বাজারে এসেছে Apple এর সবচেয়ে হালকা ল্যাপটপ ম্যাকবুক এয়ার। দাম ধরা হয়েছে ৯৯৯ ডলার। সঙ্গেই এসেছে ল্যাপটপ ম্যাকবুক প্রো। এটির দাম ধরা হয়েছে এক হাজার ২৯৯ ডলার। দুটি ল্যাপটপই তৈরি হয়েছে অত্যাধুনিক মাইক্রোপ্রসেসর এম ওয়ানের সংযোজনে। আগামী সপ্তাহ থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে মিলবে এ টেক পণ্যগুলো।
প্রথমবারের মতো Apple এর নতুন ম্যাক ল্যাপটপে ব্যবহার করা হয়েছে আইফোনে ব্যবহার করা চিপ। এখন পর্যন্ত Apple এর তৈরি চিপ ব্যবহার করা হয় আইফোন, আইপ্যাড আর Apple ওয়াচে। Apple কখনো সরাসরি না বললেও উইন্ডোজভিত্তিক অ্যাপলের সব ল্যাপটপই ইন্টেল চিপের ওপর নির্ভরশীল ছিল।
না জানিয়ে গ্রাহকের সিম থেকে টাকা কাটায় বিটিআরসি এর নোটিশ
Apple কর্তৃপক্ষ বলছে, নতুন মাইক্রোপ্রসেসর এম ওয়ানের সংযোজনে তৈরি ম্যাকবুকগুলোর ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী হবে।
Apple এর সিইও টিম কুক বলেন, মানুষ যেভাবে অ্যাপলের ম্যাক ব্যবহার করে, সেটা সন্তোষজনক। ম্যাক সবসময় নতুন আর পরিবর্তনশীল। জুনেই কথা দিয়েছিলাম নতুন কিছু নিয়ে আসব আর তা চলতি বছরই। কথা রেখেছি। এম ওয়ান এখন পর্যন্ত আমাদের তৈরি করা সবচেয়ে শক্তিশালী চিপ।
বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে UNDP’র সাথে Samsung
প্রতিষ্ঠানটির প্রোডাক্ট লাইন ম্যানেজার বলেন, ম্যাকবুক এয়ারকে নতুন করে সাজিয়েছি। কল্পনার বাইরে হালকা পাতলা ল্যাপটপ বানিয়েছি। অনেক দ্রুত কাজ করে নতুন ম্যাকবুকের প্রসেসর। ফ্যান নেই, তাই আওয়াজও নেই। ডিসপ্লে, ক্যামেরা, ব্যাটারি সবকিছুর মান আগের ভার্সনগুলোর চেয়ে ভালো। একবার চার্জ দিলে ব্যবহার করা যাবে ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত। ম্যাকবুক প্রোতে ওয়েব ব্রাউস করা যাবে টানা ১৭ ঘণ্টা আর ভিডিও দেখা যাবে টানা ২০ ঘণ্টা।
স্মার্টফোন কিনতে ৪১,৫০১ শিক্ষার্থীকে সুদবিহীন ঋণ দিচ্ছে ইউজিসি
Apple এর আইফোনের কারণে কম্পিউটারের চাহিদা কিছুটা কম থাকলেও বছরে কয়েক হাজার কোটি ডলারের ল্যাপটপ বিক্রি হয়। করোনা মহামারিতে জমজমাট ছিল অ্যাপলের ম্যাকবুক ল্যাপটপের বাজার। অক্টোবরেই ৯০০ কোটি ডলারের ল্যাপটপ বিক্রি করেছে অ্যাপল।
তবে বাজার বিশ্লেষকরা বলেছেন, Apple উল্টো দেড়শ’ থেকে ২০০ ডলার কম খরচ করছে ম্যাকবুক বানাতে। ব্যয়বহুল কোনও ফিচারও নেই ল্যাপটপে। আবার ফাইভজি কিংবা ফোর কে সংযোজনও নেই।
ডিসপ্লে ছাড়া ম্যাক মিনি পাওয়া যাবে ৬৯৯ ডলারে। তবে শিক্ষাসংক্রান্ত কাজে ব্যবহারের জন্য কিনলে নতুন ম্যাকের দাম আর কমবে।