পিলে চমকানো তথ্য দিলেন নোয়াখালীর রামগতিতে দুইবার গণধর্ষণের শিকার গৃহপরিচারিকা। তার ওপর চালানো ধর্ষণের বর্বরতা এতই নির্মম ছিল যে, তা পশুত্বকেও হার মানায়। ধর্ষণে অংশ নিয়েছে বাবা ও ছেলে। জঘন্য কর্মকাণ্ড চরিতার্থ করতে ছেলের পর এসেছেন তারই বাবা। এমন জঘন্য পাপ কাজের জন্য পশুরও লজ্জা পাওয়ার কথা। কিন্তু ধর্ষকরা উন্মাদনায় মত্ত হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, প্রভাবশালী হওয়ায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে ধর্ষকেরা ও তাদের আশ্রয় দাতারা। স্থানীয় করিম এবং বাচ্চু নামে দুই ধর্ষক আমাকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে। আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
ধর্ষকরা স্থানীয় চেয়ারম্যানের লোক বলে ধরাছোঁয়ার বাইরে। নির্যাতিতা নারী বারবার বিচার চাইতে গিয়েও আবারো ধর্ষণের শিকার ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
৩০-৩২ বছরের ওই নারীর বর্ণনা দেয়া ভিডিও এরইমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। কাঁদতে কাঁদতে তিনি নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন।
খালাতো বোন অন্তঃসত্ত্বা, পালালো ধর্ষক তিন ভাই
একটি ভিডিওতে দেখা যায় কেঁদে কেঁদে ভয়াবহ নির্যাতনের ঘটনা বর্ণনা দিচ্ছেন ওই নারী। ওই নারী বলেন, আমি তাদেরকে চিনেছি। এক মাস আগে তারা আমাকে ধর্ষণ করেছে। মারধর করে আমার হাত-পা ভেঙে দিয়েছে।
ওই নির্যাতিতা নারী বলেন, এক মাস আগে আমি যখন রাতের বেলা একজনের ভাত রান্না করে যাই তখন তারা আমাকে ধরে নিয়ে অকথ্য নির্যাতনসহ গালিগালাজ করে। পরে মারধর করে। তখন আমি বলি, আমি কী করেছি, আমার অপরাধ কী। আমারে গালিগালাজ করেন কেন? এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে তারা আমাকে ৪-৫ জন মিলে ধরে ধর্ষণ করে। টেনে অন্ধকারে নিয়ে যায়। লাঠি ও রড দিয়ে পেটায়। মারের আঘাতে আমি প্রস্রাব করে ফেলি। পরে সেখানে মারাত্মক আহত অবস্থায় ফেলে যায়।
ওই নারী আরো বলেন, সেখান থেকে হাসপাতালে গেলে এক্সরে করে দেখা যায় আঙুল পা ফেটে গেছে। মাথা জখম হয়েছে। রক্ত চাকা হয়ে গেছে। মেরুদণ্ড ফেটে গেছে। পরে এ ঘটনায় আমার ভাই ও ভাবি কোর্টে মামলা করেন। মামলার পরে তারা আবার নির্যাতন করে।
গত শনিবার রাতে ঘরে ঢুকে প্রথমে আমার হাত-পা বেঁধে ফেলে। পরে চোখ বেঁধে মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে মুখ বন্ধ করে দেয়। তারপর ধর্ষণ করে খাটের নিচে ফেলে দেয়। সেখান থেকে ঘরের বাইরে ফেলে দেয়। একপর্যায়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় পাশের ঘরের এক নারী না দেখলে তারা আমাকে নিয়ে যেত। মেরে ফেলত। খবর পেয়ে স্থানীয় মেম্বার আজাদ এসে উদ্ধার করে। মুখের স্কচটেপ খুলে দেয়। চোখের বাঁধন খুলে দেয়। হাত-পায়ের বাঁধন খুলে দেয়।
ওই নারী বলেন, তারা পাঁচজন ছিল। ঘরের দেয়াল টপকে প্রথম একজন ঢুকে। ঘরের ভেতর ঢোকে দরজা খুলে বিছানার চাদর দিয়ে চোখ ,মুখ বেঁধে আমাকে ধর্ষণ করে।
নির্যাতিত ওই নারী আরো বলেন, আমি তাদেরকে চিনছি। প্রথম যে ঘরে ঢুকেছে, সে ঢুকেই মুখের দিকে টর্চলাইট মারে। ঢুকেই চোখ-মুখ বেঁধে ফেলে। প্রথম করিম ঢুকেছে, পরে জামাল, নোমান, আরিফ, আলাউদ্দিন। তারা পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে। প্রথম নির্যাতন করেছে মন্নান। অনেক দিন ধরে কু প্রস্তাব দিয়ে আসছিল সে। ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটাতে সেও আসছে, তার বাবাও আসছে। আমি মেম্বারকে সব জানিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, স্থানীয় নুরুল আমিন চেয়ারম্যানকে জানালে সেও ধর্ষণের চেষ্টা করে। ধর্ষকেরা তারই লোক। স্থানীয় নেতা কালাম মাঝির লোকজন তারা। আমার বোন বিচার চাইতে গেলে চেয়ারম্যান তাকেও ঘরের দিকে টানে।