নলছিটি প্রতিনিধি
ঝালকাঠির নলছিটি শহরের নান্দিকাঠি এলাকায় সৎভাইদের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার দুপুরে ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন রুহুল আমিন হাওলাদার। তাঁর বাবার মৃত্যুর পরে প্রথম স্ত্রীর সন্তানরা দ্বিতীয় স্ত্রীর সাত সন্তানকে পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র করছেন।
বিভিন্ন সময় নানা অযুহাত দেখিয়ে সৎভাইরা অস্ত্র নিয়ে রুহুল আমিন ও তাঁর পরিবারের ওপর হামলা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রুহুল আমিন হাওলাদার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তাঁর বোন নিলুফা ইয়াসমিন, সুপর্ণা বেগম ও ভাগ্নে নাহিদ হাসান। লিখিত বক্তব্যে রুহুল আমিন জানান, তাঁর বাবা বেল্লাল হোসেন হাওলাদার দুটি বিয়ে করেন। প্রথম স্ত্রীর ৬ সন্তান ও দ্বিতীয় স্ত্রীর সাত সন্তান রয়েছে। প্রথম স্ত্রীর সন্তানরা বাবার সম্পত্তির অধিকাংশ দখল করে রাখেন। ২০১৫ সালের ২৬ মে তাঁর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন : কাশবনে তরুণীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় এক যুবক গ্রেফতার
বাবা জীবিত থাকা অবস্থায় পৌর মেয়র ও স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে চিঠি লিখে সম্পত্তি বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু সৎভাইরা কখনো তাদের জমি বুঝিয়ে দেয়নি। জমি দাবি করলে তারা নির্যাতন করতেন। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করলেও তারা মানেছেন না। বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করলে ২০১৮ সালের ১৩ জুলাই জমি বন্টনের জন্য সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু সৎভাইয়েরা শালিস না মেনে জোর করে জমি ভোগ করছেন। এমনকি তাঁর কবলাকরা জমির সীমানা পিলারও ভেঙে ফেলেন তারা।
এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ১৫ জুলাই নলছিটি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন রুহুল আমিন। তার জমিতে সৎভাইয়েরা বিল্ডিং নির্মাণ করতে গেলে চলতি বছরের ৬ জুন আদালতে মামলা করেন। আদালত স্থিতিঅবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। মামলাটি চলমান থাকা অবস্থায় আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে তারা ভবন নির্মাণের কাজ করলে গত ৬ জুন নলছিটি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
জিডিতে তাঁর ভাগ্নে নাহিদ হাসানকে সাক্ষি রাখা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সামান্য বিষয় নিয়ে গত ১২ সেপ্টেম্বর ভাগ্নের ওপর হামলা চালানো হয়। তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষরা। সংবাদ সম্মেলনে রুহুল আমিন জানান, তিনি একজন সার্ভেয়ার (জমি পরিমাপক) ও শিক্ষানবিশ আইনজীবী। সকালে বাড়ি থেকে বেড় হয়ে ঝালকাঠি আদালতে আসতে হয়। বাড়িতে স্ত্রী ও সন্তানকে রেখে আসেন। তাঁর তিন সৎভাই প্রায়ই তাদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছেন। এতে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান।
রুহুল আমিন বলেন, সৎভায়ের স্ত্রী পারভিন বেগম আমার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছেন। পুলিশের কাছে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছেন। সাংবাদিকদের কাছেও ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করাচ্ছেন। এমনকি তিনি নলছিটি থানার এএসআই সুব্রত চন্দ্র রায়কে জড়িয়ে ষড়যন্ত্র করছেন। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার দাবি করছি।