আর্মেনিয়ার আগ্রাসনের নিন্দা না জানিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আবারো নিজেদের দ্বৈতচরিত্র দেখিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ান। আর্মেনিয়াকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র আখ্যা দিয়ে দেশটিকে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি বলে অভিহিত করেন তিনি। পাশাপাশি আজারবাইজানকে সবধরনের সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এরদোয়ান।
একই অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন তুর্কি পার্লমেন্টের স্পিকার মুস্তফা সেনটেপ। হামলার ভয়াবহতার জন্য আর্মেনিয়াকে একা সব দায়ভার নিতে হবে বলেও সতর্ক করেন তিনি।
এর আগে এক বিবৃতিকে আজারবাইজানের পশ্চিমাঞ্চলীয় সীমান্তে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় আর্মেনিয়ার হামলার নিন্দা জানায় তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ‘আমরা আর্মেনিয়ার হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এ ধরনের হামলা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। আর্মেনিয়া হামলা চালিয়ে আজারবাইজানের সাধারণ মানুষকে হতাহত করেছে। এর তীব্র নিন্দা জানাই আমরা।’
এদিন, সকালে আজারবাইজানের বসতি লক্ষ্য করে হামলা চালায় আর্মেনিয়া। তারপর দু’পক্ষের মধ্যে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে। হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা এখনো জানা যায়নি।
বিশ্বের সবচেয়ে আবেদনময়ী অ্যাথলেট যখন খেলোয়াড়দের ফিটনেস ট্রেনার
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আবারো প্রমাণ হয়েছে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় আর্মেনিয়া সবচেয়ে বড় বাধা। আমরা সবপর্যায়ে আজারবাইজানের সঙ্গে আছি। জনগণ এবং ভূমি রক্ষা আজারবাইজানের অধিকার বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
তুর্কি প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র আর্মেনিয়ার হামলার নিন্দা জানান। বলেন, শহীদদের আল্লাহ শান্তিতে রাখুন।
টুইট বার্তায় মুখপাত্র ইবরাহিম কালিন বলেন, ‘আমরা আজারবাইজানের ওপর আর্মেনিয়ার হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। সাধারণ মানুষের বসতির ওপর হামলা চালিয়ে আর্মেনিয়া যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছ। আবারো তারা প্রমাণ করেছে আর্মেনিয়া শান্তি ও স্থিতিশীলতার বিপক্ষে।’ ভয়াবহ উস্কানি বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
টুইট বার্তায় তুর্কি ক্ষমতাসীন দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির মুখপাত্র ওমের সেলিক বলেন, আর্মেনিয়া মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। তিনি বলেন, আর্মেনিয়া আঞ্চলিক শান্তির জন্য হুমকি। আজারবাইজানের ওপর হামলা চালিয়ে প্রমাণ করেছে তারা আন্তর্জাতিক আইন মানে না।
তুর্কি প্রতিরক্ষামন্ত্রী এক বিবৃতিতে জানান, ‘আর্মেনিয়ার আগ্রাসন আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য অন্যতম বাধা। যদি অতিসত্বর তারা তাদের আচরণ না পাল্টায় তাহলে পুরো অঞ্চল উত্তপ্ত হয়ে উঠবে। আজারবাইজানের ভূখণ্ড রক্ষায় তুরস্ক যে কোনো মূলে দেশটির পক্ষে থাকবে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।