কয়েক দশক ধরে যৌন শিকারীদের হাত থেকে শত শত শিশুকে রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে চার্চ অব ইংল্যান্ড। নিজেদের সুনাম রক্ষায় তারা অপরাধীদের লুকাতে সাহায্য করেছে। যার ফলে দুর্ভোগ বেড়েছে নির্যাতিতদের। মঙ্গলবার শিশুদের যৌন হয়রানি বিষয়ক একটি স্বাধীন তদন্ত প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
তদন্তকারীরা বলেছেন, ১৯৪০-এর দশক থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত অন্তত ৩৯০ জন পাদ্রী বা চার্চ সংশ্লিষ্ট ট্রাস্টের পদাধিকারী শিশুদের ওপর যৌন হয়রানির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
তদন্তকারীদের প্রধান প্রফেসর অ্যালেক্সিস জে বলেন, অনেক দশক ধরে চার্চ অব ইংল্যান্ড শিশু ও তরুণদের যৌন নিপীড়কদের থেকে সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এর বদলে তারা এমন এক সংস্কৃতি চালু করেছে যা শিকারীদের লুকানোর সুবিধা দিয়েছে এবং ভুক্তভোগীদের সামনে এমন এক দেয়াল খাঁড়া করেছে যা অনেকেই পার হতে পারে না।
তিনি বলেন, যদি সত্যিকারে ও দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তন আনতে হয়, তবে ভুক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে চার্চের ব্যবস্থা নেয়ার পদ্ধতিতে উন্নয়ন এবং সময়ের সঙ্গে তাদের পর্যাপ্ত সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতিবেদনের উপসংহারে বলা হয়েছে, জ্যেষ্ঠ পাদ্রীরা অনেক সময় অভিযোগগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জানান না। এর বদলে তারা যতদিন সম্ভব অভ্যন্তরীণভাবে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করেন। এটি অপরাধের তদন্ত বাধাগ্রস্ত করে এবং অনেক নিপীড়ককে ন্যায়বিচার থেকে পালাতে সাহায্য করে।
চার্চ অব ইংল্যান্ড এবং চার্চ ইন ওয়েলস উভয়কেই ভুক্তভোগীদের সহায়তায় তহবিল গঠন এবং শিশু নীপিড়কদের সহায়তা বন্ধে নীতি প্রণয়নের পরামর্শ দিয়েছেন তদন্তকারীরা।
এ বিষয়ে পরে বিবৃতি দেয়া হবে বলে জানিয়েছে চার্চ অব ইংল্যান্ড।
সূত্র: রয়টার্স