গত আগস্টে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় দুই রুশ নাগরিককে আটক করতে ইন্টারপোলের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। ওই দুইজন হলেন সাত বছর আগে বৈরুতে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট নিয়ে যাওয়া জাহাজটির ক্যাপ্টেন এবং মালিক। লেবাননের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি (এনএনএ) এ তথ্য জানিয়েছে।
গত ৪ আগস্ট বৈরুত বন্দরের ২ হাজার ৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট মজুত রাখা একটি গোডাউনে শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। এতে প্রাণ হারান অন্তত ১৯৩ জন, আহত হন সাড়ে ছয় হাজারের বেশি। শহরের প্রায় অর্ধেক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গৃহহীন হয়ে পড়েছেন তিন লাখেরও বেশি মানুষ।
এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ উঠেছে। ইতোমধ্যেই বৈরুত বন্দরের প্রায় দুই ডজন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার লেবাননের রাষ্ট্রপক্ষ ইন্টারপোলের কাছে নাম উল্লেখ না করেই দুই রুশ নাগরিককে আটক করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
ট্রাম্পের উপদেষ্টা করোনা পজিটিভ, কোয়ারেন্টাইনে ট্রাম্প ও মেলানিয়া
জানা গেছে, ২০১৩ সালে বৈরুতে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট নিয়ে যাওয়া এমভি রোসাসের ক্যাপ্টেন ছিলেন বরিস প্রকোশেভ এবং জাহাজটির মালিক ইগর গ্রেচুশকিন।
গত আগস্টে বিস্ফোরণের পরপরই ইন্টারপোলের অনুরোধে সাইপ্রাসে বসবাসকারী গ্রেচুশকিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল স্থানীয় পুলিশ। তবে রাশিয়া থেকে প্রকোশেভ জানিয়েছেন, তার কাছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এখনও কেউ যাননি।
তিনি দাবি করেছেন, সাত বছর আগে মালিকের নির্দেশেই বাড়তি কার্গো ওঠাতে বৈরুত বন্দরে গিয়েছিলেন তারা। পরে আইনি জটিলতায় জাহাজটি সেখানেই ফেলে রাখা হয়। লেবানিজ কর্তৃপক্ষ বিপজ্জনক রাসায়নিকের ব্যবস্থাপনায় অবহেলা করেছিল বলেও দাবি করেছেন এ ব্যক্তি।
দুই রুশ নাগরিককে আটকের অনুরোধের বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি রাশিয়ার ইন্টারপোল ব্যুরো।
সূত্র: রয়টার্স