বিএনপি-জামায়াত জোটই বারবার দেশের শান্তি বিনষ্ট করছে। দেশের রাজনীতিতে প্রথম তারাই সহিংসতার সংস্কৃতি চালু করে। এতে অর্থনৈতিকভাবে বারবার হোঁচট খেয়েছে দেশ।
তবে বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের সুদক্ষ নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াতের রাজনৈতিক সহিংসতা কমে আসায় বিশ্বশান্তি সূচকে কয়েক ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। যেটিকে দেশের জন্য সুখবরই বলছেন সুশীল সমাজ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বিগত কয়েক বছরে বিএনপির রাজনৈতিক নিষ্ক্রিয়তায় ‘সহিংস বিক্ষোভ’ মানদণ্ডে শান্তি বিনষ্ট হওয়ার হার কমেছে বাংলাদেশে। আর এটিও কার্যত বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে বিশ্বশান্তি সূচকে।
বিএনপি করোনায় আক্রান্ত, মাঠে নামার মেরুদণ্ড নেই: ডা. জাফরুল্লাহ
সিডনিভিত্তিক নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিসের (আইইপি) সম্প্রতি প্রকাশিত ২০২০ সালের বিশ্বশান্তি সূচকে গত বছরের চেয়ে সাত ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ।
এ বছর ২ দশমিক ১২১ (দুই দশমিক এক দুই এক) স্কোর নিয়ে ১৬৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৭তম। অর্থাৎ অগ্রগতি সত্ত্বেও শান্তির বিচারে বাংলাদেশ বিশ্বে ৯৭তম স্থানে আছে।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, গত বছরজুড়ে সার্বিকভাবে ২ দশমিক ৩ শতাংশ অগ্রগতির মাধ্যমে শান্তিতে সবচেয়ে বেশি এগিয়েছে বাংলাদেশ। নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় সবচেয়ে বড় অগ্রগতি ছাড়াও সব মানদণ্ডেই বাংলাদেশ এগিয়েছে। এছাড়া সরকারের কৌশলী ভুমিকায় বিভিন্ন ইস্যুতে বিএনপির প্রতিবাদ-বিক্ষোভের আড়ালে সহিংসতার সংখ্যা কমায় ‘সহিংস বিক্ষোভ’ মানদণ্ডে সবচেয়ে বড় অগ্রগতি হয়েছে।
শান্তিসূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতিকে বর্তমান সরকারের সফলতা দাবি করে বিশিষ্টজনরা বলছেন, সরকারের বিচক্ষণ ও সুপরিকল্পিত নীতির কারণে দেশে শান্তি বিরাজ করছে।
তাদের মতে, বিএনপির সহিংস রাজনীতির বিপক্ষে জনমত তৈরি হওয়ায় দলটির রাজনৈতিক সহিংসতা করতে সাহস পাচ্ছে না। যার ফলে বিগত কয়েক বছরে দেশের রাজনীতিতে সম্প্রীতি বজায় রয়েছে। দেশে শান্তি ও সমৃদ্ধি বজায় রাখার ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার নিরলস পরিশ্রম করছে।