কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মাদকসেবন ও বিক্রিতে বাধা দেয়ায় সাত জনকে দেশীয় অস্ত্র, লোহার পাইপ দিয়ে বেদম পিটিয়ে গুরুতর আহতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত সোমবার (১০ জুন) রাতে উপজেলার কর্শাকড়িয়াইল ইউনিয়নের কড়িয়াইল এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
আহতরা হলেন মো. ইপন (২০) আব্দুল্লাহ রিয়াজ(২০), মো. সোলাইমান (১৯), মো. জনি (১৮), লাল চান (১৯), রিয়াদ (১৮) ও মো. সুমন (১৯)।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মো. ইপন পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ আরও ৪-৫ জনকে অভিযুক্ত করে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযুক্তরা হলেন সদর উপজেলার কর্শাকড়িয়াইল ইউনিয়নের সেহড়া ও কড়িয়াইল গ্রামের সাহের উদ্দিনের ছেলে মো. নূর ইসলাম,ইসলাম উদ্দিনের ছেলে মো. উজ্জল,সামছু মিয়ার ছেলে মো. কামাল, কালা চান মিয়ার ছেলে লালু মিয়া ও আব্দুল গণির ছেলে মো. মিজানসহ অজ্ঞাত আরও ৪-৫জন সহযোগী।
থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, তার এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র প্রকাশ্যে মাদক সেবন ও মাদকের ব্যবসা চালিয়ে আসছে। গত সোমবার রাত ১১টার দিকে তাদের বাড়ির পার্শ্বের মসজিদ সংলগ্ন কিছু মাদককারবারী প্রকাশ্যে মাদক সেবন ও বিক্রি করতে দেখে তারা। পরে এলাকার যুব সমাজের কয়েকজন যুবক ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের এসব কর্মকান্ডে বাধা প্রদান করতে গেলে মাদকসেবীদের একটি সংঘবদ্ধ চক্র প্রকাশ্যে তাদের সাথে থাকা দেশীয় অস্ত্র,লোহার পাইপ দিয়ে বেদম পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
অভিযুক্ত নূর ইসলাম মারধরের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, মাদকের সমস্যা শুধু আমাদের এলাকা না সবখানেই আছে। ঘটনার রাতে আমি হঠাত মসজিদের পাশে চিল্লাচিল্লির আওয়াজ শুনে এগিয়ে যায় এবং সেখানে গিয়ে দেখি কিছু মাদকসেবী ও এলাকার কয়েকজন ছেলের মধ্যে ঝগড়া চলছে। আমি এলাকার ছেলেদের ধমক দিয়ে ফিরাতে গেলে ছেলেরা আমার উপর চড়াও হয়। পরে আমি তাদের হাল্কা মারধর করি।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তুফা জানান, হামলায় আহত একজন লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন তিনি।