নওগাঁয় তিন দিনের যুব ফোরামের দক্ষতা বৃদ্ধি প্রশিক্ষণ সফলভাবে শেষ হয়েছে। ডেমক্রেসিওয়াচের উদ্যোগে এবং আস্থা প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত এই প্রশিক্ষণের লক্ষ্য ছিল দেশের যুব সমাজকে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে কার্যকর করে তুলতে এবং সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা আরও শক্তিশালী করা। ধামইরহাট উপজেলার ৩০ জন যুব ফোরামের সদস্য এতে অংশ নেন।
২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত নওগাঁর বেডো ট্রেনিং সেন্টারে অনুষ্ঠিত এই প্রশিক্ষণে যুব নেতৃত্বের বিকাশ, অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠনে যুবকদের ভূমিকা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সঠিক ব্যবহার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। প্রশিক্ষণটি পরিচালিত হয় আস্থা প্রকল্পের অধীনে, যা সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কোঅপারেশন (এসডিসি)-এর অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে। এই প্রকল্প ২০২৩ সাল থেকে নওগাঁসহ দেশের ১৮টি জেলায় তরুণ ও যুব নারীদের ক্ষমতায়ন এবং মানব সম্পদের উন্নয়নে কাজ করে আসছে। আয়োজকদের মতে, এই প্রশিক্ষণ যুব সমাজকে “জাতীয় যুবনীতি ২০১৭” সম্পর্কে সচেতন করে তুলবে এবং তা বাস্তবায়নে তাদের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবে।
পাশাপাশি, যুব নেতৃত্বের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের শক্তিশালী ও সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে তারা অসাম্প্রদায়িক মানসিকতা বিকাশে আরও সচেতন হবে। প্রশিক্ষণ চলাকালীন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের নওগাঁ উপপরিচালক জনাব, মুঃ জাবেদ ইকবাল তার বক্তব্যে বলেন,”যুব নেতৃত্বের বিকাশ সমাজের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। যুব সমাজকে যদি সঠিক দিকনির্দেশনা দিয়ে তাদের নেতৃত্বের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা যায়, তাহলে তারা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারবে। অসাম্প্রদায়িক ও সামাজিক সম্প্রীতি গড়ে তোলার জন্য যুবদের নেতৃত্বের বিকাশ জরুরি।” ডেমক্রেসিওয়াচের নির্বাহী পরিচালক জনাব, সানজিদা লিপি বলেন, “যুব সমাজের নেতৃত্ব শক্তিশালী হলে সমাজে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বিকাশ ত্বরান্বিত হবে।
প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যুবকরা নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সমাজের উন্নয়নে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে শিখবে।” সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী ক্লাস্টার কো-অর্ডিনেটর এস এম মহিউদ্দিন মঈন, নওগাঁ জেলা কো-অর্ডিনেটর কামাল হোসেন শাহ, সিনিয়র ফিল্ড অফিসার আব্দুল মন্নাফ, এবং ফাইন্যান্স অ্যান্ড অ্যাডমিন কো-অর্ডিনেটর মোঃ নুরুজ্জামান প্রমুখ। প্রশিক্ষণের শেষ দিনে ৩০জন অংশগ্রহণকারীকে সার্টিফিকেট, ল্যাপটপ ব্যাগ, এবং সন্মানি প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে অংশগ্রহণকারীরা তাদের প্রতিভা প্রদর্শনের মাধ্যমে কবিতা আবৃত্তি, নাচ, এবং গান পরিবেশন করেন। আয়োজকরা আশাবাদী যে এই তিন দিনের কর্মশালা যুব সমাজকে শক্তিশালী নেতৃত্বের ভূমিকায় অবতীর্ণ করবে এবং তারা একটি উন্নত ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে।