প্রবাসীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে সৌদি আরব ফেরাতে উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। শুধু সৌদি আরবের ফ্লাইটগুলোর সিটে যাত্রী বহনের সীমাবদ্ধতা শিথিল করা হয়েছে। রোববার (৪ অক্টোবর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বেবিচকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ সোহেল কামরুজ্জামান।
এক বার্তায় তিনি জানান, বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে গমনের জন্য অপেক্ষমাণ প্রবাসীদের দুরবস্থা নিরসনে বেবিচকের পক্ষ থেকে প্রতিটি ফ্লাইটে যাত্রী বহনের ক্ষেত্রে আরোপিত সংখ্যার সীমাবদ্ধতা {বড় (প্রশস্ত) প্লেনে জন্য ২৬০ এবং ছোট (অপ্রশস্ত) বিমানের জন্য ১৪০} শিথিল করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ঢাকা থেকে সৌদি আরবের বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচলকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং সৌদি এয়ারলাইন্সের (সাউদিয়া) ফ্লাইটগুলো আগামী ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত প্লেনভর্তি যাত্রী বহন করতে পারবে।
বার্তায় আরও বলা হয়েছে, যাত্রী বহনের বিষয়টি শিথিল করলেও এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যঝুঁকি বৃদ্ধির সম্ভাবনাকে কমানোর জন্য বেবিচক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
গৃহবধূ নির্যাতনের ঘটনায় ফেসবুক তোলপাড়
বেবিচক আশা করে যে, স্বাস্থ্যবিধিগুলো আরও কঠোরভাবে প্রতিপালনের মাধ্যমে এ শর্ত সাময়িক শিথিল করার সিদ্ধান্তের সুযোগ গ্রহণ করে এ দুটি বিমান সংস্থা অপেক্ষমাণ যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবে।
এর আগে ১ অক্টোবর থেকে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত সতর্কতার অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলোর যাত্রী সংখ্যা নির্ধারণ করে দেয় বেবিচক। ওয়াইড বডি বা বড় সাইজের এয়ারক্রাফটের ক্ষেত্রে একটি ফ্লাইটে সর্বোচ্চ ২৬০ জন এবং ন্যারো বডি বা মাঝারি আকারের এয়ারক্রাফটের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৪০ জন বহন করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।
নির্দেশনায় অবশ্য প্লেনের ইকোনমি ক্লাসের শেষের এক সারি ও বিজনেস ক্লাসের কমপক্ষে একটি সিট (কোনো বিশেষ কারণ ছাড়া) কোভিড-১৯ সন্দেহভাজন রোগীদের জন্য খালি রাখতে বলা হয়েছে।