সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় দুই নিরাপত্তাকর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে মামলার আসামি ছাত্রাবাসের আবাসিক শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমানের সিট বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি এ ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে।
আজ শনিবার বিকেলে কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
এমসি কলেজে গণধর্ষণ: অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মীদের ধরতে অভিযান
সভা শেষে ছাত্রাবাসের দুই নিরাপত্তাকর্মীকে বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্ত হওয়া দুজন হলেন রাসেল মিয়া ও সবুজ আহমদ। তাঁরা দুজনই চুক্তিভিত্তিক নিরাপত্তাকর্মী ছিলেন।
যোগাযোগ করলে এমসি কলেজের অধ্যক্ষ সালেহ আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত দুজন নিরাপত্তাকর্মীর দায়িত্ব পালনে গাফিলতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ জন্য দুজনকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। মামলার আসামি ছাত্রাবাসের আবাসিক শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণ হলে কলেজ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে।
এদিকে এ ঘটনায় কলেজের গণিত বিভাগের প্রধান আনোয়ার হোসেনকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। অন্য দুজন হলেন ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক (হোস্টেল সুপার) মো. জামাল উদ্দিন এবং কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক জীবন কৃষ্ণ ভট্টাচার্য। তদন্ত কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন অধ্যক্ষ।