কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর-নিকলী আসনের রাজনীতিতে কিছু কৌশল থাকে। সব জায়গায় সব কিছু বলা যায় না। আমি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে আমাদের আরেকটি মিত্র হিসেবে দেখি। তারাও কিন্তু নির্যাতিত। এই ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে যারা ছিলেন, যারা নির্যাতিত হয়েছেন, নিগৃহীত হয়েছেন তারা সকালেই আমাদের বন্ধু। এখানে বেধা বেদের জায়গায় নেই। যারা ফ্যাসিজমকে সহযোগিতা করেছে জাতীয় পার্টি, ১৪ দল ও কিছু ইসলামিক দল তারা আমার বন্ধু না। তাদের জায়গায় হওয়া উচিত না।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে মিট দ্যা প্রেসে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা।
এসময় তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। আমরা নতুন করে সমাজ বিনির্মান করতে স্বপ্ন দেখছি। বিগত ১৬টি বছর সৈরাচার সরকার বিরুধী আন্দোলনে রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছি। আমি দুই বার কারাগারে নির্যাতিত হয়েছি। ২০২৪সালের নির্বাচনের আগে তিন মাস কারাবরণ করতে হয়েছে। গত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ১২দিন রিমান্ডে ছিলাম মোট ১৬দিন কারাগারে ছিলাম। আমাকে হাত-পা-চোখ বেধে জম টুপি মাথায় পড়িয়ে অমানবিক নির্মম নির্যাতন করা হয়। আমরা ২০২৪ এ দাঁড়িয়ে আছি ২০০১ অতীত। অতীত নিয়ে আমি সময়ই নষ্ট করবো না। আমি নমিনেশন পাবো এবং কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) ধানের শীষের আসন জয়লাভ করবে এটা শতভাগ নিশ্চয়তা দিচ্ছি ইনশাআল্লাহ।
সৈয়দ এহসানুল হুদা আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষের কাছে জনপ্রিয় একটি প্রতীক ও তাদের হৃদয়ে একটি জায়গা হলো ধানের শীষ। নমিনেশন পেলে অবশ্যই আমি ধানের শীষ প্রতীকেই নির্বাচন করবো। আমি জাতীয়তাবাদী আদর্শের একজন সৈনিক। ধানের শীষেই আমার প্রতীক।
আমাকে বিএনপির নেতাকর্মীদের মোকাবেলা কেনো করতে হবে? আমিতো তাদেরই একজন। আমি জাতীয়তাবাদী আদর্শের একজন। আমার নেতা তারেক রহমান। উনি জাতীয়তাবাদী আদর্শের সর্বোচ্চ নেতা। ঝাণ্ডাটা উনার হাতে। আমি ওই জোটের অন্যতম মিত্র দল। আমি বিএনপির নেতাকর্মীদের মোকাবেলা করতে আসি নাই। তার আমার ভাই, তার আমার বোন, তারা আমার চাচা। তাদের সাথে আমার আত্মার সম্পর্ক। মোকাবেলার প্রশ্নই আসে না। সকলে মিলে একসাথে কাজ করবো। বিএনপির নেতাকর্মী বলেন এবং আপামোর জনগণ দলমত নির্বিশেষে আমার সাথে থাকবে। এখানে কেউ সমস্যা করবে সেই আশংকায়ই করিনা সেই সুযোগেই নেই।
জানা গেছে, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদার সংসদীয় এলাকা কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনে জনসংযোগ ও দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে সহযোগিতা করতে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপি।
গত ২২ অক্টোবর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল কেন্দ্রীয় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে জানানো হয়।
চিঠিতে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নির্দেশ দিয়ে বলা হয়, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলনে বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তাই সৈয়দ এহসানুল হুদার সংসদীয় এলাকা কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনে জনসংযোগ ও দলের সাংগঠনিক সার্বিক কার্যক্রমে সহযোগিতা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। এবং বিষয়টি অতিব জরুরী উল্লেখ করে, সংশ্লিষ্ট আসনের থানা, উপজেলা বা পৌরসভা বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিষয়টি অবহিত করার জন্য ও বলা হয়েছে।