কক্ষ ২০১২ সাল থেকে ছাত্রলীগের দখল করা কক্ষ হিসেবে পরিচিত। অভিযোগ উঠেছে, ওই কক্ষে থাকা ছাত্রলীগের একটি পক্ষের ৬-৭ জন কর্মী এ ঘটনায় জড়িত।
মামলায় নয় আসামির মধ্যে ছয় আসামি সাইফুর রহমান (২৮), তারেকুল ইসলাম (২৮), শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি (২৫), অর্জুন লঙ্কর (২৫), রবিউল ইসলাম (২৫) ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুমের (২৫) নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের সবাই ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে পরিচিতি। এর মধ্যে তারেক ও রবিউল বহিরাগত। বাকিরা এমসি কলেজের সাবেক ছাত্র।