সাভারে ঘরে ঢুকে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ মামলার আরো তিন আসামি পলাতক রয়েছে।
গ্রেফতাররা হলেন- নওগাঁর মিরাজ মণ্ডলের ছেলে মহিদুল মণ্ডল, মোহাম্মদ আতোয়ারের ছেলে তারিকুল ইসলাম, দিনাজপুরের সোলমান আলীর ছেলে মোজাহারুল ইসলাম। বুধবার রাতে সাভারের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিলে দেশে ধর্ষণ বন্ধ হবে
পলাতক আসামিরা হলেন— বাসুদেব, মুক্তার ও আলম। তারা ভাগলপুর সিরামিক্স বাজার রোড এলাকার ভাড়াটিয়া।
জানা গেছে, ভাগলপুর সিরামিক্স বাজার রোড এলাকার একটি রিকশার গ্যারেজের একটি ঘরের ভাড়াটিয়া ছিলেন ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ। পাশের কক্ষের ভাড়াটিয়া মহিদুল মণ্ডল বিভিন্ন সময় তাকে কুপ্রস্তাব দিতো। এতে রাজি না হওয়ায় তাকে ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছিল সে। মঙ্গলবার ওই গৃহবধূর স্বামী কিছুদিন আগে কাজের জন্য নওগাঁ চলে যান। রাতে খাবার খেয়ে তিনি নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। গভীর রাতে মহিদুল, তরিকুল, মোজাহারুল, বাসুদেব, মুক্তার ও আলম ঘরে ঢুকে হাত-পা ও মুখ চেপে ধরে ওই গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম জানান, গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। তাদের সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তারা আদালতে স্বীকারোক্তি দিতে সম্মত হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ। তাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।