রয়টার্সের ক্যামেরায় ধরা পড়া আবেগ: এক সাংবাদিকের জয়ের দিনলিপি
সংবাদ ভাঙার মুহূর্তে ইতিহাসও ভেঙে পড়ে মুক্তির দিকে
- আপডেট সময় : ০৪:৫৫:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫
- / ১১৭৭ বার পড়া হয়েছে
ঠিক এক বছর আগের দুপুর। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক অভূতপূর্ব মোড় ঘোরানোর দিন ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট। রাজধানী ঢাকা তখন উত্তাল, গুঞ্জনে গুঞ্জনে ভারী চারদিক। কেউ জানে না সত্যি কী, কেউ বিশ্বাস করতে পারছে না সামনে কী অপেক্ষা করছে। আর সেই মুহূর্তেই এক সাংবাদিক ইতিহাসের কেন্দ্রে নিজেকে খুঁজে পান তিনি শফিকুল আলম, আজকের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব।
এএএফপির (AFP) ঢাকা ব্যুরোতে কর্মরত অবস্থায় সেই মাহেন্দ্রক্ষণে যখন তিনি “শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়ার” খবরটি বিশ্বমাধ্যমে প্রথম প্রকাশ করেন, তখন যেন সময় থমকে গিয়েছিল। শফিকুল আলম নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন
“বিজয়ের মুহূর্ত। আমার পরিবার আমাকে জড়িয়ে ধরতে এসেছিল। আল্লাহ আমাকে সবকিছুই দিয়েছেন! আলহামদুলিল্লাহ!”
এ এক বিজয়ের নয়, একটি স্বপ্ন বাস্তবের রূপ নেওয়ার ঘোষণা। সাংবাদিকতা আর দায়িত্ববোধ মিলেমিশে গড়ে তোলে এক ঐতিহাসিক ভূমিকা।
সেই দিনটির ছবিগুলো ক্যামেরাবন্দি করেন রয়টার্সের খ্যাতনামা ফটোজার্নালিস্ট মোহাম্মদ পনির হোসেন। ফ্রেমে ধরা পড়ে ঢাকার রাজপথের গর্জন, মানুষের মুখের অভিব্যক্তি, উচ্ছ্বাস, বিস্ময়, আর অশ্রু।
আজ, ২০২৫ সালের ৫ আগস্ট, আমরা ফিরে তাকাই সেই দিনে। প্রশ্ন করি নিজেদের এই বছরজুড়ে আমরা কী শিখেছি, কোথায় গিয়েছি, আর সামনে কোথায় যেতে চাই?
এই বিজয় শুধু কোনো দলের নয়, এটি জনগণের জাগরণের দিন, এক নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নে যাত্রার দিন।
আমরা যারা সাংস্কৃতিক অঙ্গনে কাজ করি, ইতিহাসের এই অনন্য সময়কে শুধু সংরক্ষণই নয়, রূপ দিতে চাই চিত্রে, শব্দে, মঞ্চে ও গানে।
কারণ প্রতিটি বিজয়ের পেছনে থাকে গল্প, থাকে সাহসী একজন সংবাদকর্মী, একজন আলোকচিত্রী, একজন মানুষ যাদের মাধ্যমে সত্য পৌঁছে যায় জনতার হৃদয়ে।
এমএইচ মানিক
সাংস্কৃতিক সম্পাদক, হিউম্যান রাইট ক্রাইম রিপোর্টার্স ফাউন্ডেশন (ঢাকা)























