DoinikAstha Epaper Version
ঢাকাশনিবার ১২ই জুলাই ২০২৫
ঢাকাশনিবার ১২ই জুলাই ২০২৫

আজকের সর্বশেষ সবখবর

প্রস্তাবিত বাজেট প্রত্যাখান করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

News Editor
নভেম্বর ২২, ২০২০ ১:৪৪ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

২০২০-২০২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে প্রত্যাখানের ঘোষণা দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।

সেই সাথে করোনা বাস্তবতাকে সামনে রেখে “জীবন বাঁচাও-জীবিকা বাঁচাও” প্রতিপাদ্যে নতুন করে বাজেট প্রস্তাব তৈরীর আহবান জানানো হয়েছে।

অতীতের ইতিহাস মনে করিয়ে দিয়ে ইউনুছ আহমাদ বলেন, এই ভুখন্ডে মানুষ ও মানুষের জীবন-জীবিকা নিয়ে ছিনিমিনি খেলা আইয়ুব, ইয়াহিয়া, ভুট্টোরা কিন্তু আজ ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে ঘুমায়, তাই জনবিরোধী বাজেট প্রণেতাদের ইতিহাস ক্ষমা করবে না।

সংবাদ সম্মেলনে পরিচালন ব্যয় কমিয়ে ও কম প্রয়োজনীয় প্রকল্প স্থগিত করে আয়ের উপায় বাড়িয়ে ঋণনির্ভরতা কমানোর পরামর্শ দেয়া হয়। আজ শনিবার দুপুরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রস্তাবিত বাজেট বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

আরও পড়ুনঃস্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করা অপহৃত ইতালীয় তরুণীকে উদ্ধার করলো তুরস্ক

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, জিএম রুহুল আমীন, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, ছাত্রনেতা মু. আব্দুল জলিল, শ্রমিক আন্দোলন নেতা শহিদুল ইসলাম কবির প্রমুখ।

ইসলামী আন্দোলন মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের মতো একটি দেশ যেখানে কোটি কোটি মানুষের মৌলিক অধিকার ও নূন্যতম বেঁচে থাকার সুযোগও সংকীর্ণ সেখানে ঋণ করে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এতো বেশি বেতন-ভাতা দেয়ার কোন মানে নাই।

মোবাইল সিম ও সিম কার্ডের মাধ্যমে দেয়া সেবার ওপরে সম্পূরক শুল্ক ৫শতাংশ বাড়ানোর মাধ্যমে করোনার এই কঠিন আর্থিক সংকটের মুহুর্তে মানুষের খরচ বাড়ানোর অতিরিক্ত ৫% সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব প্রত্যাহার করতে হবে।

বাজেটে ঋণ ও সুদ প্রসঙ্গে ইউনুছ আহমাদ বলেন, বাজেটের আকার যেমন বাড়ছে, তেমনি ঋণ ও সুদের বোঝাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এভাবে চলতে থাকলে সরকারের পক্ষে ঘাটতি বাজেট থেকে বের হয়ে আসা কখনোই সম্ভব হবে না।

করোনার বাস্তবতা ও দেশের রাজস্ব আদায়ের অতীত ইতিহাস বিবেচনায় নতুন অর্থবছরে সরকারের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অবাস্তব।

ফলে বাজেটে ঘাটতি ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি থেকে আরো বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ইউনুছ আহমাদ বলেন, জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে অর্থমন্ত্রী দেশের মানুষের সাথে একটি সস্তা উপহাস করেছেন অথবা তিনি বাংলদেশের মানুষকে বোকা ভেবেছেন। আমরা অবিলম্বে এই অহেতুক সংখ্যা সংশোধন করে বাস্তব ভিত্তিক জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার প্রাক্কলনের আহ্বান জানাচ্ছি। কালো টাকার মালিক অসৎ ব্যবসায়ী ও চাঁদাবাজদেরকে সাদা মানুষে পরিণত করতে সরকার বাজেটে অনৈতিক প্রস্তাব আনা হয়েছে।

স্বাস্থ্যখাত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাজেটে স্বাস্থ্যখাত নিয়ে জাতির সাথে যে মস্করা করা হয়েছে তা অবিশ্বাস্য। করোনার এই কঠিন মুহুর্তে স্বাস্থ্যখাত নিয়ে এই নির্মম তামাশা জাতিকে হতভম্ব করেছে। বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনিতে করোনায় নতুন করে দরিদ্র সীমায় নেমে যাওয়া মানুষের জন্য তেমন কোন সুসংবাদ নেই। তিনি বলেন, ৫০ লাখ মানুষকে নগদ অর্থ দেয়ার ঘোষণা রাজনৈতিক ফাফরবাজী বলে মনে হচ্ছে। রাষ্ট্রের কাছে মানুষ দান দক্ষিণা চায় না। তারা ঘুরে দাড়ানোর যথার্থ কৌশল ও সহায়তা চায়। সে ক্ষেত্রে বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা প্রস্তাব সম্পর্কে কিছুই বলা হয়নি।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
[prayer_time]