বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় ভারত এবং এটি কখনোই হ্রাস পাবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নতুন ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। বৃহস্পতিবার গুলশান ইন্ডিয়ান হাউজে মিডিয়াকর্মীদের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
নতুন হাইকমিশনার বলেন, প্রথমত, আমি দৃঢ়ভাবে বলতে চাই যে, বাংলাদেশ সবসময় ভারতের অত্যন্ত বিশেষ অংশীদার ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আমাদের বন্ধুত্ব কৌশলগত অংশীদারিত্বের অনেক ঊর্ধ্বে। কারণ এ বন্ধুত্ব রচিত হয়েছে অভিন্ন ত্যাগ, ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং আত্মীয়তার অনন্য সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে। বাংলাদেশকে ভারত সর্বোচ্চ স্তরের গুরুত্ব দেয় এবং এটি কখনোই হ্রাস পাবে না।
তিনি বলেন, দ্বিতীয়ত, আমাদের অংশীদারিত্বের উৎস পারস্পরিক শ্রদ্ধা। ঐতিহাসিক জনযুদ্ধের মাধ্যমে নিজেদের স্বতন্ত্র পরিচয়ের ভিত্তিতে একটি জাতিকে রূপদানকারী হিসেবে বাংলাদেশের মানুষের চেতনার প্রতি আমরা গভীরভাবে প্রশংসা ও সম্মান জানাই। আপনারা অসংখ্য মৃত্যু ও মা-বোনদের প্রতি বর্বর নির্যাতন উপেক্ষা করে অনন্য সাহস এবং বীরত্বের সঙ্গে নিজেদের ওপর হওয়া অত্যাচার ও কঠোরতার মুখোমুখি হয়েছিলেন।
করোনা সংকট কাটিয়ে দ্রুত পূর্বের অবস্থায় ফিরছে বাংলাদেশ
তিনি আরো বলেন, আপনাদের মুক্তিযুদ্ধ বিশ্বের অন্যতম অনুপ্রেরণা। মুক্তিযুদ্ধে আপনাদের সহায়তা করতে পারা আমাদের জন্য সবসময়ই সম্মানের হয়ে থাকবে যেমনভাবে, প্রায় ৫০ বছর পরও আপনাদের সাহসের প্রতি ভারতে আজও আমরা সম্মান জানাই। সামাজিক সূচকে উল্লেখযোগ্য উন্নতির জন্য বাংলাদেশ আজ সমানভাবে সম্মানিত।
বিক্রম বলেন, করোনা মহামারির মধ্যেও আমাদের পররাষ্ট্র সচিব বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক ভ্রমণ স্থগিতের পরে বাংলাদেশকে তার প্রথম সফরের গন্তব্য হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। আমরা শিগগিরই বিমান চলাচল শুরুর জন্য একটি বিশেষ ‘এয়ার বাবল’ ব্যবস্থা চালু করব।
করোনা মোকাবিলায় যৌথভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আমরা করোনা ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী হিসেবে কাজ করছি। বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করার বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করছি। ভারতে শিগগিরই ভ্যাকসিন ট্রায়াল শুরু হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার অনুমতি দিলে এখানেও ট্রায়াল করা হবে।
আমরা যতই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকীর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, আমাদের নেতারা আমাদের সম্পর্কের জন্য তাদের প্রত্যাশা বাড়িয়ে দেবেন। আমাদের এই প্রচেষ্টা সবসময় গণমাধ্যমের বন্ধুদের সহায়তা কামনা করি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রত্যাশা পূরণে আমি এবং আমার সহকর্মীরা যথাসাধ্য চেষ্টা করবো।