৩রা নভেম্বর সোমবার বেলা 11 টা 50 মিনিটে cc camera tv ফুটেজ দেখা যায় নবজাতক শিশুকে একটি সিলভার রঙের এম্বুলেন্স নিয়ে ঢাকা শিশু হাসপাতালে যান বাবা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় চেষ্টা করেও প্রাণপ্রিয় শিশুকে বাচাতে পারলেন না বাবা। এ ব্যাপারে কৈফিয়ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিকট কৈফিয়ত চায় আদালত।
নবজাতক শিশু দুটিকে এম্বুলেন্সের মধ্যে রেখে হাসপাতালের আনসার ও কর্মচারীদের সাথে কথা বলেন। পরে জরুরি বিভাগের গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে দেখা যায়। পরের ছবিতে দেখা যায় 45 মিনিট পর হাসপাতাল থেকে বের হয়ে সেই একই এম্বুলেন্স দিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেন তিনি।
cc camera tv তে দেখতে পাওয়া
মৃত জমজ শিশু দুটির বাবা দাবি করেন সেই 45 মিনিটে তিনি ৩ বার চেষ্টা করেও অসুস্থ শিশু দুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে ব্যর্থ হন। তার দাবি ছিল তাৎক্ষণিক টাকা না দিতে পারায় বাচ্চা দুটিকে ভর্তি করেননি হাসপাতালের উপ-পরিচালক।
যদিও তা অস্বীকার করে শিশু হাসপাতেল উপ-পরিচালক বলেন, এন আই সি ইউ এর সংকটে ভর্তি করে রাখা যায় নি।
উপ-পরিচালক ডা. প্রবীর কুমার সরকার ঘটনাটি অস্বীকার করে বলেন, ” আমি তাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব বলেছি।তার বাচ্চাকে ফ্রি বিছানায় ভর্তি করাবেন বলেছি। কিন্তু ওনার তো এন আই সি ইউ রিকুয়ার নাই। সেটা তো ফাকা ছিলো না।’
এরপর তাকে তাৎক্ষণিক টাকা নেয়ার ব্যাপার এ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন,‘ আমি কেনো বলবো, আমি তো রোগীই দেখি নাই।’
cc camera tv ফুটেজে শিশুদের বাবাকে জরুরি বিভাগে যেতে দেখা গেলেও বাচ্চা দুটির বাবা সরাসরি জরুরি বিভাগে কেনো গেলেন না এমন প্রশ্ন তুলেছেন হাসপাতাল পরিচালক।
এদিকে জরুরি বিভাগে শিশু দুটির চিকিৎসা না হওয়া বাচ্চা দুটির বাবার দাবিকে অস্বীকার করে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কর্তৃপক্ষ জানান চিকিৎসক হাসপাতালের উপর থেকে নিচে নেমে এম্বুলেন্সেই বাচ্চা দুটির দ্রুত পরীক্ষা-নিরিক্ষা করেছেন।
তবে এ ব্যাপারে উচ্চ আদালতের জবাবদিহী চেয়ে নোটিশ পাঠানো হয়। আদেশ অনুযায়ী বিস্তারিত জবাব আদালতে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে দেয়া হবে বলেও জানায় হাসপাতালগুলো।
যদিও বাচ্চাটির বাবার সিসি টিভি ফুটেজের সাথে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কথার তেমন কোনো মিল পাওয়া যায় নি।
এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে প্রশ্নটী এড়িয়ে যান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বাচ্চাদের বাবা এর বিচার চেয়ে আদালতের কাছে দাবী জানিয়েছেন বলে জানা যায়।