ঢাকা ০৫:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo খাগড়াছড়িতে ৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস পালিত Logo পাহাড়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বাড়াতে টার্গেট সেনাবাহিনী Logo খাগড়াছড়িতে সেনা ক্যাম্প স্থাপনে বাধা প্রদানের প্রতিবাদে ঢাবিতে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল Logo একটি স্নাইপার বুলেটই যথেষ্ট: বাঙালি নেতাকে কেএনএফ-এর হুমকি! Logo খাগড়াছড়িতে নাশকতার পরিকল্পনা করছে ইউপিডিএফ Logo সামনে ঘোর অন্ধকার-আমরা ঘুমাচ্ছি Logo খাগড়াছড়িতে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে যুবদলের প্রতিষ্ঠা বাষিকী পালিত Logo কিশোরগঞ্জে ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল Logo হোসেনপুরে পুলিশের হাত থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিল বিএনপি নেতারা Logo কিশোরগঞ্জ শহরে অটোরিকশার যানজট ও ফুটপাত দখল ভাঙতে মাঠে নামলেন ডিসি ফৌজিয়া খান

মিন্নি,সাবরিনা,পাপিয়া: কেন তারা এত ভয়ংকর?

News Editor
  • আপডেট সময় : ০৭:০০:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর ২০২০
  • / ১০৭০ বার পড়া হয়েছে

মিন্নি,সাবরিনা,পাপিয়া: কেন তারা এত ভয়ংকর?এর কারন কি।দেখে নেওয়া যাক কিছু কারন।দীর্ঘ দিন শুনানীর বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত রিফাত হত্যা মামলার রায় গতকাল দিয়েছে ।

বরগুনায় চাঞ্চল্যকর এবং নারকীয় এই হত্যাকাণ্ডে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন নিহত রিফাতের স্ত্রী মিন্নি। আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, রিফাত হত্যাকাণ্ডের প্রধান পরিকল্পনাকারী মিন্নি।

সাম্প্রতিক সময়ে আরেক আলোচিত নারী অভিযুক্ত পাপিয়া। যুব মহিলা লীগের পরিচয়ে তিনি দূবৃত্ত হয়ে উঠেছিলেন। লুটেরা টাকায় ওয়েস্টিন হোটেলের প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুট ভাড়া নিয়ে রেখেছিলেন মাসের পর মাস। টেণ্ডার বাণিজ্য, নিয়োগ বাণিজ্য সহ নানা অপকর্ম করতেন পাপিয়া।

পাপিয়াকে দেখানো হলো মায়ের মরদেহ

পেশায় চিকিৎসক, বিসিএস ক্যাডার ডা. সাবরিনা। অথচ তিনি এবং তার প্রাক্তন স্বামী মিলে করোনার ভুয়া রিপোর্ট দিতেন। ভুয়া রিপোর্ট এবং জাতীয় পরিচয় পত্র জালিয়াতি মামলায় তিনিও গ্রেপ্তার।

সাম্প্রতিক সময়ে অনেক নারীরা এমন সব অপরাধে জড়াচ্ছেন, যা স্বাভাবিক ভাবে ভাবাও অকল্পনীয়। রংপুরে একজন আইনজীবী স্ত্রী পরকীয়া করতে যেয়ে স্বামীকে হত্যা করেন বলে অভিযুক্ত হয়েছে। আওয়ামী লীগ এবং সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে লোপা শিশু অপহরণে অভিযুক্ত। একজন নারী সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিপুল অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

কারাবিধি অনুযায়ী ডিভিশন পাবেন ডা. সাবরিনা

এভাবে ফিরিস্তি দিলে এই তালিকা দীর্ঘ হবে। সে তালিকা প্রকাশ করা আমাদের মূল উদ্দেশ্য নয়। আমাদের সমাজে একদিক যেমন ধর্ষণ সহ নানা নারী নির্যাতনের ঘটনা বাড়ছে, তেমনি নারীদের অপরাধ প্রবণতাও বাড়ছে, বাড়ছে নারীদের দুর্নীতি, মাদকাসক্তি।

বাংলাদেশের নারীরা সব সময় ভালবাসা এবং সৌন্দর্যের প্রতীক ছিলো। মা, বোন, স্ত্রী তিন রূপেই তারা মমতাময়ী, আদর্শবান।

কিন্তু সেই ধারার বিপরীতে নারীরা হয়ে উঠছে খুনী, মাদক ব্যবসায়ী, প্রতারক ।এর কারন কি। সত্যি কি তারা অপরাধী নাকি পুরুষরা তাদের বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহার করছে?

নারীদের ত্যাগী আদর্শ পাল্টে যাচ্ছে কেন? এটা কি দেশের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক বাস্তবতার চিত্র ।নারীরা কেন খুন অপহরণের মধ্যে জড়াচ্ছে এটা কি সামাজিক অবক্ষয়েরই একটি চিত্র এই প্রশ্ন গুলো অত্যন্ত সঙ্গত কারণেই সামনে আসছে।

মিন্নি, লোপা, পাপিয়া, সাবরিনারা ব্যতিক্রম নাকি এই ধারায় আরো অনেকেই আছেন, যাদের নাম আমরা জানি না। একজন নারী একজন ‘মা’ তার হাতেই গড়ে ওঠে আগামীর বাংলাদেশের প্রজন্ম।

কিন্তু তাদের যখন এই বিপথগামীতার মিছিল দেখি তখন প্রশ্ন উঠতেই পারে, আমদের দেশ ও সমাজ কোথায় যাচ্ছে।অনেক নারীরা কেন ভয়ংকর হয়ে উঠছে, তা নিয়ে বিজ্ঞানমনস্ক গবেষণা প্রয়োজন এখন সময়ের দাবী।

মিন্নি,সাবরিনা,পাপিয়া: কেন তারা এত ভয়ংকর?

আপডেট সময় : ০৭:০০:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর ২০২০

মিন্নি,সাবরিনা,পাপিয়া: কেন তারা এত ভয়ংকর?এর কারন কি।দেখে নেওয়া যাক কিছু কারন।দীর্ঘ দিন শুনানীর বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত রিফাত হত্যা মামলার রায় গতকাল দিয়েছে ।

বরগুনায় চাঞ্চল্যকর এবং নারকীয় এই হত্যাকাণ্ডে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন নিহত রিফাতের স্ত্রী মিন্নি। আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, রিফাত হত্যাকাণ্ডের প্রধান পরিকল্পনাকারী মিন্নি।

সাম্প্রতিক সময়ে আরেক আলোচিত নারী অভিযুক্ত পাপিয়া। যুব মহিলা লীগের পরিচয়ে তিনি দূবৃত্ত হয়ে উঠেছিলেন। লুটেরা টাকায় ওয়েস্টিন হোটেলের প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুট ভাড়া নিয়ে রেখেছিলেন মাসের পর মাস। টেণ্ডার বাণিজ্য, নিয়োগ বাণিজ্য সহ নানা অপকর্ম করতেন পাপিয়া।

পাপিয়াকে দেখানো হলো মায়ের মরদেহ

পেশায় চিকিৎসক, বিসিএস ক্যাডার ডা. সাবরিনা। অথচ তিনি এবং তার প্রাক্তন স্বামী মিলে করোনার ভুয়া রিপোর্ট দিতেন। ভুয়া রিপোর্ট এবং জাতীয় পরিচয় পত্র জালিয়াতি মামলায় তিনিও গ্রেপ্তার।

সাম্প্রতিক সময়ে অনেক নারীরা এমন সব অপরাধে জড়াচ্ছেন, যা স্বাভাবিক ভাবে ভাবাও অকল্পনীয়। রংপুরে একজন আইনজীবী স্ত্রী পরকীয়া করতে যেয়ে স্বামীকে হত্যা করেন বলে অভিযুক্ত হয়েছে। আওয়ামী লীগ এবং সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে লোপা শিশু অপহরণে অভিযুক্ত। একজন নারী সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিপুল অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

কারাবিধি অনুযায়ী ডিভিশন পাবেন ডা. সাবরিনা

এভাবে ফিরিস্তি দিলে এই তালিকা দীর্ঘ হবে। সে তালিকা প্রকাশ করা আমাদের মূল উদ্দেশ্য নয়। আমাদের সমাজে একদিক যেমন ধর্ষণ সহ নানা নারী নির্যাতনের ঘটনা বাড়ছে, তেমনি নারীদের অপরাধ প্রবণতাও বাড়ছে, বাড়ছে নারীদের দুর্নীতি, মাদকাসক্তি।

বাংলাদেশের নারীরা সব সময় ভালবাসা এবং সৌন্দর্যের প্রতীক ছিলো। মা, বোন, স্ত্রী তিন রূপেই তারা মমতাময়ী, আদর্শবান।

কিন্তু সেই ধারার বিপরীতে নারীরা হয়ে উঠছে খুনী, মাদক ব্যবসায়ী, প্রতারক ।এর কারন কি। সত্যি কি তারা অপরাধী নাকি পুরুষরা তাদের বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহার করছে?

নারীদের ত্যাগী আদর্শ পাল্টে যাচ্ছে কেন? এটা কি দেশের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক বাস্তবতার চিত্র ।নারীরা কেন খুন অপহরণের মধ্যে জড়াচ্ছে এটা কি সামাজিক অবক্ষয়েরই একটি চিত্র এই প্রশ্ন গুলো অত্যন্ত সঙ্গত কারণেই সামনে আসছে।

মিন্নি, লোপা, পাপিয়া, সাবরিনারা ব্যতিক্রম নাকি এই ধারায় আরো অনেকেই আছেন, যাদের নাম আমরা জানি না। একজন নারী একজন ‘মা’ তার হাতেই গড়ে ওঠে আগামীর বাংলাদেশের প্রজন্ম।

কিন্তু তাদের যখন এই বিপথগামীতার মিছিল দেখি তখন প্রশ্ন উঠতেই পারে, আমদের দেশ ও সমাজ কোথায় যাচ্ছে।অনেক নারীরা কেন ভয়ংকর হয়ে উঠছে, তা নিয়ে বিজ্ঞানমনস্ক গবেষণা প্রয়োজন এখন সময়ের দাবী।