ঢাকা ০১:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo তাড়াইলে ধলা ইউপি চেয়ারম্যান ঝিনুক গ্রেফতার Logo কিশোরগঞ্জে চবি চাকসুর জিএস সাঈদ বিন হাবিবকে বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা Logo কিশোরগঞ্জে জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খানের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত Logo খাগড়াছড়িতে আ.লীগের মিছিল: সাবেক প্রতিমন্ত্রীসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা Logo প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার Logo রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ Logo নভেম্বরের ৯ দিনে রেমিট্যান্স প্রবাহে ৪৮.৭ শতাংশ বৃদ্ধি Logo ত্যাগ, নৈতিকতা নাকি দলীয় বলয়; কিশোরগঞ্জের ফাঁকা দুই আসনে কোন পথ বেছে নেবে রাজনীতি? Logo নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র: ক্ষমতার লোভে পেয়েছে উপদেষ্টাদের Logo খাগড়াছড়ি কারাগার থেকে পালিয়েছে দুই আসামি

কিশোরগঞ্জে ঘরে আগুন দিয়ে জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ

Doinik Astha
Doinik Astha
  • আপডেট সময় : ১০:৩৫:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
  • / ১১৪৮ বার পড়া হয়েছে

ঘর হারিয়ে নিঃস্ব

কিশোরগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বসতঘর পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অগ্নিসংযোগে ঘরের সকল মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঘর হারিয়ে অসহায় পরিবারটি খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে।

বুধবার ( ১৮ জুন) রাত ৯টার দিকে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার যশোদল বাহ্মণকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মো. রুবেল মিয়া ৬ জনসহ অজ্ঞাত আরও ৭-৮জনকে অভিযুক্ত করে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযুক্তরা হলেন, বাহ্মনকান্দি গ্রামের এলাই নেওয়াজের ছেলে মো. সুমন মিয়া, মো. এমাইদুল, গ্রামের মো. কাশেম ও তার স্ত্রী মোছা. শাহিনা আক্তার, মো. চুন্নু মিয়া ও তার স্ত্রী মোছা. রোজিনা।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী রুবেল মিয়ার সাথে অভিযুক্তদের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ মামলা মোকাদ্দমার বিরোধ চলছে। গত, ১৬ জুন অভিযুক্তরা রুবেল মিয়ার পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত বসতবাড়িতে জায়গা পাওয়ার দাবিতে জোরপূর্বক একটি ঝুপড়ি ঘর নির্মাণ করে এবং জায়গা থেকে বসতঘর সরিয়ে ফেলার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে বাড়ির সম্পূর্ণ জমি দখলে নিতে বাড়িতে আগুন দেয় তারা।

ব্রাহ্মণকান্দি

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী রুবেলের চাচা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “রুবেল বর্তমানে যে বাড়িটিতে বসবাস করছে সেই জায়গাটি প্রায় ৬০-৭০ বছর আগে আমার বাবা জামাল উদ্দিন অভিযুক্ত সুমনের বাবা এলাইনেওয়াজের কাছ থেকে ক্রয় করে। পরে ভোগদখলে থাকাকালীন বাবা মারা গেলে আমি ও রুবেলের বাবা আমার সহোদর ছোট ভাই দ্বীন ইসলাম ভোগদখলে থাকাকালীন সে মারা যায়। পরবর্তীতে পৈতৃক সূত্রে জায়গাটির মালিক হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে রুবেল। ২০২২ সালে অভিযুক্তরা আদালতে রেকর্ড সংশোধনের একটি মামলা দায়ের করে। সেই মামলা চলাকালীন গতকাল রাতের আধারে ঘরটিতে আগুন দিয়ে সবকিছু পুড়ে ফেলে।”

প্রতিবেশী আজিজুল ইসলাম বলেন, “ঘটনার দিন রাতে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করি কিন্তু কোনো অবস্থায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে ফায়াস সার্ভিসকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ধারণা করা হচ্ছে প্রায় ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।”

অভিযুক্ত সুমনের পক্ষে তার ফুফাতো ভাই মুমিন বলেন, ” রুবেলদের কাছে আমরা জায়গা পাবো। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে আমরা ডিক্রি পেয়েছি। উকিল আমাদের জায়গায় যেতে বলেছে তাই ওইখানে আমরা একটি ঘর তৈরি করেছি। কিন্তু এখন তারা নিজেরা আগুন দিয়ে আমাদের ফাঁসাতে চাচ্ছে। আমরা কারও ঘরে আগুন দিইনি। সবই মিথ্যা অভিযোগ।”

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তাদের মধ্যে আগের দ্বন্দ্ব ছিল। আগুন কারা দিয়েছে তা কেউ দেখেনি। বাকিটা তদন্ত শেষে জানানো হবে।

কিশোরগঞ্জে ঘরে আগুন দিয়ে জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ

আপডেট সময় : ১০:৩৫:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

কিশোরগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বসতঘর পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অগ্নিসংযোগে ঘরের সকল মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঘর হারিয়ে অসহায় পরিবারটি খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে।

বুধবার ( ১৮ জুন) রাত ৯টার দিকে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার যশোদল বাহ্মণকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মো. রুবেল মিয়া ৬ জনসহ অজ্ঞাত আরও ৭-৮জনকে অভিযুক্ত করে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযুক্তরা হলেন, বাহ্মনকান্দি গ্রামের এলাই নেওয়াজের ছেলে মো. সুমন মিয়া, মো. এমাইদুল, গ্রামের মো. কাশেম ও তার স্ত্রী মোছা. শাহিনা আক্তার, মো. চুন্নু মিয়া ও তার স্ত্রী মোছা. রোজিনা।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী রুবেল মিয়ার সাথে অভিযুক্তদের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ মামলা মোকাদ্দমার বিরোধ চলছে। গত, ১৬ জুন অভিযুক্তরা রুবেল মিয়ার পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত বসতবাড়িতে জায়গা পাওয়ার দাবিতে জোরপূর্বক একটি ঝুপড়ি ঘর নির্মাণ করে এবং জায়গা থেকে বসতঘর সরিয়ে ফেলার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে বাড়ির সম্পূর্ণ জমি দখলে নিতে বাড়িতে আগুন দেয় তারা।

ব্রাহ্মণকান্দি

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী রুবেলের চাচা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “রুবেল বর্তমানে যে বাড়িটিতে বসবাস করছে সেই জায়গাটি প্রায় ৬০-৭০ বছর আগে আমার বাবা জামাল উদ্দিন অভিযুক্ত সুমনের বাবা এলাইনেওয়াজের কাছ থেকে ক্রয় করে। পরে ভোগদখলে থাকাকালীন বাবা মারা গেলে আমি ও রুবেলের বাবা আমার সহোদর ছোট ভাই দ্বীন ইসলাম ভোগদখলে থাকাকালীন সে মারা যায়। পরবর্তীতে পৈতৃক সূত্রে জায়গাটির মালিক হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে রুবেল। ২০২২ সালে অভিযুক্তরা আদালতে রেকর্ড সংশোধনের একটি মামলা দায়ের করে। সেই মামলা চলাকালীন গতকাল রাতের আধারে ঘরটিতে আগুন দিয়ে সবকিছু পুড়ে ফেলে।”

প্রতিবেশী আজিজুল ইসলাম বলেন, “ঘটনার দিন রাতে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করি কিন্তু কোনো অবস্থায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে ফায়াস সার্ভিসকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ধারণা করা হচ্ছে প্রায় ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।”

অভিযুক্ত সুমনের পক্ষে তার ফুফাতো ভাই মুমিন বলেন, ” রুবেলদের কাছে আমরা জায়গা পাবো। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে আমরা ডিক্রি পেয়েছি। উকিল আমাদের জায়গায় যেতে বলেছে তাই ওইখানে আমরা একটি ঘর তৈরি করেছি। কিন্তু এখন তারা নিজেরা আগুন দিয়ে আমাদের ফাঁসাতে চাচ্ছে। আমরা কারও ঘরে আগুন দিইনি। সবই মিথ্যা অভিযোগ।”

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তাদের মধ্যে আগের দ্বন্দ্ব ছিল। আগুন কারা দিয়েছে তা কেউ দেখেনি। বাকিটা তদন্ত শেষে জানানো হবে।