ঢাকা ০৯:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo নাইক্ষ্যংছড়িতে মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ Logo কিশোরগঞ্জে-১ আসনে কাস্তে প্রতীকের প্রার্থী এনামুল হকের সমর্থনে গণমিছিল  Logo পানছড়িতে পিসিসিপি’র শীতবস্ত্র বিতরণ Logo পানছড়িতে জামায়াত প্রার্থীর গনসংযোগ ও মতবিনিময় Logo পানছড়িতে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় চোরাই পণ্য আটক Logo চাঁদা না দেওয়ায় বাড়ি নির্মাণে বাধা, ভূমি দখলচেষ্টা ও হত্যার হুমকির Logo ইকরা গার্মেন্টসের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo আবার মাইনাস তৎপরতায় ডিপ স্টেট: মাসুদ কামাল Logo বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও বিএনপি নিয়ে নতুন ষড়যন্ত্র Logo পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে খাগড়াছড়িতে সংবাদ সম্মেলন

জামায়াত-শিবির কর্তৃক হামলার অভিযোগ

নাইক্ষ্যংছড়িতে মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ

Doinik Astha
Doinik Astha
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৫:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ১০২৪ বার পড়া হয়েছে

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী শাহা-নুদ্দিন দাখিল মাদরাসায় এক শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রীদের যৌন হয়রানি, কু-প্রস্তাব ও নিপীড়নের অভিযোগকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আয়োজিত মানববন্ধনে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৭ ডিসেম্বর দুপুরে মাদরাসা চত্ত্বর ও বাইশারী বাজারের প্রধান সড়কে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক নুরুল হাকিমের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন চলছিল। এসময় জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মীরা আকস্মিকভাবে উপস্থিত হয়ে কর্মসূচি ভণ্ডুল করে দেয় বলে অভিযোগ করেন আয়োজকরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মানববন্ধন চলাকালে ব্যানার ছিনিয়ে নেওয়া, ধাক্কাধাক্কি ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অভিযুক্ত শিক্ষকের দ্রুত অপসারণ ও গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ করছিলেন।

অভিভাবক রোকন উদ্দিন বলেন, শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন করি। কিন্তু হঠাৎ কয়েকজন এসে আমাদের ভয়ভীতি দেখানোর চেষ্টা করে।

তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক সংগঠনের স্থানীয় নেতারা। তাদের দাবি, পরিস্থিতিকে “রাজনৈতিকভাবে উপস্থাপন” করা হচ্ছে।

গুরুতর অভিযোগ ও মানববন্ধনে হামলার ঘটনা ঘটলেও পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করেনি বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। ঘটনায় কোনো মামলা বা অভিযোগপত্র জমা পড়েছে কি না, তা নিয়েও স্পষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

ঘটনার গুরুত্ব থাকা সত্ত্বেও দেশের কোনো প্রধানধারার গণমাধ্যম এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করায় ক্ষোভ জানিয়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। কেন্দ্রীয় ছাত্রসংগঠন বা কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ঘটনার প্রতিবাদ কর্মসূচি না হওয়া নিয়েও হতাশা প্রকাশ করেছেন তারা।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের সহপাঠী মেয়েরা হয়রানির শিকার। অথচ কোনো বড় সংগঠন বা প্রতিষ্ঠান আমাদের পাশে দাঁড়ায়নি-এটা কষ্টদায়ক।

স্থানীয় শিক্ষার্থী, স্বজন এবং মানবাধিকারকর্মীরা দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠন, হামলায় জড়িতদের শনাক্তকরণ এবং অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা বলেন, ঘটনার খবর শুনেছি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগস :

জামায়াত-শিবির কর্তৃক হামলার অভিযোগ

নাইক্ষ্যংছড়িতে মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৮:৪৫:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী শাহা-নুদ্দিন দাখিল মাদরাসায় এক শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রীদের যৌন হয়রানি, কু-প্রস্তাব ও নিপীড়নের অভিযোগকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আয়োজিত মানববন্ধনে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৭ ডিসেম্বর দুপুরে মাদরাসা চত্ত্বর ও বাইশারী বাজারের প্রধান সড়কে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক নুরুল হাকিমের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন চলছিল। এসময় জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মীরা আকস্মিকভাবে উপস্থিত হয়ে কর্মসূচি ভণ্ডুল করে দেয় বলে অভিযোগ করেন আয়োজকরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মানববন্ধন চলাকালে ব্যানার ছিনিয়ে নেওয়া, ধাক্কাধাক্কি ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অভিযুক্ত শিক্ষকের দ্রুত অপসারণ ও গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ করছিলেন।

অভিভাবক রোকন উদ্দিন বলেন, শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন করি। কিন্তু হঠাৎ কয়েকজন এসে আমাদের ভয়ভীতি দেখানোর চেষ্টা করে।

তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক সংগঠনের স্থানীয় নেতারা। তাদের দাবি, পরিস্থিতিকে “রাজনৈতিকভাবে উপস্থাপন” করা হচ্ছে।

গুরুতর অভিযোগ ও মানববন্ধনে হামলার ঘটনা ঘটলেও পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করেনি বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। ঘটনায় কোনো মামলা বা অভিযোগপত্র জমা পড়েছে কি না, তা নিয়েও স্পষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

ঘটনার গুরুত্ব থাকা সত্ত্বেও দেশের কোনো প্রধানধারার গণমাধ্যম এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করায় ক্ষোভ জানিয়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। কেন্দ্রীয় ছাত্রসংগঠন বা কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ঘটনার প্রতিবাদ কর্মসূচি না হওয়া নিয়েও হতাশা প্রকাশ করেছেন তারা।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের সহপাঠী মেয়েরা হয়রানির শিকার। অথচ কোনো বড় সংগঠন বা প্রতিষ্ঠান আমাদের পাশে দাঁড়ায়নি-এটা কষ্টদায়ক।

স্থানীয় শিক্ষার্থী, স্বজন এবং মানবাধিকারকর্মীরা দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠন, হামলায় জড়িতদের শনাক্তকরণ এবং অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা বলেন, ঘটনার খবর শুনেছি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।