ঢাকা ০১:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo তাড়াইলে ধলা ইউপি চেয়ারম্যান ঝিনুক গ্রেফতার Logo কিশোরগঞ্জে চবি চাকসুর জিএস সাঈদ বিন হাবিবকে বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা Logo কিশোরগঞ্জে জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খানের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত Logo খাগড়াছড়িতে আ.লীগের মিছিল: সাবেক প্রতিমন্ত্রীসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা Logo প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার Logo রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ Logo নভেম্বরের ৯ দিনে রেমিট্যান্স প্রবাহে ৪৮.৭ শতাংশ বৃদ্ধি Logo ত্যাগ, নৈতিকতা নাকি দলীয় বলয়; কিশোরগঞ্জের ফাঁকা দুই আসনে কোন পথ বেছে নেবে রাজনীতি? Logo নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র: ক্ষমতার লোভে পেয়েছে উপদেষ্টাদের Logo খাগড়াছড়ি কারাগার থেকে পালিয়েছে দুই আসামি

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীর উপর হামলা

Doinik Astha
Doinik Astha
  • আপডেট সময় : ০৬:২১:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫
  • / ১০৫০ বার পড়া হয়েছে

কিশোরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী মাহবুবুল আলম ছোটন (২৬) নিষিদ্ধ ঘোষিত আ’লীগের সহযোগী সংগঠন মৎস্যজীবী লীগের নেতা সোহেল মিয়া (৩৬) কতৃক হামলার শিকার হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আহত শিক্ষার্থী ছোটন কিশোরগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালে সার্জারী বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

শুক্রবার (২০জুন) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে দোকান থেকে বাড়ী ফেরার পথে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ আনুহা জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় হামলার শিকার হন। হামলার শিকার মাহবুবুল আলম ছোটন ওই এলাকার আবুল কালামের ছেলে ও বেসরকারি ঈশা খাঁ ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের ৯ ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী।

জানা যায়, চলতি মাসে (১৩ জুন) বীল চাতল ও আনুহা গ্রামবাসীর মধ্যে তুচ্ছ ঘটনার জেরে মারামারি হয়। মারামারি মামলায় ১ নাম্বার স্বাক্ষী ছিল বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী মাহবুবুল আলম ছোটন। আর এ মামলা ৩ নাম্বার আসামি হলো অভিযুক্ত মৎস্যজীবী লীগ নেতা সোহেল মিয়া। মামলার স্বাক্ষী হওয়ার সুবাধে প্রতিশোধ নিতে পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক শুক্রবার রাতে পূর্ব থেকে উৎপেতে হত্যার উদ্দেশ্য হামলা করা হয় বলে ধারণা করেন ওই শিক্ষার্থী।

 

এ সময় তাঁর ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসায় দুর্বৃত্তরা মটর সাইকেল যোগে পালিয়ে যায়। হামলার সময় সোহেল মিয়ার সাথে ওই মামলার এক নাম্বার আসামি কাঞ্চন মিয়া (৫০) ও ১২ নাম্বার আসামি দিদার মিয়া সঙ্গে ছিল। এর আগে মারামারি মামলায় ওই তিনজনসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে মঞ্জুরুল ইসলাম বাদী হয়ে হোসেনপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এর তিন দিন পর (১৫ জুন) অভিযোগ আমলে নিয়ে উপ পরিদর্শক (এস আই) খালেদ শেখকে তদন্ত কর্মকর্তা কর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এসআই খালিদ শেখ এর কাছে আসামী কর্তৃক মামলার স্বাক্ষীর উপর হামলার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি এ প্রতিবেদকে জানান, আসামিগন আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়ে এ হামলা চালায়। এখন এদের বিরুদ্ধে আর একটা মামলা না হলে আসামিদের গ্রেপ্তার করা আইন সিদ্ধ নয়।

হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ হোসেন জানান, এ বিষয়ে এখনও কেহ লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে থানায় আসেন। লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

ট্যাগস :

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীর উপর হামলা

আপডেট সময় : ০৬:২১:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

কিশোরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী মাহবুবুল আলম ছোটন (২৬) নিষিদ্ধ ঘোষিত আ’লীগের সহযোগী সংগঠন মৎস্যজীবী লীগের নেতা সোহেল মিয়া (৩৬) কতৃক হামলার শিকার হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আহত শিক্ষার্থী ছোটন কিশোরগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালে সার্জারী বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

শুক্রবার (২০জুন) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে দোকান থেকে বাড়ী ফেরার পথে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ আনুহা জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় হামলার শিকার হন। হামলার শিকার মাহবুবুল আলম ছোটন ওই এলাকার আবুল কালামের ছেলে ও বেসরকারি ঈশা খাঁ ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের ৯ ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী।

জানা যায়, চলতি মাসে (১৩ জুন) বীল চাতল ও আনুহা গ্রামবাসীর মধ্যে তুচ্ছ ঘটনার জেরে মারামারি হয়। মারামারি মামলায় ১ নাম্বার স্বাক্ষী ছিল বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী মাহবুবুল আলম ছোটন। আর এ মামলা ৩ নাম্বার আসামি হলো অভিযুক্ত মৎস্যজীবী লীগ নেতা সোহেল মিয়া। মামলার স্বাক্ষী হওয়ার সুবাধে প্রতিশোধ নিতে পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক শুক্রবার রাতে পূর্ব থেকে উৎপেতে হত্যার উদ্দেশ্য হামলা করা হয় বলে ধারণা করেন ওই শিক্ষার্থী।

 

এ সময় তাঁর ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসায় দুর্বৃত্তরা মটর সাইকেল যোগে পালিয়ে যায়। হামলার সময় সোহেল মিয়ার সাথে ওই মামলার এক নাম্বার আসামি কাঞ্চন মিয়া (৫০) ও ১২ নাম্বার আসামি দিদার মিয়া সঙ্গে ছিল। এর আগে মারামারি মামলায় ওই তিনজনসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে মঞ্জুরুল ইসলাম বাদী হয়ে হোসেনপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এর তিন দিন পর (১৫ জুন) অভিযোগ আমলে নিয়ে উপ পরিদর্শক (এস আই) খালেদ শেখকে তদন্ত কর্মকর্তা কর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এসআই খালিদ শেখ এর কাছে আসামী কর্তৃক মামলার স্বাক্ষীর উপর হামলার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি এ প্রতিবেদকে জানান, আসামিগন আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়ে এ হামলা চালায়। এখন এদের বিরুদ্ধে আর একটা মামলা না হলে আসামিদের গ্রেপ্তার করা আইন সিদ্ধ নয়।

হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ হোসেন জানান, এ বিষয়ে এখনও কেহ লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে থানায় আসেন। লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।