ঢাকা ০৬:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo কিশোরগঞ্জে হাতপাখা প্রতীকের সমর্থনে বর্ণাঢ্য মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা Logo খাগড়াছড়িতে রোকেয়া দিবসে “অদম্য নারী সম্মাননা” পেলো ৩ নারী Logo নাইক্ষ্যংছড়িতে মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ Logo কিশোরগঞ্জে-১ আসনে কাস্তে প্রতীকের প্রার্থী এনামুল হকের সমর্থনে গণমিছিল  Logo পানছড়িতে পিসিসিপি’র শীতবস্ত্র বিতরণ Logo পানছড়িতে জামায়াত প্রার্থীর গনসংযোগ ও মতবিনিময় Logo পানছড়িতে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় চোরাই পণ্য আটক Logo চাঁদা না দেওয়ায় বাড়ি নির্মাণে বাধা, ভূমি দখলচেষ্টা ও হত্যার হুমকির Logo ইকরা গার্মেন্টসের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo আবার মাইনাস তৎপরতায় ডিপ স্টেট: মাসুদ কামাল

বৈরুতে বিস্ফোরণ: দুই রুশ নাগরিককে আটক চান তদন্তকারীরা

News Editor
  • আপডেট সময় : ১১:১২:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ অক্টোবর ২০২০
  • / ১১৩৭ বার পড়া হয়েছে

গত আগস্টে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় দুই রুশ নাগরিককে আটক করতে ইন্টারপোলের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। ওই দুইজন হলেন সাত বছর আগে বৈরুতে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট নিয়ে যাওয়া জাহাজটির ক্যাপ্টেন এবং মালিক। লেবাননের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি (এনএনএ) এ তথ্য জানিয়েছে।

গত ৪ আগস্ট বৈরুত বন্দরের ২ হাজার ৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট মজুত রাখা একটি গোডাউনে শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। এতে প্রাণ হারান অন্তত ১৯৩ জন, আহত হন সাড়ে ছয় হাজারের বেশি। শহরের প্রায় অর্ধেক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গৃহহীন হয়ে পড়েছেন তিন লাখেরও বেশি মানুষ।

এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ উঠেছে। ইতোমধ্যেই বৈরুত বন্দরের প্রায় দুই ডজন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার লেবাননের রাষ্ট্রপক্ষ ইন্টারপোলের কাছে নাম উল্লেখ না করেই দুই রুশ নাগরিককে আটক করার অনুরোধ জানিয়েছেন।

ট্রাম্পের উপদেষ্টা করোনা পজিটিভ, কোয়ারেন্টাইনে ট্রাম্প ও মেলানিয়া

জানা গেছে, ২০১৩ সালে বৈরুতে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট নিয়ে যাওয়া এমভি রোসাসের ক্যাপ্টেন ছিলেন বরিস প্রকোশেভ এবং জাহাজটির মালিক ইগর গ্রেচুশকিন।

গত আগস্টে বিস্ফোরণের পরপরই ইন্টারপোলের অনুরোধে সাইপ্রাসে বসবাসকারী গ্রেচুশকিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল স্থানীয় পুলিশ। তবে রাশিয়া থেকে প্রকোশেভ জানিয়েছেন, তার কাছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এখনও কেউ যাননি।

তিনি দাবি করেছেন, সাত বছর আগে মালিকের নির্দেশেই বাড়তি কার্গো ওঠাতে বৈরুত বন্দরে গিয়েছিলেন তারা। পরে আইনি জটিলতায় জাহাজটি সেখানেই ফেলে রাখা হয়। লেবানিজ কর্তৃপক্ষ বিপজ্জনক রাসায়নিকের ব্যবস্থাপনায় অবহেলা করেছিল বলেও দাবি করেছেন এ ব্যক্তি।

দুই রুশ নাগরিককে আটকের অনুরোধের বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি রাশিয়ার ইন্টারপোল ব্যুরো।

সূত্র: রয়টার্স

বৈরুতে বিস্ফোরণ: দুই রুশ নাগরিককে আটক চান তদন্তকারীরা

আপডেট সময় : ১১:১২:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ অক্টোবর ২০২০

গত আগস্টে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় দুই রুশ নাগরিককে আটক করতে ইন্টারপোলের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। ওই দুইজন হলেন সাত বছর আগে বৈরুতে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট নিয়ে যাওয়া জাহাজটির ক্যাপ্টেন এবং মালিক। লেবাননের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি (এনএনএ) এ তথ্য জানিয়েছে।

গত ৪ আগস্ট বৈরুত বন্দরের ২ হাজার ৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট মজুত রাখা একটি গোডাউনে শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। এতে প্রাণ হারান অন্তত ১৯৩ জন, আহত হন সাড়ে ছয় হাজারের বেশি। শহরের প্রায় অর্ধেক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গৃহহীন হয়ে পড়েছেন তিন লাখেরও বেশি মানুষ।

এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ উঠেছে। ইতোমধ্যেই বৈরুত বন্দরের প্রায় দুই ডজন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার লেবাননের রাষ্ট্রপক্ষ ইন্টারপোলের কাছে নাম উল্লেখ না করেই দুই রুশ নাগরিককে আটক করার অনুরোধ জানিয়েছেন।

ট্রাম্পের উপদেষ্টা করোনা পজিটিভ, কোয়ারেন্টাইনে ট্রাম্প ও মেলানিয়া

জানা গেছে, ২০১৩ সালে বৈরুতে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট নিয়ে যাওয়া এমভি রোসাসের ক্যাপ্টেন ছিলেন বরিস প্রকোশেভ এবং জাহাজটির মালিক ইগর গ্রেচুশকিন।

গত আগস্টে বিস্ফোরণের পরপরই ইন্টারপোলের অনুরোধে সাইপ্রাসে বসবাসকারী গ্রেচুশকিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল স্থানীয় পুলিশ। তবে রাশিয়া থেকে প্রকোশেভ জানিয়েছেন, তার কাছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এখনও কেউ যাননি।

তিনি দাবি করেছেন, সাত বছর আগে মালিকের নির্দেশেই বাড়তি কার্গো ওঠাতে বৈরুত বন্দরে গিয়েছিলেন তারা। পরে আইনি জটিলতায় জাহাজটি সেখানেই ফেলে রাখা হয়। লেবানিজ কর্তৃপক্ষ বিপজ্জনক রাসায়নিকের ব্যবস্থাপনায় অবহেলা করেছিল বলেও দাবি করেছেন এ ব্যক্তি।

দুই রুশ নাগরিককে আটকের অনুরোধের বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি রাশিয়ার ইন্টারপোল ব্যুরো।

সূত্র: রয়টার্স