নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, করোনার মহামারী চলছে। এর মধ্যে কিছু লোক নানা অপকর্ম করছে; তবে এখন যে কোনো সেক্টরে অনিয়মটাই নিয়ম। সিস্টেমের ভেতর যারা আছে তারাই তো সিস্টেম ভাঙে। নারায়ণগঞ্জে বাড়িঘরের অনুমতি দেয়ার কথা রাজউকের। আর দিচ্ছে অন্যকেউ বা প্রতিষ্ঠান। রহমউল্লাহ ইন্সটিটিউট ভাঙার হাইকোর্টে নিষেধাজ্ঞা ছিল। সেটার সভাপতি জেলা প্রশাসক ছিলেন কিন্তু ভেঙে ফেলেছে অন্য কেউ। সবাই আইনের ভেতরে।
তিনি বলেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আমরা নিজেরা যারা রক্ষক তারা যদি ভক্ষক হয়ে যাই তাহলে কিন্তু পরবর্তী প্রজন্ম আইনকে মানবে না। আমার মনে হয় আমাদের সময় হয়েছে আমরা দলমত নির্বিশেষে সবাই একসঙ্গে কাজ করি। কিন্তু এ অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করা একা রাষ্ট্রের পক্ষে সম্ভব না। এটা সবাই মিলে করতে হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ছে
রোববার বিকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে নারায়ণগঞ্জের মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত ও আহত পরিবারপ্রতি প্রধানমন্ত্রীর দেয়া পাঁচ লাখ টাকার চেক প্রদান অনুষ্ঠানে শামীম ওসমান এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) জসিম উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই, আদালতের পিপি ওয়াজেদ আলী খোকন প্রমুখ।
চেক প্রদান অনুষ্ঠান শামীম ওসমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজে একজন এতিম মানুষ। উনি জানেন স্বজন হারানোর বেদনা কত কষ্টের। উনাদের দুই বোন একদিন হঠাৎ করেই জানতে পেরেছিলেন তাদের পরিবারকে হত্যা করা হয়েছে। তিনিও স্বজন হারিয়েছেন। একটি দুর্ঘটনা আরেকটি হত্যা। দুটি ঘটনাই স্বজন হারানোর। তাই আপনাদের স্বজনহারা বেদনা তিনি উপলব্ধি করতে পারেন প্রতি মুহূর্তে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনাদের জন্য নামাজে বসে দোয়া করেছেন এবং আপনাদের স্বজনহারা মানুষের কাছে দোয়া চেয়েছেন যে, তিনি যেন আপনাদের জন্য কাজ করতে পারেন। দেশের সব মানুষের মুখে যেন হাসি ফোটাতে পারেন। এই পাঁচ লাখ টাকা বা পাঁচ কোটি টাকা কোনো টাকাই না। স্বজন আর ফিরে আসবে না। দুনিয়ার সব সম্পদ দিলেও বাবার কাঁধে ছেলের লাশ আর মায়ের সামনে সন্তানের লাশের যন্ত্রণা অপূরণীয়।
শামীম ওসমান বলেন, এখনও মানুষ চুরি করছে। স্বাস্থ্য খাতে এখনও চুরি হচ্ছে। যতক্ষণ না পর্যন্ত বুঝতে পারব ততক্ষণ এগুলো চলবেই। চেক প্রদান শেষে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৪ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে এশার নামাজ চলাকালে ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিকট শব্দে বিস্ফোরণে ৩৮ জন মানুষ অগ্নিদগ্ধ হন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৩৪ জন।